নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
ফার্মগেট আল-রাজী হাসপাতালের সামনে থেকে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছিলেন সালাম সাহেব। আর ঠিক সেই মূহুর্তেই বিজয় সরণি থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি বাস তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেরই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু রাস্তা পারাপারের জন্য পাশেই ফুটওভার ব্রিজ (পদচারী সেতু) ছিল। ফুটভার ব্রিজ ব্যবহার করলে হয়তো এভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হতো না তাঁকে। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে থেকে জানা যায়, তিনি একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করতেন। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনজনই পড়াশোনা করছেন। সালাম সাহেবই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো পরিবারের কি অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এভাবে প্রায় সময়ই দেখা যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার কারণে সালাম সাহেবের মতো অকালে ঝড়ে যেতে হয়। আর এটি পরিবারের জন্য সারা জীবনের কান্না হয়ে দাঁড়ায়। মাশুল দিতে হয় পুরো পরিবারকে।
রাস্তার পাশেই ফুটওভার ব্রিজ থাকা স্বত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই রাস্তা পারাপার হচ্ছে নগরবাসী। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো করে রাস্তা পার হচ্ছে । কাঁটাতারের বেড়া, লোহার গ্রিল দিয়ে বেষ্টনী দিয়েও কোনো কাজে আসছে না। ফুটও্রভার ব্রিজ ব্যবহারে আগ্রহী করতে বনানীতে চলন্ত সিড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাতেও আহামরি ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এভাবে এলোমেলোভাবে রাস্তা পার হওয়ার ফলে যানজটের ভয়াবহতা আরও বাড়ছে।
স্কুল কলেজের সামনে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকিসহ সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে অবিভাবকরা। এর ফলে ছোটকাল থেকেই কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া শেখানো হচ্ছে, যা শিশু মনে গেঁথে যাচ্ছে। ছোটকাল থেকেই এভাবে তাদের মধ্যে রাস্তা পার হওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।
রাজধানীতে যে পরিমাণ ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে সেগুলিরই ব্যবহার করা হচ্ছেনা বলে মনে করছেন নগরবিদরা। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মাঝে মাঝে মোবাইল কোট বসিয়ে জরিমানা করা হয়। এতে কয়েকদিন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করলেও আবার আগেরও মতো চিরচেনা রূপ নেয়।
কিন্তু একটা বিষয় লক্ষণীয় রাজধানীর ক্যান্টমেন্টে নগরবাসী ঠিকই নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে রাস্তা পাড়াপার হচ্ছে। কারণ সেখানে নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
নগর বিশ্লেষকদের মতে রাজধানীতে যে পরিমাণ ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে, তার সঠিক ব্যবহার বাড়াতে পারলেই যানজট সঙ্গে সঙ্গে জীবনে ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে আসবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।