ইনসাইড বাংলাদেশ

মিউজিক্যাল চেয়ারে আসীন অবাস্তব বালিশের অকেজো লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

ছোটবেলার একটা স্মৃতি খুব মনে পড়ে। ইংরেজিতে অপরাপর শিক্ষার্থীদের চেয়ে একটু ভালো নম্বর পেতাম বলে মায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে নামডাক একটু বেশি ছিল। তো, একদিন গ্রামের এক নানাভাই এসে কাছে ডাকলেন। উদ্ভট উদ্ভট সব ট্রান্সলেশন জিজ্ঞাসা করে মাথা খারাপ করে দেয়ার মতো অবস্থা। একটি ট্রান্সলেশন এখনও মনে আছে- আকাশে উড়ন্ত থাকিবার অবস্থায় পাখিটি হঠাত ডিম পাড়িয়া দিলো।

তবে সবচেয়ে সহজ ট্রান্সলেশনটি দিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক, ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো। না পাঠক, একেবারেই ভয় পাবার কিছু নেই। আমি আপনাদের ইংরেজি ট্রান্সলেশনে কতটুকু দক্ষতা আছে, তা নিয়ে মোটেই প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন করছি, আমাদের দেশের করোনা মহামারীর সময়কার নীতি-নির্ধারকেরা যে অহেতুক ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, এর দৃশ্যমান সুফলটা আসলে কোথায়? রোগী আরোগ্য লাভ করছে, এমন কথা মুখে আনাও যে পাপ!

অকার্যকর, অবাস্তব, অপরিণামদর্শী, মোট কথায় অ-যুক্ত যত উপসর্গমূলক নেতিবাচক শব্দ রয়েছে, তার সবকিছুই বাংলাদেশের লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। বিশ্বের অপরাপর দেশগুলো যখন তাদের জনগণকে বাঁচাতে মরিয়া, ঠিক তখন বাংলাদেশে যেন খেলা হচ্ছে একধরণের মিউজিকাল চেয়ার। এই মিউজিকাল চেয়ারে বসে আছে কঠোর লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, লকডাউন, বিধিনিষেধ, সবকিছু বন্ধ, গণপরিবহন বন্ধ নামক নানা প্রতিযোগিরা। তবে দুঃখের কথা হচ্ছে, কার্যকর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নামের প্রতিযোগিকে এই প্রতিযোগিতায় না নেবার কারণে সে ঘরের এককোণায় বসে হাপুস নয়নে কাঁদছে। আর সে না থাকবার কারণেই আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

গত ২৩ জুলাই থেকেই দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তাঘাটে কোনো যানবাহন নেই, কিন্তু মানুষ আছে। রেস্তোরাঁ খুব একটা খোলা পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু ফুড ডেলিভারি সার্ভিসগুলো ঠিকই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে মানুষের ঘরে। এটি খুবই চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত, কারণ মানুষের ক্ষুধাপীড়িত পেট তো আর লকডাউন মানে না। কিন্তু এর মাঝেও একটি কথা আছে। এই ডেলিভারি যারা করছে, তাদেরকে টিকা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ এখনও আমাদের সরকারের দিক থেকে নেয়া হয়নি। সুতরাং বলা যেতেই পারে, এই খাবার পরিবহনকারী মানুষগুলোর মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াবার সম্ভাবনা ব্যাপকাকারে রয়েছে।

ঈদের আগে থেকেই একেবারে সাইরেন বাজিয়ে মানুষের কানে প্যা পোঁ করে বলা হচ্ছিল যে সামনে আসতে যাচ্ছে কঠোর/সর্বাত্মক লকডাউন। মানুষও যেন এই কথায় কিছুটা নড়েচড়ে বসে। আর তাদের নড়েচড়ে বসার মানে হচ্ছে ফেরি ও লঞ্চঘাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। বাস ও রেলস্টেশনে ভিড়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের যতটা না সাফল্য, তারচেয়েও বেশি ভরাডুবি হয় এই অবাস্তব হুট করে দেয়া সিদ্ধান্তের কারণে। হঠাত করে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হলে তারা জীবিকা নির্বাহের কারণে চলে যেতে চান ঢাকার বাইরে। কারণ এই শহরে থাকলে তো আর পেট ভরছে না। এই মানুষগুলোই যখন আবার কারখানা কিংবা অফিস-আদালত খুললে মাছের ঝাঁকের মতো আসতে শুরু করে, তখন সাথে করে নিয়ে আসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ব্যাপারটি আমরা আগের কয়েকটি লকডাউনে দেখতে পেয়েছি। সংক্রমণের হার একটু কমতির দিকে থাকলে হুট করে লকডাউন দিয়ে দেয়া হয় এবং যখন তা তুলে নেয়া হয়, আবার দেখা যায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। দেশের পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ অবস্থা আমাদের ঢাকা শহরকেও পেয়ে বসেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে আমাদের প্রিয় ঢাকা সবাইকে ছাপিয়ে হাতে ব্যাটন তুলে সামনের দিকে নিনাদ তুলে এগিয়ে যাচ্ছে সগৌরবে। এই দায়গুলো আসলে কার? কে নেবে এই দায়ভার?

গত ৩১ জুলাই হুট করেই বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিকেরা তাদের শ্রমিকদের ফোনে ক্ষুদে বার্তা কিংবা কল দিয়ে জানিয়েছেন ১ তারিখ থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে কারখানা। তারা যেন চলে আসে। এমন একটি বার্তা পাঠিয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা অনন্ত জলিল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। দিয়েই তিনি তোপের মুখে পড়েছেন। একদিনের নোটিশে কারখানার শ্রমিকেরা কেমন করে ফিরে আসবেন, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলায় “কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে” এই কথাটি মুছে দিয়েছেন তিনি। তবে ক্ষতি যা হবার, আগেই তো হয়ে গিয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বললনে, যারা ঢাকার বাইরে গিয়ে আটকে থাকবে, তাদের চাকরি যাবে না। পর্যায়ক্রমে ৫ তারিখের পর তাদেরকে নিয়ে আসা হবে। আসলে তিনি কেমন হিসেব করে এই কথাটি বললেন, সে ক্যালকুলেটরটি যদি আমাদের দিতেন, খুব সুবিধে হতো। অঙ্কে আমরা বোধহয় খুবই কাঁচা। এই দেশের কত শতাংশ শ্রমিক ঢাকার স্থানীয় আর কত শতাংশ শ্রমিক ঢাকার বাইরে থেকে জীবিকার তাগিদে প্রতিবছর আসেন, তা নিয়ে কি মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাহেবের কোনো ধারণা আছে? সরকার তো ঠিকই কারখানার মালিকদের কাছে নতি স্বীকার করে কোনো কঠিন পদক্ষেপে গেলো না। বরং প্রতিমন্ত্রী সাহেব বললেন যে স্বল্প পরিসরে সবকিছুই খোলা হচ্ছে। সে হিসেবে কল-কারখানাও খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটি নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি তিনি। আমরা আরও একটি অবাস্তব সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি।

১) ঢাকার বাইরে যেসব শ্রমিকেরা গিয়েছিলেন, তাদের টিকাদান কর্মসূচী কি কারখানার মালিকেরা নিজ উদ্যোগে নিয়েছিলেন?

২) কতজন শ্রমিক ঢাকার বাইরে আর কতজন ঢাকায় আছে, তা নিয়ে কোনো সমীক্ষা হয়েছে? স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা চালাবার মতো সংস্থান কি মালিকদের আছে?

৩) সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই বলে দিয়েছিলেন যে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। সরকার ও কারখানার মালিকদের সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের এই কথাটিকেই যেন তারা বাস্তবে রূপদান করতে তৎপর হচ্ছেন।   

ট্রান্সলেশনে আছে ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা যায়। আমাদের জাতীয় ট্রান্সলেশনে রোগীরা পড়ে থাকে, অসুখে কাৎরায়। আর ডাক্তাররা কোনো খোঁজই পান না অসহায়দের। চিকিৎসা ব্যবস্থা করা তো ডুমুরের ফুলের মতোই দুর্লভ বস্তু।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো..

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   লাইসেন্সবিহীন   টিভি চ্যানেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।


সুন্দরবন   আগুন   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail চারদিকে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, মাঝখানে ঠাই দাড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কহীন ব্রীজ

চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক যুগ পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

 

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

 

এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

 

ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।


আরও পড়ুন: আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

 

স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।

 

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।'

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ব্রিজ   সংযোগ সড়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাউবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। 

বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন। 

রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।


রাষ্ট্রপতি   বাউবি   উপাচার্য   সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল বাবা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।

 

জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে  নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   অটোরিকশা   চার্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন