নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
‘বাসায় লেবুগাছ লাগাব। এতে বাসায় লেবুর যেমন সুঘ্রাণ পাওয়া যাবে তেমনি চল্লিশ টাকা হালিতে লেবু কিনতে হবে না।’
পরের কথাগুলো আক্ষেপের সুরেই বলছিলেন মোহাম্মদপুর টাউন হলে শুক্রবার বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি। ওই বাজারে আকৃতিভেদে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিং থেকে বাজার করতে আসা ওই ব্যক্তি বলেন, লেবুর দাম এখন ডিমের চেয়ে বেশি। কী হচ্ছে সবজির বাজারে?
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন বাহারি শাকে ছেয়ে গেছে। সাজানো থরে থরে। আঁটি বাঁধা তরতাজা পালংশাক, পুঁইশাক, লালশাক, লাউশাক, মুলাশাক, হেলেঞ্চা, সর্ষে ও মটরশুটি শাক পাওয়া যাচ্ছে । দামও তুলনামূলক কম। বেশিরভাগ শাক মিলছে পাঁচ থেকে সাত টাকার মধ্যে। তবে লাউশাক ও পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন এসব শাক পেয়ে আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা।
পান্থপথ থেকে হাতিপুল কাঁচাবাজারে আসা গৃহিনী উর্মিলা জাহান বলেন, শীতের মৌসুমে এসব শাক বেশি পাওয়া যায়। দামও খুব কম। তাই পরিবারের জন্য প্রায়ই সময় শাক কেনা হয়।
শুক্রবারে সবজির চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজধানীবাসী।
বাজারে ঘুরে দেখা যায় রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া বড় আকারের ফুলকপির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
পাতাকপির দাম কত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে । গত কয়দিন ধরে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতাকপির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শিম পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরের মধ্যে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম (ওলকপি)। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেয়াজের দাম কিছুটা কমে। এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে অন্য কোনো চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫৬-৬১ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে এ চালের দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হয় ৪৮-৫০ টাকায়, পারিজাত বিক্রি হয় ৪৫- ৪৬ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫-৭৮ টাকা কেজি এবং জিরাশাইল ৫৮-৫৯ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারের লাকসাম ট্রেডার্স এর মালিক মোশাররফ বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের মিনিকেট চাল কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারেও এক টাকাই বেড়েছে।
দেশি রসুন প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যে থাকলেও আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়; যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৭০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।