নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি স্বর্ণাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সার্ভিসিং সেন্টারের দিকে চলে গেল। গাড়িটি ঠিক সময়ে ফিরে এসে আগামীকাল সকালে তাকে এয়ারপোর্টেও পৌঁছে দেবে। বাসায় ফেরার সময় ‘ইভ’ স্বর্ণাকে মনে করিয়ে দিলো তার কাপড় ধোঁয়ার ডিটারজেন্ট শেষ হয়ে গেছে। কোন ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট কিনতে হবে সেটার পরামর্শও সে দিলো। ইভ একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস। এটা তার ব্যবহারকারীর প্রতিমাসের প্রয়োজনীয় সবকিছুর তালিকা সংরক্ষণ করে।
স্বর্ণা নিশ্চিন্ত মনেই ইভকে বিশ্বাস করে, কারণ সে জানে ইভ তার জন্য সবচেয়ে কম দামে ডিসকাউন্ট সুবিধাসহ ভালো ব্র্যান্ডের পণ্যটিই পছন্দ করবে। স্বর্ণা এও জানে যে ইভ আগামীকালের ফ্লাইটের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছে। ভ্রমনকালীন দিনগুলোর জন্য অনলাইনে সবচেয়ে সুলভ মূল্যে পছন্দনীয় সব খাবারের লোকেশনও সেট করে রেখেছে সে। শুধু তাই নয় সঠিক ইনস্যুরেন্স পলিসি ও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতেও স্বর্নাকে সাহায্য করে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিভাইসটি। তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিনত হয়েছে ইভ।
সায়েন্স ফিকশনের কাল্পনিক কোনো যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে ইভকে? মজার ব্যাপার হলো,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইভের মতো কোনো সফটওয়্যার কিংবা ডিভাইস হয়তো আপনার হাতেও চলে আসবে। তাছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারের ব্যবহার তো বর্তমানেও রয়েছে। অ্যামাজন, বাইদু, গুগলের মত বড় বড় টেক জায়ান্টরা মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ অ্যামাজনের ইকো স্মার্ট স্পিকার সিস্টেম ব্যবহার করছে। এ্যালেক্সার মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) সফটওয়্যার গ্রাহকদের কল্পনাতীত সব সার্ভিস দিচ্ছে।
পণ্য ও সেবাদানকারী কোম্পানীগুলো সবসময়ই স্বল্প মুলধনের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ভোক্তাসন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। তাদের জিজ্ঞাসা একটাই, গ্রাহকের আর কী প্রয়োজন থাকতে পারে?
এআই প্ল্যাটফর্ম মানুষের মনের অজান্তের ইচ্ছা, পছন্দ কিংবা রুচির বিষয়গুলো কোম্পানির সামনে নিয়ে আসতে পারবে। যে কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে এআই প্ল্যাটফর্ম এর তথ্য ব্যবহার করতে পারবে, তারাই মার্কেটে রাজত্ব করবে। ভবিষ্যতে ব্র্যান্ডগুলোর এসব এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই ক্রেতা সংগ্রহ করতে হবে, এবং এর মাধ্যমেই তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইসে ব্যবহার হচ্ছে। আগামী এক দশকের মধ্যেই হয়তো অ্যাপলের সিরি, স্যামসং এর ভিভ, মাইক্রোসফটের কর্টানা, টেনসেন্টের জিওয়েই অথবা এদের মত অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের পছন্দ, শখ ও চাহিদা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। একটি ত্রুটিপূর্ণ মোবাইল ট্যারিফ প্ল্যান কিংবা খারাপ মানের ইনস্যুরেন্স পলিসির কারণে গ্রাহকের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে গ্রাহকরাও অসংখ্য পণ্য ও সেবার ভেতর থেকে কম খরচে সবচেয়ে ভালো পণ্য বেছে নেবার জন্য কোনো সফটওয়্যারের সাহায্য পেতে চাইবে।
টেকনোলজি মার্কেটিংয়ের জগতকে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে। মিডিয়া ব্যাপকভাবে মানুষের চাহিদাকে প্রলোভিত করছে। ১৯৫০ এর দশকে সুপারস্টোর প্রথা চালু হবার পর মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যানার, বিলবোর্ড ও বিজ্ঞাপনের চল শুরু হয়েছিল। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে মার্কেটিংয়ের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে বলে মনে করছে গুগল, অ্যামাজন, ইউনিলিভারের মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলো।
প্রযুক্তিবিদরা বলছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের বাসার ইন্টারফেস সিস্টেম, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেশন সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বড় বড় মার্কেট, শপিং মল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতালও এসব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হবে। যত বেশি গ্রাহক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ততবেশি সঠিক অনুমান করতে সক্ষম হবে এবং সয়ংক্রিয়ভাবে এই ক্ষমতা বাড়তে থাকবে। এমনটাই মনে করছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং বিপণন বিশারদগণ।
বর্তমানে ব্র্যান্ডগুলো তাদের গুণগত মান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তুলে ধরে ভোক্তার বিশ্বাস অর্জন করতে চেষ্টা করে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপনের ওপর আস্থা না রেখে ভোক্তারা এ আই প্লাটফর্মকেই হয়তো বেছে নেবে। কারণ এই সফটওয়্যারগুলো গ্রাহকের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে গাণিতিকভাবে সবচেয়ে সুলভ এবং মানসম্পন্ন পণ্যটিই নির্বাচন করে। আর কোম্পানীগুলোও গ্রাহকের তথ্য জানার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। কারন এটিই গ্রাহকের কাছে পৌছানোর সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। কোম্পানির বিক্রি ও লভ্যাংশ নির্ভর করে ভোক্তাসন্তুষ্টির ওপর। আর ভোক্তাদের পছন্দ, রুচি ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম ছাড়া আর কোথায় এত নিখুঁতভাবে পাওয়া যাবে?
ব্র্যান্ড যা করে তা হলো, একটা ভালো ইমেজ তৈরি করে ফেলে যার কারণে মানুষ খুব বেশি বাছবিচার না করে ওই পণ্যটিই বারবার ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি ওই পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোন পণ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা জাগলেও কয়েকশ পণ্যের মাঝে মান, উপকরন, দাম এসব যাচাই করার জন্য সময় নষ্ট করতে চায় না। এক্ষেত্রে এআই অ্যাসিস্ট্যান্টই পারে গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী হাজার হাজার পণ্যের মাঝে সঠিক পণ্যটি খুজে বের করে দিতে।
যদি এমন হয় যে, ভোক্তার কাছেই সকল পণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আছে, তবে সে ব্র্যান্ডের পেছনে না দৌড়ে ভালো পণ্যের দিকেই যাবে। তার মানে এই নয় যে ব্র্যান্ড হারিয়ে যাবে। ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকের পরিবর্তনশীল পছন্দ, কৌতুহল, ইচ্ছা ও চাহিদার তথ্য এআই প্ল্যাটফর্ম থেকেই জেনে নিতে পারবে, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য বাজারে ছেড়ে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে থাকতে পারবে।
গবেষকরা বলছেন, ব্র্যান্ড এবং ভোক্তার মধ্যে সেতু বন্ধন করবে এআই প্ল্যাটফর্ম। এতে গ্রাহকও সর্বোচ্চ সুবিধাটি পাবে, সাথে সাথে কোম্পানীগুলোও একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে পারবে।
এআই প্ল্যাটফর্মের সার্বজনীনতা নিয়েও গবেষনা করেছেন কয়েকজন বিপণনবিদ। তাদের মতে এআই প্ল্যাটফর্ম তখনই সার্বজনীন হবে যখন ব্যবহারকারীরা একে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করা শুরু করবে। তবে এর বিনিময়ে ব্যবহারকারীদের দিতে হবে নির্ভুল তথ্য। এসব প্ল্যাটফর্মকে পেইড ও আনপেইড দুধরনের বিজ্ঞাপনকেই সমান সুযোগ দিতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এতে করে ব্র্যান্ড ও ননব্রান্ড সবাই তাদের পণ্য ক্রেতার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং এআই অ্যাসিস্ট্যান্টও তার স্বচ্ছতার প্রমান দিতে পারবে। একইসঙ্গে গ্রাহকও সর্বোচ্চমানের পণ্যটি ব্যবহার করতে পারবে।
সূত্রঃ হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।
দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
১. ফেডারেল রিজার্ভ
তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ব্যাংক অব জাপান
এটি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।
৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।
সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।
৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।
৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স
ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।
ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৬. ব্যাংক অব ইতালি
ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৭. ব্যাংক অব স্পেন
স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।
৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক
এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।
সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে।
চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
বিশ্ব ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের মৌসুম ধরা হয় দুই ঈদে। ঈদকে সামনে রেখে এ সময় প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছে টাকা পাঠায়। তবে গেলো ঈদের মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার। এ মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে। দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।