নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বেকারত্ব আর চাকরিতে নিয়োগের সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম। আমাদের দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাকরিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতজুড়ে বেকারত্বের অবস্থাটা আরও ভয়াবহ। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার সময়ই উঠে আসে সেই অবস্থা। অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতার চাকরির জন্যও বহু উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনের ধুম পড়ে রীতিমতো।
ভারতে বেকারত্বের ভয়াবহতার জলজ্যান্ত প্রমাণ উঠে এলো ভারতের উত্তরপ্রদেশে। সেখানে রাজ্য পুলিশের টেলিকম শাখায় নিয়োগ দেওয়া হবে ৬২ জন পিয়ন। বিজ্ঞপ্তিতে এই পদের সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী পাস। সর্বোচ্চা যোগ্যতার কোনো বিষয় নেই। পিয়ন পদে আবেদন জমা পড়েছে ৯৩ হাজার ৫০০।
গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা যায়, আবেদনকারীর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি স্নাতক, ২৮ হাজার স্নাতকোত্তর ও ৩ হাজার ৭০০ পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থী পিয়ন পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। বিপুলসংখ্যক অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর আবেদন পাওয়ায় পরীক্ষা পদ্ধতিই পাল্টে ফেলতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
পুলিশ বিভাগ জানায়, চাকরিটা অনেকটা পোস্টম্যানের মতো। ১২ বছর পর রাজ্যে এর ৬২টি পদ শূন্য হয়। নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিকে পুলিশের টেলিকম বিভাগের বার্তা এক অফিস থেকে অন্য অফিসে নিয়ে যেতে হবে।
পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন সূত্রমতে, গত ১৬ আগস্ট আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার পর ৬২টি পদের বিপরীতে তারা ৯৩ হাজার ৫০০ আবেদন পেয়েছেন। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের পাশাপাশি আবেদনকারীদের মধ্যে এমবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ও বিটেক (ব্যাচেলর অব টেকনোলজি) প্রার্থীও রয়েছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে মাত্র ৭ হাজার ৪০০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত।
এই অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর আবেদনের প্রবণতার জন্য বাজারে চাকরির অভাবকেই দায়ী করছেন পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পিয়ন পদের হলেও চাকরিটি পূর্ণকালীন সরকারি, আর শুরুর বেতন ২০ হাজার রুপি। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন বিপুলসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করায় তাদের নির্বাচনী পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে তা খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন পিয়নকে অবশ্যই সাইকেল চালানো জানতে হয়। কিন্তু এবার থেকে প্রার্থীদের মৌলিক দক্ষতা দেখার জন্য একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে মৌলিক যুক্তিবিদ্যা, প্রার্থীদের সাধারণ জ্ঞান যাচাই করার কিছু প্রশ্ন ও কিছু মৌলিক গণিত।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন