নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৮
ব্রেক্সিটের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া) পর ব্রিটেনের কাছে জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) প্লাস বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সফররত বৃটিশ এমপি রুশনারা আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হলো বৃটেন। এ কারণে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছে দেশটির গুরুত্ব অনেক। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে এদেশের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রুশনারা আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বৃটেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমান প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আরো বাড়ানো সম্ভব। বৃটেনও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।’
বৃটিশ এমপি রুশনারা আলী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ বৃটেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা এদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বৃটিশ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। উভয় দেশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) এর আওতায় বাংলাদেশ বৃটেনের কাছ থেকে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে। ব্রেক্সিট কার্যকর হলে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্রিটেনের কাছ থেকে এই সুবিধা আর পাবে না এদেশের ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বাণিজ্য সুবিধা হিসেবে যুক্তরাজ্যের কাছে জিএসপি ( অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) প্লাস সুবিধা চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশ দু’টি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।