নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২১
বাংলাদেশে সারা বছরই নানা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে সবচেয়ে বর্ণিল উৎসবটির নাম পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির একটি বড় উৎসবের দিন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিই মূলত পহেলা বৈশাখ। আনন্দঘন এই দিনের জন্য অনেক আগে থেকে প্রতীক্ষা করতে থাকে বাঙালি। এই পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতানার প্রধান ভিত্তি। শুধু মুসলমান বা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান নয়, সব ধর্মের মানুষ সমান আগ্রহ নিয়ে উৎসবে যোগ দেয়। উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বড় সুযোগ করে দেয় বাংলা নববর্ষ। এই একটি উৎসব যেখানে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা নেই। নেই কোনো ধর্ম, বর্ণ। সকল ধর্মের সকল ধারার মানুষ এই উৎসবটি অনেক আড়ম্বরতার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে।
অবশ্য উৎসব বলা হলেও পহেলা বৈশাখকে বাঙালি শুধু উৎসব হিসেবে দেখে না কখনই। ষাটের দশকে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বর্ষবরণ উৎসবের সূচনা করা হয়। বিপুল এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিজেদের উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের মৌল চাওয়াগুলোকে সামনে রাখার চেষ্টা করে। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নেয়। এসব বিবেচনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের রয়েছে আলাদা তাৎপর্য।
তবে এবার সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে মৌলবাদের উত্থান। উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশের ৫০ বছরের সকল অর্জনকে ব্যর্থ করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এখনও দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের ঘটনায় তা স্পষ্ট। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ২৬ মার্চ বড় তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভয়ঙ্কর এ তাণ্ডব চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ভাংচুর চালানো হয়। এখনও এই মৌলগোষ্ঠী মাঠ ছাড়েনি। ওরা বাঙালির চির উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বর্ষবরণকেও চ্যালেঞ্জ জানায়।
বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র সব সময়ই চলমান ছিলো এবং তা এখনো চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকলে দেশের অপশক্তি বর্বরোচিতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে কয়েকজন নিরীহ দর্শককে হত্যা করে এবং অনেককে আহত করে যাদের মধ্যে কেউ কেউ চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। এ নৃশংস ঘটনায় বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যান। সারা দেশের মানুষ এ জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছিলো।
আজ আবার হেফাজতের ইসলামের তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে মৌলবাদের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশব্যাপী অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতানার ওপরে তাদের নজর এখন। তারা এই দেশটাকে সাম্প্রদায়িকতার আখড়া বানাতে বদ্ধপরিকর। আর সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের চোখ এখন বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতানার প্রধান ভিত্তি এই পহেলা বৈশাখের দিকে।
বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান কোনো ধর্ম বা বর্ণের বিশেষ অনুষ্ঠান নয়। আবহমান কাল ধরে এটি বাঙালি সর্বজনীন জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাঙালির চির কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুল ভ্রান্তি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে গিয়ে বাঙালি নতুন বছরের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় পালন করে থাকে নববর্ষ। আর এই একমাত্র উৎসব যেটি বাংলাদেশের সব মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদযাপন করে থাকে। সেই উৎসবের ওপর আঘাত মানে পুরো বাঙালি জাতির ওপরে আঘাত। ফলে এটি মেনে নেয়া যায় না।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে এই মৌলবাদী গোষ্ঠীর তাণ্ডব দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। মৌলবাদী অপশক্তির ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও ধর্মান্ধতা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। সামনে বাঙালি জাতির জন্য বড় দুঃসময়ের অশনি সঙ্কেত শোনা যাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম শুরু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। শুভ নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।
সোমবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যেরকম সম্ভব, তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি। তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতেই আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।
এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর
মন্তব্য করুন
অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে পাবনার তিনটি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ইটভাটা তিনটি ইটভাটার কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (৬ই মে) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোষপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মেসার্স কেআরবি ব্রিকস, মেসার্স এআরবি ব্রিকস এবং মেসার্স আরএবি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল মমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। এ সময় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন
ভোটের দিন সাধারণ ছুটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার। এই পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানী আমদানীর উপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২৭ হাজার পিলারে দেড় লাখ সোলার প্যানেল উৎপাদন হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চরের জমিতে করা যাবে মৌসুমি আবাদও।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পতিত চরের জমিতে সারিবদ্ধ ও সুউচ্চ ২৭ হাজার পিলার বসানো হয়েছে। আর এসব পিলারের উপর বসানো হয়েছে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেলের নিচের জমিও সম্পূর্ণ কৃষিবান্ধব। এই জমিতে করা যাবে মৌসুমি ফসলের আবাদ। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।'
প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা) । যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আর বাকি অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)
চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) এর ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ৭৫ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। পিলারের উপরে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শেষের দিকে। ভবন গুলোর কাজও ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের প্লান আছে জুনের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে যাবো।’
বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দিন রাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমিটরি, রেস্টহাউস, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যতিক্রম। কেন্দ্রটিতে উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে নিচে বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ ও উৎপাদন হবে আবার ফসলের চাষাবাদ করা যাবে।'
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন জাতীয় গ্রীড
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।