ইনসাইড ইকোনমি

সব নাগরিক সুবিধা হারাচ্ছেন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সরকার ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল যে সার্কুলার দিয়েছে তাতে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা হারাতে যাচ্ছে বলে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী পয়লা জুলাই থেকে এই সার্কুলার কার্যকর করা হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের তথ্য অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণখেলাপিদের চিহ্নিতকরণের কাজ ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। যারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা হারাতে যাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে- 

১. বিমান ভ্রমণ করতে পারবেন না: স্বেচ্ছা ঋণখেলাপিরা বিদেশ যেতে পারবেন না। তাদের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং তারা বিমানে ভ্রমণের অধিকার হারাবেন। এর ফলে যারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হবেন, তাদের ওপর বিদেশ যাওয়া এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হল। 

২.বাড়ি, জমির ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন না: যারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হবেন তারা বাড়ি, জমির ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন না নিজের নামে। এ ধরনের কোনো কিছু তাদের থাকলে সেটা তারা বিক্রিও করতে পারবেন না।

৩. গাড়ি, কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা তাদের যে গাড়ি এবং কোম্পানির শেয়ার এবং অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কোনো কিছুই কেনাবেচা করতে পারবেন না। যদি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে কেউ তালিকাভুক্ত হন তাহলে তিনি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের যোগ্যতা হারাবেন এবং ঐ পদ থেকে তাকে সরাতে হবে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে শেয়ার বাজার থেকে তার পুঁজি তোলা বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে পারবেন না এবং নতুন নিবন্ধন করতে পারবেন না। এছাড়াও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আরও কিছু ব্যবস্থা তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায়। বলা হচ্ছে যে, একজন ঋণখেলাপি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি নাকি তিনি ব্যবসায়িক সংকটের কারণে বা জটিল পরিস্থিতির কারণে ঋণখেলাপি হয়েছে তা বিবেচনা কে করবে? এই বিবেচনার দায়িত্ব কার ওপর বর্তাবে বা এটি রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্ধারণ করা হবে কিনা সেটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ যদি একজন ব্যক্তিকে কোন ব্যাংক বিচার বিশ্লেষণ না করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করেন এবং সেটি নিয়ে যদি তিনি আদালতে যান তাহলে একটি ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আবার অনেক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি যদি ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক রেখে নিজেকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মুক্ত করতে পারেন সেটাও একটা বাজে পরিস্থিতি তৈরি করবে। তাই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা যেন নিরপেক্ষ হয়। যিনি সত্যি সত্যি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি তিনি যেন এই তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হন সেটি নিশ্চিয়তার দায়িত্ব ব্যাংকগুলো। সেটি যদি না করা যায় তাহলে এই উদ্যোগ ভেস্তে যাবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি   বাংলাদেশ ব্যাংক   সার্কুলার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এবার ঈদে প্রবাসী আয় কমেছে

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের মৌসুম ধরা হয় দুই ঈদে। ঈদকে সামনে রেখে এ সময় প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছে টাকা পাঠায়। তবে গেলো ঈদের মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে  ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার। এ মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। 

বুধবার (১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে প্রবাসী আয়ের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে মার্চ মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কিনছে। তবে সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক বেশি দামেও ডলার কিনছে বলে জানা গেছে। যদিও ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। ফলে আমদানিকারকদেরকে অতিরিক্ত দামে ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তার ওপর। দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার এখনো উচ্চ রয়ে গেছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসী আয় আসে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা এখন পর্যন্ত এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

ঈদ   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।
দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

১. ফেডারেল রিজার্ভ

তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

২. ব্যাংক অব জাপান

এটি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।

৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।

সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।

৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক

ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।

৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স

ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।

ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৬. ব্যাংক অব ইতালি

ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।

৭. ব্যাংক অব স্পেন

স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।

৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।

যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক

এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।

সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।

১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক  অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে।

চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।


বিশ্ব   ধনী   ১০টি   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলার স্বল্পতায় তিন সংকট বাড়ছে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না। 

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে। একটি হল অভিবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স পাঠানো। আর দ্বিতীয়টি হল রপ্তানি আয়। রপ্তানি আয়েও তেমন স্বস্তি নেই। তার চেয়েও বড় কথা হল রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবতার সাথে প্রকৃত আয়ের মিল নেই। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রেও যে পরিমাণ শ্রমিক বিদেশে গেছেন সেই হারে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স আসছে না। ফলে বাংলাদেশে ডলারের স্বল্পতার সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। আর এই স্বল্পতার কারণে এখন কিছু কিছু সংকট দানা বেঁধে উঠেছে, প্রবল আকার ধারণ করেছে। 

যে সমস্ত সংকটগুলো বৈদেশিক মুদ্রা বা রিজার্ভ স্বল্পতার কারণে দেখা দিচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বড় আকারে দেখা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে;

১. রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল আমদানি: বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান খাত হলো গার্মেন্টস। আর গার্মেন্টস উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। বেশীরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ডলার সংকটের কারণে এই আমদানির ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমদানির জন্য এলসি খুলতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা নানা রকম জটিলতার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। 

২. জ্বালানি সংকট: রপ্তানি আয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজন হল পর্যাপ্ত জ্বালানি। কিন্তু এই জ্বালানির সংকট এখন বেশ বড় ভাবেই দেখা দিচ্ছে এবং জ্বালানি সংকটের কারণে কেবল রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে এমনটি নয়, জ্বালানি সংকটের কারণে এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং জনজীবনে এক দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের সংকট আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

৩. বাজার অস্থিতিশীলতা: ডলার স্বল্পতার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং এর ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা রাখা দুরূহ হয়ে পড়ছে। বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা চেষ্টা করে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ যেভাবে পণ্য আমদানি হওয়া উচিত ছিল সেভাবে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। এ সমস্ত বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশে এখন অর্থনীতিতে একটি সংকট কাল চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সংকট নিরসনের জন্য নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু সে সমস্ত পদক্ষেপ গুলো কোনটাই এখন পর্যন্ত বাস্তবে আলোর মুখ দেখে নি বা কার্যকর হয়নি।


ডলার সংকট   রপ্তানি আয়   প্রবাসী আয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ  ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

অন্যদিকে বেসিক ব্যাংক বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। তারা কোনো সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায়। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরীকে ডেকে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের এই পরামর্শ দেন। অপরদিকে গত ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পর্ষদকে বেসিক ব্যাংককে একীভূত করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার জানান, কোনো ব্যাংক আমাদের একীভূত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একীভূত হতে বলেনি। ফলে কারও সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। একীভূত হতে হলে দুই পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন। না হলে সেটা অধিগ্রহণ হয়ে যায়। আমাদের নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে দেখি ব্যাংকটিকে ভালো করা যায় কি না।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা কখনও তারা নেননি। একীভূত হওয়ার ইস্যুতে পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার কেউ জানেনও না। 

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪১ বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সমস্যা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে নতুনভাবে গঠন করে দিয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে এই ব্যাংক আবার দেশের এক নম্বর ব্যাংকে পরিণত হবে।

এদিকে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তারা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে। 

এছাড়া বিডিবিএলকে একীভূত না করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছে বিডিবিএল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই দাবি না মানা হলে উত্তরাঞ্চল অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংক একীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্বল সূচকের অধিকারী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ভালো তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোও অস্বস্তিতে পড়েছে। তাছাড়া একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে থাকার ব্যাংকগুলোর নেতিবাচক অবস্থানের কারণে অস্তস্তিবোধ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া আশা আলো দেখবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এক্ষত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেয়।

ব্যাংক একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   ন্যাশনাল ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

টানা ৬ দফা কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চরম অস্থিতিশীল দেশের স্বর্ণের বাজার। চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর বিগত ৭ দিনে ৬ বারের মতো মূল্যবান এ বস্তুটির দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সর্বশেষ ভরিতে এক হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ছয় হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯১ হাজার ২০১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ সাত হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৭ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। আর সবশেষ ৬ দফা সমন্বয়েই কমেছে স্বর্ণের দাম।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে সাতবার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৯ বার। এছাড়া ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস   স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন