নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০১ জুন, ২০১৮
আগামী অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬০ হাজার কোটি থেকে সর্বোচ্চ চার লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিগত বাজেটের মতোই একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনার স্বপ্নপূরণে প্রণীত ও সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হতে যাচ্ছে।
রাজস্ব আদায়ের বড় পরিকল্পনা থাকে প্রতিবছর, আর প্রতি বছরই ব্যর্থ হতে হয় সেই লক্ষ্যপূরণে। আশংকা আছে, যে বছরটি চলে গেলো, সেই অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
একাধিকবার চেষ্টা করেও নতুন ভ্যাট আইন বাসতবায়ন করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ যেমন ছিল, তেমনি অর্থমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে সরকার ও তার দল থেকেও প্রত্যাশামতো সহযোগিতা পাননি। তবুও ভ্যাটকে প্রাধান্য দিয়েই তার রাজস্ব সংগ্রহের পথ ঠিক করেছেন তিনি। আগামী অর্থবছরের বাজেটেও রাজস্ব বোর্ডের অধীনে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটকেই। ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আয়কর। আয়কর থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আর কাস্টমস ডিউটি বা আমদানী-রপ্তানি শুল্ক থেকে সরকার আয় করতে চায় ৮৩ হাজার কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। আর নতুন বাজেটে সরকার মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। যদিও রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎস হওয়ার কথা প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর, কিন্তু বাংলাদেশে গত চার পাঁচ বছর ধরেই ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায় হচ্ছে বেশি। সেই বাস্তবতা থেকেই গত দুই বছরে সরকারও ভ্যাট থেকেই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেশি ধরছে।
আয় ব্যায়ের হিসেব বাদ দিলে, এই বাজেট বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য কতটা সুসংবাদ থাকবে তা দেখতে হবে। প্রতি বছরই বেসরকারি খাত বাজেটকে স্বাগত জানায়, কিন্তু বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন চোখে পড়েনা। ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ তিন বছর স্থবিরতা দেখা দেয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি বলে যা দেখছি তা আসলে সরকারি বিনিয়োগের কারণে।
নির্বাচনী বছরের বাজেট হিসেবে এবারের বাজেটকে বলা হচ্ছে ভোটের বাজেট। সাধারণত আমাদের দেশে যে উন্নয়ন হয় তাতে দেখা যায় যে প্রথম ৬-৭ মাস কোনো কাজই হয় না। তাই ডিসেম্বরে নিবাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে তার জন্য থাকবে বাকী ৬ মাস। বড় অংকের বাজেট যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন এমন বাজেট যেটা বাস্তবায়ন যোগ্য।
সংশোধিত বাজেটের নামে বাজেট কাটছাট করার যে পদ্ধতি তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট বানালে কাটছাট কম হয় এবং কাজ কর্মের ভিতর একটা গতিশীলতা ঠিকমতো আসে। সেটা একইসঙ্গে আয় এবং ব্যয়ের বাজেট দুটোর ক্ষেত্রেই।
বাজেটের লক্ষ্য থাকে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সর্বজনীন উন্নয়নের জন্য উঁচু বৃদ্ধির হারের কক্ষপথে পৌঁছনো প্রয়োজন। বাজেটে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়। আমাদের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই শিল্পগুলি অতি জরুরি, কারণ এখান থেকেই বহু বাণিজ্যিক উদ্যোগের সূচনা হয়, এ সব ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানও হয়। যে সংস্থাগুলি এই ক্ষেত্র থেকে সফল ভাবে পরের ধাপে পৌঁছতে পারবে, অর্থমন্ত্রী তাদের জন্য কিছু কর-বহির্ভূত ছাড় দিবেন বলে আশা করছি। এই ক্ষেত্রে অর্থ সংস্থানের সুযোগ বাড়লে এবং শিল্পমুখী গবেষণায় আরও বিনিয়োগ করা হলে এই ধরনের শিল্পের বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত হতে পারে।
অর্থনীতির স্বাস্থ্যোদ্ধারের কাজে আসন্ন বাজেটটি কতটা সহায়ক হবে, তার নির্ভর করবে বিনিয়োগ বাড়াতে কতটা উৎসাহ থাকছ তাতে। অবকাঠামোয় সরকারি উদ্যোগের প্রসার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু সেসব কাজে লাগিয়ে উৎপাদন শিল্পে বা সেবাখাতে কি বেসরকারি খাত ঝাপিয়ে পড়ছে? প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ কিংবা দেশি বিনিয়োগ কোনটিই দৃষ্টি আকর্ষণ করছেনা। বিনিয়োগকারীদের পুরোনো সব সমস্যা রয়েই গেছে, সাথে নতুন করে আলচিত হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট। বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, মূল কারণ কার্যকর সংস্কারের অভাব। সরকার অবকাঠামো নিয়ে এতকিছু বলছে বা দৃশ্যত করছে, কিন্তু দেশে যোগাযোগসহ অবকাঠামো পরিস্থিতি খুবই খারাপ।বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিও একটি বড় বাধা। যে কোনো ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়ায় পদে পদে ঘুষ দিতে হয়। দেশে কর্পোরেট করের হারও উচ্চ।
বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার হয়নি। বিনিয়োগে ১০টি বাধার ক্ষেত্র হল- ব্যবসা শুরু, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, বিদ্যুতের প্রাপ্যতা, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণের প্রাপ্যতা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর পরিশোধ, বৈদেশিক বাণিজ্য, চুক্তির বাস্তবায়ন ও অসচ্ছলতা দূরীকরণ। এর কোনোটিতেই সেই অর্থে কোন উন্নতি নেই। শিল্প ও বিনিয়োগের এসব পথের কাঁটা দূর করতে পারবেন কিনা অর্থমন্ত্রী তা দেখার অপেক্ষায় আছে জাতি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।
দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
১. ফেডারেল রিজার্ভ
তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ব্যাংক অব জাপান
এটি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।
৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।
সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।
৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।
৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স
ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।
ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৬. ব্যাংক অব ইতালি
ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৭. ব্যাংক অব স্পেন
স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।
৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক
এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।
সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে।
চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
বিশ্ব ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের মৌসুম ধরা হয় দুই ঈদে। ঈদকে সামনে রেখে এ সময় প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছে টাকা পাঠায়। তবে গেলো ঈদের মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার। এ মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে। দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।