তারল্য সংকট দূর করতে অনেক ব্যাংক তুলনামূলক বেশি সুদে আমানত নিচ্ছে। কোনও কোনও ব্যাংক ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে আমানত নিচ্ছে। এর ফলে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র বলছে, বেসরকারি পদ্মা ব্যাংক এখন মেয়াদি আমানত নিচ্ছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদে। ন্যাশনাল ব্যাংক বিশেষ সঞ্চয় স্কিমে সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ তথা ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তিন বছরমেয়াদি আমানতে রাখলে দিচ্ছে সাড়ে ৯ শতাংশ মুনাফা। সংকটে থাকা কোনও কোনও ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে ব্যাংক খাতের মোট আমানত ছিল ১৬ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মে মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা, যা জুন মাসে বেড়ে হয় ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। জুলাই মাসে ব্যাংকে আমানত আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৭ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা, যা আগস্টে বেড়ে হয় ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৫০৮ কোটি টাকায়, পরের মাস সেপ্টেম্বরে আমানতের পরিমাণ ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৪০ কোটি টাকায় ও অক্টোবরে ১৬ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকায় ওঠে।
ব্যাংকাররা জানান, সচেতন মানুষ আমানত রাখার ক্ষেত্রে সুদহার বেশির চেয়ে যথাসময়ে আমানত ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার বিষয়টি বেশি বিবেচনায় নেয়। এজন্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদ অফার করলেও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত আমানত পায় না।
বেসরকারি ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন আমানতের সুদ হার বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ব্যাংকে নতুন করে টাকা রাখছেন। সংকটে পড়া ব্যাংক অনেক সময় ঋণের সর্বোচ্চ সীমার বেশি সুদে আমানত নেয়। অবশ্য সুদ বেশি সত্বেও এই ব্যাংকগুলোতে অনেকেই আমানত রাখতে চান না। কারণ সংকটে পড়া ব্যাংক আরও সংকট পড়লে আমানত ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এই ভয়ে। আর সর্বোচ্চ সুদে আমানত নিয়ে হয়তো ব্যাংকটি স্বল্প মেয়াদে টিকে থাকতে পারে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি করতে না পারলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়ে।
হঠাৎ সুদহার বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে
ব্যাংকাররা বলছেন, বেশ কিছু ব্যাংক
বর্তমানে তারল্য-সংকটে ভুগছে। এ কারণে সংকটে
থাকা ব্যাংকগুলোকে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে অন্য ব্যাংক থেকে
কল মানি ধার নিতে
হয়েছে। তাতে নগদ টাকার
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুদহার
বেড়েছে। এছাড়া এখন বছরের শেষ।
তাই ব্যাংকগুলোকে তাদের স্থিতিপত্রের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করতে হবে। তাতে
সব ব্যাংকেরই টাকার চাহিদা তৈরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।