ইনসাইড বাংলাদেশ

লকডাউন না দিয়েও যেভাবে করোনা মোকাবেলা করা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনে যাচ্ছে। প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে যে লকডাউন দেয়া হয়েছিলো কার্যত সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। জন চাপে কোনো লকডাউন হয়নি। এখন সরকার কঠোরভাবে লকডাউন আরোপ করবেন বলে সরকারের অন্তত দুইজন মন্ত্রী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। এই লকডাউন নিয়ে জনমনে ইতিমধ্যেই অস্থিরতা এবং অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। গত বছরের শুরু থেকেই বিশ্বকে নাস্তানাবুদ করছে করোনা। করোনা মোকাবেলায় লকডাউনই সেরা উপায় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে লকডাউন এর বিকল্প নিয়েও এখন কাজ করছেন এবং অনেকগুলো দেশ লকডাউন না দিয়েও করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে দেশগুলো উন্নত দেশ, অর্থনৈতিকভাবে মজবুত ভিত্তি আছে এবং জনসংখ্যা কম, তারা লকডাউনে যায় এবং লকডাউনে গিয়ে তাদের জনগণের তেমন কোনো কষ্ট হয় না। কারণ যে পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা তাদের দেয়া হয়, সেটা দিয়ে তারা ঘরে বসে 
স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য লকডাউন এক ধরনের নাজুক পরিস্থিতি তৈরি করে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা বাড়িয়ে দেয়, জীবন-জীবিকাকে দুর্বিষহ করে তোলে। এই জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন এর ব্যাপারে তীব্র নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। 

সাধারণ মানুষ মনে করে যে, না খেয়ে মরার চেয়ে করোনায় মরা ভালো। মানুষ শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে চায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম মনোভাব ক্রমশ তীব্র হচ্ছে যে, করোনায় অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার পথ আসবে, কিন্তু জীবিকা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ এমনিতেই মারা যাবে এবং সেখান থেকে উদ্ধারের কোনো পথ থাকবে না। আর এই কারণেই লকডাউনের বিকল্প চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ করছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দেশ লকডাউন এর বদলে বরং স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন তার লকডাউন এর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বরং স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একাধিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে যে পাঁচটি কারণ পাওয়া গেছে যা দিয়ে লকডাউন ছাড়াই করোনা মোকাবেলা করা যায়। সেগুলো হলো,

১. কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা: স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের মাধ্যমেই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব এবং এটি করোনা মোকাবেলার সবচেয়ে ভালো উপায়, এটি মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। একজন মানুষ যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করে, মাস্ক ব্যবহার করে এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে, তাহলেই তিনি করোনা থেকে বাঁচতে পারেন। এই ধারণাটা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের চেয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. জনসমাগমের বিষয়গুলো বন্ধ করা: পৃথিবীর বহু দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লকডাউনে যায় নি। কিন্তু জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মকাণ্ড গুলো বন্ধ করেছে। যেমন, বিয়ের অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মহাফিল, সামাজিক সম্মেলন, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সমাবেশ ইত্যাদি বন্ধ করে এসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অনেকখানি সাফল্য আসতে পারে। পাবলিক গ্যাদারিং হয় বা জনসমাগম হয় এমন বিষয়গুলোর ওপর শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞা করে সবকিছুকে সচল রাখা যায়।

৩. দোকানপাট এবং বাজার-হাটের সময়সীমা পৃথক পৃথক করে দেওয়া: ব্রিটেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অত্যন্ত সফল হয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দোকানপাট খোলা রাখা, ব্যাংক খোলা রাখার পদ্ধতি চালু করেছিল। টিআর-ফোর এর আওতায় তারা এলাকাভিত্তিক দোকানপাট খোলা সময়সূচী দিয়েছিলো এবং এক এলাকার মানুষ অন্য দোকানে যেন না যায় সেটি নিশ্চিত করেছিলো। এর ফলে করোনা সংক্রমণ অনেক কমে এসেছিলো। 

৪. কন্টাক্ট ট্রেসিং: করনা মোকাবেলার সবচেয়ে ভালো পথ হল কন্টাক্ট ট্রেসিং করা। যখন একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হলো, তখন তার সংস্পর্শে যারা আসছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং তাদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে পৃথক করে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যায়। এটি যদি বাংলাদেশে করা যায় তাহলে করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে মানুষ মনে করছে।

৫. এলাকা স্থানান্তর বন্ধ করা: এক এলাকার মানুষ যেন অন্য এলাকায় যেতে না পারে সেটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বিশেষ করে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেই এলাকাগুলোতে অন্য এলাকার মানুষ যেনো প্রবেশ করতে না পারে এরকম বিধি-বিধান করে করোনা মোকাবেলা করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে যে লকডাউন এর চিন্তাভাবনা করছে তার বিকল্প হিসেবে সরকার এগুলাে বিবেচনা করতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ হাজার মৃত্যুর শঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।

২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।

আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।

অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ডেঙ্গু   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল গৃহবধূ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

 

জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷ 

 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷


সড়ক দুর্ঘটনা   গৃহবধূ   এনজিও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী সাবেক মেয়রের স্ত্রী


Thumbnail রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।


পৌর সভা   উপ-নির্বাচন   ইভিএম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দবদাহ: গরমে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।

মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।

তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।


তীব্র দবদাহ   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রার্থী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী


Thumbnail উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আটককৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নগদ অর্থ

উখিয়ার রাজাপালং বালুর মাঠ সংলগ্ন রোহিঙ্গার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ০৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ০৫টি পিস্তল, ০২টি ওয়ান শুটারগান, ১৬ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, ০২টি শর্ট গানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে ১৪ এপিবিএন। 

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ১৪ এপিবিএনের সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের তত্বাবধানে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২/ওয়েস্ট, ব্লক ডি/৯ এর জোবায়ের বসতঘরে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড বড় ফাইভস্টারের গুলি, ৯ রাউন্ড মাঝারি ফাইভস্টারের গুলি,৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।

 

এ সময় গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মৃত কবির আহমদের ছেলে রোহিঙ্গা যুবক মোঃ জোবায়ের (২২), ব্লক ডি / ৯ এর আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৩), একই ক্যাম্পের ব্লক সি/২ এর আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ খলিল (৩৪), ব্লক সি/ ২ এর মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩২) এরা ক্যাম্প ২ এর বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হচ্ছে ক্যাম্প ১৩ ব্লক ব্লক- এ/৬ এর বাসিন্দা মৃত সব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫) । 

 

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।


রোহিঙ্গা ক্যাম্প   অস্ত্র উদ্ধার   গোলাবারুদ   রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন