নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৪ মার্চ, ২০২১
জামালপুরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সাবেক জেলা প্রশাসককে বিভাগীয় শাস্তি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিভাগীয় শাস্তিতে তাকে এক গ্রেড পদাবনমন করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়। তার এই শাস্তির সুপারিশ রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দিয়েছেন।
আহমেদ কবীর ছিলেন জামালপুরের ডিসি। জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি তার অফিসের এক নারী কর্মচারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। তার এবং ঐ নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস হলে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পেনাল কোড অনুযায়ী, এ ধরনের অনৈতিক যৌনাচার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা হয়নি। তার অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রত্যাহার এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। বিভাগীয় মামলার তদন্তে তাকে তিন বছরের জন্য এক গ্রেড নীচের বেতন স্কেলে নামিয়ে দেয়ার সুপারিশ করা হয়। উল্লেখ্য যে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ তে দুই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
আহমেদ কবীরকে গুরুতর অপরাধে সবচেয়ে কম শাস্তি দেয়া হয়েছে। গুরুতর অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর। আহমেদ কবীরের এরকম নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধের পরও তিনি কিভাবে সরকারি চাকরিতে বহাল থাকেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরকম একজন কর্মকর্তা জনগণকে কি ধরনের সেবা দেবেন, সে প্রশ্নও করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। শুধু আহমেদ কবীরের ঘটনা নয়, সম্প্রতিক সময়ে আমলাদের দায়মুক্তি দেয়ায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। এর আগে সাবেক স্বাস্থ্য সেবা সচিব আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তা এগোয়নি। প্রতারক শাহেদ গ্রেফতার হলেও সচিব থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। একাধিক আমলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ বাক্সবন্দী হয়ে আছে। অনেক ক্ষেত্রেই আমলাদের দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইন সকলের জন্য সমান। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে তা কি এখন প্রযোজ্য? আহমেদ কবীরের ঘটনার পর সংগত কারণেই এই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ একজন নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধ করে যদি শুধু এক পদ ডিমোশন পান, তাহলে আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।