নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ঈদুল আজহা শেষ হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ। ঘরে ফেরা মানুষগুলো পুনরায় রাজধানীতে ফিরে এসেছে। গত সপ্তাহে মানুষের ভিড় তুলনামূলক কম থাকলেও ঢাকা এখন তার পুরানো রূপ ফিরে পেয়েছে। সেই সঙ্গে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোও হয়ে উঠেছে জমজমাট। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতো রয়েছে। কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও রয়েছে স্বাভাবিক।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০-২২০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে গরুর মাংসের ক্রেতা কম থাকলেও এ সপ্তাহে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০-৫০০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য মাছের তুলনায় ইলিশই বেশি। ছোট আকারের ইলিশ কেজিপ্রতি ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি রুই ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫৫০-১১০০, পাবদা ৫৫০-৬০০, পাঙ্গাস ১৪০-১৭০ টাকা, কৈ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতারা জানান, ইলিশের মৌসুম হলেও আরতগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ আমদানি হচ্ছে না। একারণে পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম না কমায় খুচরা বাজারে বেশি দামেই মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
গত সপ্তাহে ডিমের দাম একটু কম থাকলেও এ সপ্তাহে তা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৯০-৯৫ টাকা।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আলু ২৫-৩০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায়, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচসহ উস্তা, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল ইত্যাদি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।