নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কঠোর অবস্থানে গেছে সরকার। বিভিন্ন মহল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করা হয়েছে। বাম ছাত্রসংগঠন সহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এই আইনটি বাতিলের জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছে। বিএনপিও এখন এই আইন বাতিলের দাবি করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক মোশতাকের মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে এই আইন বাতিলের দাবি তোলা হয়। সে সময় আইনমন্ত্রীর এডভোকেট আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন ‘আইনটি পর্যালোচনা করা হবে।’ তিনি এই আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এই আইনের কয়েকটি ধারা ‘পুনর্বিন্যাস’ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের দাবি জানান। সংগঠনটি এর সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি করে আসছে। মোশতাকের মৃত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা এই আইনের ব্যাপারে উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন। কিন্তু এসব চাপের ফলে সরকার নতি স্বীকার করবে না। বরং এই চাপ সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে নিয়ে গেছে। আইনটির কিছু কিছু ধারা সংশোধনের ব্যাপারে সরকারের একাংশের মধ্যে যে ইতিবাচক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, এখন সরকার সেখান থেকেও সরে এসেছে। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, সরকার এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন পরিবর্তন আনবে না। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যান্য নানা বিষয়ের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই এখন এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা পরিবর্তনের বিপক্ষে মত দেন। জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে যেভাবে নোংরা ও অশ্লীল ভাষায় কথা বার্তা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে কয়েকজন কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন। এই বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে; আপাতত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোন পরিবর্তন হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।