নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০১৭
গ্রাম থেকে এই প্রথম ঢাকা শহরে এসেছে শুভ। এসএসসি দুইবার দিয়ে কোনোরকমে পাস করেছে সে। পড়াশোনায় ভালো না বলে তাঁর পরিবার তাঁর পড়াশুনার খরচ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই কোনো কাজ করে বেঁচে থাকার তাগিদে তাকে ঢাকায় আসতে হয়েছে।
ঢাকায় আসার আগে শুভ শুনেছিল ঢাকায় টাকা উড়ে। কিন্তু এখানে আসার পর দেখে যা শুনে এসেছে তাঁর পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কারণ এই শহরে একটা কাজ পাওয়া এবং তা নিয়ে বেঁচে থাকা এত সহজ নয়। তাই গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে একপ্রকার বিপদেই পড়েছে সে।
বাংলাদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম মনে করা হয় রাজধানী শহর ঢাকাকে। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রের তাগিদে ঢাকায় এসে ভিড় করে। কিন্তু এতমানুষের ভিড়ে ঢাকাতেও কর্মক্ষেত্র হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে জেলা শহরগুলোতে কর্মক্ষেত্র তৈরি না হওয়ায় সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশে গত এক দশকে বেকারত্ব বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার কমেছে ২শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে প্রতিবছর ২৭ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করলেও সরকারি বা বেসরকারিভাবে কাজ পাচ্ছে মাত্র এক লাখ ৮৯ হাজার মানুষ। ফলে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার থাকছে।
বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশে কর্মক্ষম ২৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বেকার। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ, নারী ১২ লাখ ৩০ হাজার, যা মোট শ্রমশক্তির সাড়ে ৪ শতাংশ। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্যমতে, দেশে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বেকার যুবকের সংখ্যা এক কোটি ৩২ লাখ। বাংলাদেশে এখন ১০ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ কর্মক্ষম, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৬৬ শতাংশ।
বাংলাদেশে শুধু যারা অশিক্ষিত তাঁরাই বেকার থাকছে না। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা আরও বেশি। সাধারণত উচ্চশিক্ষিতদের মূল টার্গেট থাকে ১ম শ্রেণির চাকরিগুলো। এক্ষেত্রে তাঁরা বেশি প্রাধান্য দেয় বিসিএসকে। কিন্তু বিসিএসে সিট অনুযায়ী প্রার্থী থাকে অনেক বেশি। তাই উচ্চশিক্ষিত হয়েও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না।
বিসিএসের পর তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্যাংকের চাকরি। চলতি বছর সরকারি ব্যাংকগুলো বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আশা করা যায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া তরুণদের সহায়তা করবে। সরকারি চাকরির অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও নিয়োগ হচ্ছে কিন্তু তা খুবই কম। সরকারি চাকরিগুলোর নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি সময় ব্যয় আরও সমস্যা সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন এনজিও,কোম্পানি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে মানুষের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। অনেক চাকরিতে বেতন ও সুযোগ-সুবিধাও ভালো থাকে। কিন্তু জীবনের নিশ্চয়তা না থাকায় তরুণরা এগুলোর প্রতি তেমন আগ্রহী হয় না।
খুব ভালো না হলেও গত কয়েক বছরের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে চাকরির অনেক ক্ষেত্র তৈরি রয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে সরকার ও জনগণকে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন