নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান বাজার ঢাকায় মূল্যসূচক ৩৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে। শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার লেনদেন বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৪ হাজার ৯৩৩ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
অপর বাজার চট্টগ্র্ম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২১৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
বুধবার ডিএসইতে ৫০২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মঙ্গলবারের চেয়ে ৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩৭টির, কমেছে ২৮৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসই’তে বুধবার লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে এম.এল. ডাইং। এই কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ১ টাকা ৮০ পয়সা কমেছে। শেয়ার সর্বশেষ ২৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি ৩৫৪ বারে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইং। কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ২ টাকা ৬০ পয়সা কমেছে। শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি ২ হাজার ৫৮৩ বারে ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ২৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
দর পতনের তালিকার শীর্ষ দলে অন্য কোম্পানিগুলো হলো, পপুলার লাইফ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়া ফান্ড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড-১, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, এরামিট সিমেন্ট লিমিটেড, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস ও এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।