নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২০
চাকরি বা জীবিকা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠার যেন কোন শেষ নেই। শিক্ষা জীবন শেষে অনেকেই নিরন্তর ছুটে চলেন ‘চাকরি’ নামক সোনার হরিণের পেছনে। কিন্তু চাইলে খুব সহজেই করা যায় বেশ কিছু সেমি-টেকনিক্যাল কাজ। আর এই সমস্ত কাজের জন্য দরকার একটু প্রশিক্ষণ বা সময় দিয়ে দক্ষতা তৈরি করা। চলুন জেনে নেই এমন কিছু কাজ সম্পর্কে।
সংবাদ পাঠ
পার্ট টাইম বা খন্ডকালীন কাজ হিসেবে সংবাদ পাঠ বেশ জনপ্রিয়। সেইসাথে অনেকটা প্রতিষ্ঠিতও বলা চলে। খন্ডকালীন সংবাদ পাঠ বা উপস্থাপনা করে অনেকে বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকও এক সময় এই রকম উপস্থাপনা করতেন। এই ধরণের কাজের জন্য প্রমিত উচ্চারণের পাশাপাশি দরকার হয় একটু প্রযুক্তিগত দক্ষতা। তাই কেউ চাইলেই খুব সহজে করতে পারেন এই ধরণের কাজ।
সাংবাদিকতা
প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিলিয়ে বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য গণমাধ্যম। ফলে আপনি চাইলে খুব সহজেই কাজ করতে এই সমস্ত গণমাধ্যমে। খন্ডকালীন কাজের জন্য সাংবাদিকতা বেশ ভালো। এতে করে আপনার যেমন পরিচিতি তৈরি হবে। সেইসাথে তৈরি হবে ভাষাগত দক্ষতা। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতে পারেন।
ডিজাইনার
ডিজাইনের কাজের চাহিদা এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আজকাল যে কোন কাজের জন্যই কম্পিউটার ডিজাইন করা হয়ে থাকে। তবে এই ধরণের কাজে দক্ষতা অনুযায়ী সম্মানি পাওয়া যায়। আপনি যত বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন, পারিশ্রমিকও তত বেশি হবে। শুরুতে স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়েই ডিজাইনের কাজ শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে হাত রপ্ত হয়ে গেলে কাজ নিয়ে কোন ঝামেলাই থাকে না। তাই ঘরে বসে যারা খন্ডকালীন কাজ করতে চান তাদের জন্য ডিজাইন বেশ ভালো কাজ হতে পারে।
কন্টেন্ট রাইটিং
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রিক গড়ে উঠছে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য। অনলাইন মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেইসাথে সম্প্রসারিত হচ্ছে অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংও। আর এই সকল কাজে প্রতিটি পণ্যের জন্য বিস্তারিত লিখতে হয়, যা কন্টেন্ট রাইটিং হিসেবে পরিচিত। দিনে দিনে কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বেশ বাড়ছে। তাই আপনার লেখনী যদি ভালো হয়ে থাকে কিংবা আপনি যদি বেশ ভালো লিখতে পারেন। তবে খুব সহজেই করতে পারেন এই ধরণের কাজ। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ধরণের ভাষাতেই কন্টেন্ট লেখা হয়ে থাকে। তাই ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য নিজেকে একটু ঝালিয়ে নিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দ বা দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের খন্ডকালীন কাজ করতে পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এই সমস্ত কাজে খুব বেশি সময় দেওয়া দরকার হয় না। চাইলে করোনার এই সময়ে দক্ষতা অনুযায়ী ঘরে বসেই করতে পারেন এই সমস্ত কাজ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন