নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
ঢাকা বোর্ড ক্লাবের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় ইতিমধ্যে নাসির ইউ আহমেদ-অমিসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পরীমনি বনাম নাসির-অমির বিতর্কে একটি নাম আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তার নাম জিমি। গত প্রায় এক বছর জিমি ছিল পরীমনির ছায়াসঙ্গী। পরীমনির ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবেই তিনি সবাইকে পরিচয় দিতেন। পরীমনির সঙ্গে সারাক্ষণ থাকেন জিমি। জিমির মাধ্যমেই অমির সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমনির। জিমির মাধ্যমে পরীমনি যায় বোট ক্লাবে। আর জিমির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল অমির এবং জিমির মাধ্যমেই পরীমনির পরিচয় হয় অমির সঙ্গে। জিমির পরীমনিকে আমির বাসায় নিয়ে যান। এই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই অমির সঙ্গে পরীমনি একাধিকবার আউটিংয়ে বেরিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। ঘটনার দিন ৮ জুন বুধবারও পরীমনির বাসায় গিয়েছিলেন আমি। এখান থেকেই পরীমনি, জিমি, অমি এবং পরীমনির এক বান্ধবী বের হন এবং তারা গভীর রাতে বোট ক্লাবে যান। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখন প্রশ্ন উঠেছে কে এই জিমি। জিমির সঙ্গে অমির সম্পর্কই বা কি এবং জিমি কিভাবে জীবনযাপন করেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, জিমি একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। কস্টিউম ডিজাইনার হলেও মাদকাসক্তির কারণে তার নাম ছিল এবং একাধিকবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একবার তিনি ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিলেন বলেও পুলিশের কাছে রিপোর্টে আছে। জিমির সঙ্গে পরীমনির সম্পর্ক নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। জিমির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ইয়াবা সেবন নয় আরো বহু অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অমির সঙ্গে জিমি কেন পরীমনিকে পরিচয় করিয়ে দিবেন সেটি নিয়েও বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা হচ্ছে। জিমি কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে আরও একাধিক নায়িকার সঙ্গেও কাজ করেছেন এবং তাদের কেউ তিনি বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং বড় লোকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগগুলো এখন তদন্তকারী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।
একজন ব্যবসায়ী এবং বিতর্কিত ব্যক্তি চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় গেছেন জিমির মাধ্যমে, এই বিষয়টি এখন তদন্তের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে বলছ যে, জিমি অমিকে একজন প্রযোজক হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এবং অমি পরীমনির ছবিতে বিনিয়োগ করবেন এই রকম একটি আলাপ-আলোচনা তাদের মধ্যে হয়েছিল। এই সূত্র ধরেই পরীমনির সঙ্গে অমির একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অমি, যার প্রধান কাজ হল বিভিন্ন মেয়েকে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া। তিনি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিলেন। অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আমি এর আগেও একাধিক চিত্রনায়িকাকে একইভাবে ফাঁসিয়ে ছিলেন এবং পরীমনির ক্ষেত্রেও এই ঘটনাটি ঘটানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন অমি।
উল্লেখ্য যে, অমি ঢাকা ক্লাবের মেম্বার ছিলাম এবং নাসির ইউ আহমেদের সঙ্গে তার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেদিন আসলে কি ঘটেছিল সেটি এখনো রহস্যময়। কারণ এই ঘটনায় আসলে পরীমনিকে জোর করে বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল না পরীমনি সেখানে স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন, সেখানে নাসির ইউ আহমেদের ভূমিকা কি ছিল ইত্যাদি এখনও অমীমাংসিত এবং রহস্যময় বিষয়। এই বিষয়গুলোর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্তের সঠিক সমাধান সম্ভব নয় বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। তবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সদস্য বলেছেন যে, তারা জিমির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন এবং জিমির আসল রহস্য কি ছিল, কেন তিনি পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন সেটি তদন্তে অন্যতম উপজীব্য বিষয় বলে তারা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।