আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের (বিপিএম-৬) পদ্ধতি মেনে রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজেদের হিসাবও প্রকাশ করেছে। হিসাবমতে, গত সপ্তাহের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।
আইএমএফের হিসাব মতে, বর্তমানে দেশের খরচ করার মতো রিজার্ভ রয়েছে ২৩ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বুধবারের (১৬ আগস্ট) তারিখ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের কিছু বেশি। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ কোটি ডলার কমেছে। তবে রিজার্ভ সর্বদা ওঠানামা করে। এখান থেকে আমদানি দায় মেটানো হয়।
এদিন, একই সঙ্গে নিজেদের হিসাবও দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে। সে হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৩৮ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
এদিন, একই সঙ্গে নিজেদের হিসাবও দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে। সে হিসাবে রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৩৮ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
এর আগে গত জুনে আইএমএফের বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব গণনা অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এরই মধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি বাংলাদেশ পেয়েছে।
রিজার্ভ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফ ডলার
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।