ইনসাইড বাংলাদেশ

‘নো লস, নো প্রফিটে’ চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

মরণব্যাধী একটি রোগ। যার নাম শুনলেই গা শিউরে উঠে। মনের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করে। ক্যানসার। মরণ ঘাতক ক্যানসারের চিকিৎসায় বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেওয়ায় উত্তরায় অবস্থিত আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালটি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্যানসারের চিকিৎসায় অগ্রদূত হাসপাতাটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ক্যানসার নিয়াময়ে প্রথম তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, এর পরেই রয়েছে ১৫ তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যার আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালটি। সেবা কার্যক্রম ও ক্যানসার বিষয়ের নানাদিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা হয় হাসপাতালটির পরিচালক, মেডিকেল সার্ভিসেস এবং রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরীর। 

আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে কবে থেকে জড়িত? 

অনেক আগে থেকেই এই হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত। তবে ২০১৬ সাল থেকে আমি পুরোপুরিভাবে কাজ শুরু করি। সর্বশেষ হাসপাতালের পরিচালক, মেডিকেল সার্ভিসেস এবং রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। 

বাংলাদেশে অনেক ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে সেই তুলনায় আপনাদের হাসপাতালের বিশেষত্ব কী? 

বাংলাদেশে যে সমস্ত হাসপাতালগুলো রয়েছে অধিকাংশই হাসপাতাল আর্কিটেকচার ডিজাইন অনুযায়ী করা হয়নি। অর্থ্যাৎ পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়। সেই হিসেবে আমাদের হাপাতালাটি অনেক এগিয়ে রয়েছে। এখানে সুস্থ্য পরিবেশের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি স্খানেই নির্ধারিত স্পেস রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চেম্বার গুলো কেমন হওয়া উচিত, রোগী ঢুকতে পারবে কিনা, হুইল চেয়ার ঢুকতে পারবে কিনা রোগীদের জন্য ওয়ের্টিং রুম কেমন হবে বারিসিপসন রুমের জন্য কতটুকু জায়গা থাকবে, সবকিছু মিলিয়ে যদি বলি আমাদের হাপাতালে পর্যাপ্ত স্পেপ গুলো রেখেই এটা নির্মাণ করা হয়েছে। ক্যানসারপেশেন্ট অন্যান্য স্বাভাবিক পেশেন্টের মত নয় । তারা অনেক সমস্যা নিয়ে আসে। সেই পেশেন্ট গুলোর জন্য একাটা ভালো পরিবেশ দরকার। সেই বিষয়গুলো দৃষ্টি রেখেই হাসপাতালটা করা হয়েছে। দেশে বিদ্যমান অনেক হাসপাতালই দেখবেন যে হোটেলকে কনভার্ট করে তৈরি করা হয়েছে, আবার এরকম দেখা যাবে যে বাসা করা হয়েছিল সেটিকেও হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। কিন্ত আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে সেই অর্থে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আমাদের হাসপাতালে মোট ৫০০শ বেড রয়েছে। যার মধ্যে শুধু ক্যানসার রোগীদের জন্য ৩০০শ বেডই নিধারিত।বাংলাদেশ অনেক হাসপাতাল ক্যানসারের চিকিৎসা করে। এর মধ্যে অধিকাংশ হাসাপাতালেই শুধু নামে মাত্র ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

একজন রোগীর সেবার ক্ষেত্রে আপনারা কতটুকু সহযোগী?

বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালের পরে সবচেয়ে বড় নন প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা রোগীর সেবাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের কাছে টাকাটাই প্রধান নয় সেবাটাই প্রধান। এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো ফি নেওয়া হচ্ছে না। নামে মাত্র একটা চার্জ নেওয়া হচ্ছে। সর্বগুলো চার্জের ওয়ান থার্ড নেওয়া হচ্ছে। অর্থ্যাৎ অন্য হাসপাতালে কোনো রোগী ১০০ টাকায় যে সেবা পাবে আমরা ৩০ টাকায় সেই মানের সেবা দিচ্ছি। শুধু মেশিন মেইনটেইন চার্জ, কর্মচারীর বেতন এবং আনুসাঙ্গিক বিল সেটাই নেওয়া হয়। নো লস নো প্রফিট অঙ্গিকার নিয়ে আহসানিয়া মিশনহাসপাতাল রোগীদের উন্নতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে। 

ক্যানসারের পরীক্ষা- নিরিক্ষা করার জন্য আপনা কি ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন? 

আমাদের রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগে বিশ্বমানের প্রযুক্তির দ্বারা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপি ও ব্রে-থেরাপিরমাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কেমোথেরাপির জন্য এখানে রয়েছে বিশ্বমানের সিরিঞ্জ পাম্প, মেডিসিন ও ইনজেকশনের ব্যবস্থা। রেডিও থেরাপিতেকনভেনশনাল থ্রিডিসিআরটি, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন,আইজিআরটি, আইএমআরটি, এসআরএস, এসআরটিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করাহচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে রয়েছে ইমারজেন্সি বিভাগ যেখানে ২৪ ঘন্টায় রয়েছে দায়িত্বর ডক্টররা। মহিলাদের জরায়ু ক্যানসার চিকিৎসার জন্য রয়েছেউন্নমানের লিনাক মেশিন। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিতে এখানে ব্রেকি থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। দেশের বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে ক্যানসার রোগীদের ব্রেকিথেরাপির জন্য সময় লাগে ১৫/২০ ঘণ্টা, সেখানে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে উত্তরাস্থ আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে বিশ্বের সর্বাধুনিকপ্রযুক্তিতে মাত্র কয়েক মিনিটেই এই থেরাপি প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। 

অসহায় দুস্থ রোগীদের জন্য আপনারা কী ধরেন সুবিধা দিচ্ছেন? 

আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ৩০ পারসেন্ট রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের অন্যান্যহাসপাতালের তুলানায় প্রায় ৭০ শতাংশ কম খরচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়েও কম খরচে চিকিৎসা দিচ্ছি । যেটাবাংলাদেশে বিরল । এতো কম মূল্যে আর কোথাও ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয় না। আমাদের দেশের অধিকাংশ রোগীই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারেরতারা দেশের বাইরে যেয়ে চিকিৎস্যা নিতে পারে না । আবার অনেকের চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ নেই। সেই অর্থে তাদেরকে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে। 

ক্যানসার সচেতনতার জন্য আপনাদের কোনো ধরনের ক্যাম্পেইন করছেন কিনা?

আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে ব্রেস্ট ক্যানসার উপরে ক্যাম্পেইন চলছে। বিশ্ব ব্রেস্ট ক্যানসার ২০১৭ উপলক্ষে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে আগামী ৩১ শেঅক্টোব পর্যন্ত ব্রেস্ট ক্যানসার সম্পর্কিত সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ৩০ পারসেন্ট পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিতে ব্রেস্ট ক্যানসারনিয়ে সচেতনামূলক প্রগাম করে থাকি। শুধু ঢাকা নয় ঢাকার বাইরেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছি।

হাসপাতাল নিয়ে আপনাদের মিশন?

আমাদের মিশন হচ্ছে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের ক্যানসারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এবং আমাদের চিন্তাভাবনা হলো উত্তরা এলাকা বা এর আশেপাশের তিন থেকে চার মিলিয়ন রোগীকে যেন ক্যানসারের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারি আমরা সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি।

[প্রতিবেদনটিতে হাসপাতাল সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ফিজিশিষ্ট মোহাম্মদ শাহীন মিয়া।]

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমলারা। একই সঙ্গে দেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভুক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যমান অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতি বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে। 

 

নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।

 

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।

 

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’ 

 

জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'

 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

 

মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’ 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'


বয়লার বিষ্ফোরন   চালকল   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

আরও পড়ুন: দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, ‘আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ’।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে, শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এর আগে, গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


দুই ট্রেন সংঘর্ষ   স্টেশন মাস্টার   তদন্তে কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় মালবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কাজের সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত ৪জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও আহত থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।


ট্রেন সংঘর্ষ   বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন