নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির সমালোচনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। সর্বশেষ তাঁর দেশে ফেরা বিলম্ব হওয়ার খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমালোচনা তীব্রতর হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিলম্বের কারণ হিসেবে তাঁর চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। অথচ তিনি কোন হাসপাতালে, কী চিকিৎসা নিচ্ছেন, কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন, সে সবের রিপোর্ট কী এসেছে, এ সব কিছুই জানানো হচ্ছে না দল থেকে। দেশের একধিকবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সময়ে সময়ে দল থেকে বুলেটিন করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিদেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়র আনিসুল হকের উদাহরণও দেন তারা। সমালোচনা করে তারা বলেন, মেয়র আনিসুল হকের অসুস্থতা ও চিকিৎসার আপডেট সময়ে সময়ে পাওয়া গেলে খালেদা জিয়ার বিষয়ে এতো লুকোচুরি কেন?
অতীত থেকে উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর হামলার পরও আওয়ামী লীগ থেকে সময়ে সময়ে তাঁর অসুস্থতা ও চিকিৎসার বিষয়ে বুলেটিন দেওয়া হতো।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে তারা আরও বলেন, তিনি আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা করাতেন আগে সৌদি আরবের কিং ফয়সল হাসপাতালে। আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি হাসপাতাল। অথচ এখন কেন তা বাদ দেয়ে ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে? দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের এসব বিষয়ে সব সময় গণমাধ্যম হয়ে সাধারণ মানুষকে জানানো উচিত বলেও মনে করেন তারা। নিকট ইতিহাস থেকে তারা আরও বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের চিকিৎসা বিষয়েও এমন লুকোচুরি খেলা হয়েছিল। এমনকি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসার পর তিনি দায়িত্ব পালনে সমর্থ নন বলে ভুল বা অসত্য তথ্য দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছিল সরকার থেকে। পরবর্তীতে দেশের গণমাধ্যম সিঙ্গাপুরে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নিয়ে তা সম্প্রচার করায় সরকার ব্যর্থ হয়েছিল।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে মারা যাওয়া এবং এর আগে ও পরে সব সংবাদ জনগণকে অবহিত করার বিষয়ও স্মরণ করেন তারা। তাছাড়া বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার চিকিৎসার খোঁজ-খবরও তাৎক্ষণিকভাবে সাধারণ মানুষ জানতে পারতো বলেও উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, এক সময় বাম নেতারা মারা গেলে তা সপ্তাহখানেক পর জনগণকে জানানো হতো। খালেদা জিয়ার বিষয়েও কি তেমন নেতিবাচক ধারায় এগুচ্ছে বিএনপি?
বাংলা ইনসাইডার/এমএএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদ গণভবন
মন্তব্য করুন
দুদক দুদক মহাপরিচালক শিরীন পারভীন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।
এবার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মরিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন আগের শিক্ষামন্ত্রী নেই। ডা. দীপু মনি এখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মহিবুল হাসান চৌধুরী, যিনি ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে? কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কেন পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে হবে এনিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন একের পর এক হিট অ্যালার্ট দিচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ যখন দিনদিন চড়ছে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একগুঁয়েমি করছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
সকলেই দাবি করেন যে এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। সেখানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সহজে যেতে পারে। এবং করোনার সময় শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া এবার যে গরম পড়েছে, যে কয়দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক স্বাস্থ্যহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি রুটিনের দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমনটি শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। সেই রুটিনে অনেকগুলো বন্ধ থাকে। বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে, যেটি জুনে হওয়ার কথা। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে গ্রীষ্মের ছুটি এবং অন্যান্য ছুটিগুলো কমিয়ে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কোন দুর্ঘটনার মধ্যে পতিত হয়, তাহলে এটির দায় দায়িত্ব শুধু একা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তাবে না, পুরো সরকারের ওপর বর্তাবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা মনে করেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জোর করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে নেয়ার ফলে একটি অবিশ্বাসের সম্পর্ক হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্কের মেলবন্ধনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান চর্চার জন্য জরুরী। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কর্তৃপক্ষ জোর করে খোলা রাখে, তাহলে স্বাভাবিক পরিবেশটি নষ্ট হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করে যে, অস্থিরতা না করে, একগুঁয়িমে না করে শিক্ষামন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেবেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তার অবস্থান পুর্নবিবেচনা করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র তাপদাহ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মন্তব্য করুন
মাছ ধরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।