ইনসাইড ইকোনমি

বন্ডে বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সারা বিশ্বে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই  বন্ড জনপ্রিয়। কারণ এগুলোর দাম খুব বেশি ওঠা-নামা করে না অর্থাৎ বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে । এর আগে আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ বন্ড সম্পর্কে জানব।বন্ড  সাধারণ শেয়ারের মতো নয়। যারা দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্যই বন্ড।

বন্ড কি?
বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র । কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তার আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে জনগণ তথা পুঁজিবাজার থেকে বা বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট সুদ হারে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যে ঋণ নিয়ে থাকে তাকে ঋণপত্র বলে। সাধারণ শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে মুল পার্থক্য হচ্ছে  শেয়ারে আপনি লাভ নাও পেতে পারেন। কোম্পানি লোকসান দিলে তো লাভ পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না । আবার কোম্পানি লাভ করলেও  প্রয়োজন বোধে  লভ্যাংশ  নাও দিতে পারে । কিন্তু ঋণপত্রে লাভ বা সুদ নিশ্চিত ।

বন্ড-বৃত্তান্ত

  • বন্ড সরকার, সরকারি সংস্থা কিংবা বেসরকারি সংস্থা যে কেউই ইস্যু করতে পারে।
  • আপনি যখন বন্ড কেনেন, তখন লগ্নির ওই টাকা আসলে সরকার বা কোন সংস্থাকে ধার দেন। যার বিনিময়ে তারা সুদ দেয় । ফলে এ ক্ষেত্রে আপনি ঋণদাতা। আর যিনি বন্ড বাজারে ছাড়ছেন তিনি ঋণগ্রহীতা।
  • কোনো সংস্থার শেয়ার কেনা মানে আপনি খাতা-কলমে তার আংশিক মালিক। বন্ডে কিন্তু তা নয়। এখানে আপনি বড়জোর ঋণদাতা।
  • শেয়ারের কোন মেয়াদ নেই। তাই যত দিন তা না বেচে হাতে রাখবেন, তত দিন ওই ‘মালিকানা’ভোগ করতে পারবেন । কিন্তু অধিকাংশ বন্ডেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা শেষ হওয়ার পর সুদ-আসল হাতে আসলেই ওই সংস্থার সাথে লেনদেন শেষ।
  • সাধারণত ব্যাংক আমানতে সুদ কমলে, সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের দাম বাড়ে। আর সুদ বাড়লে, ঋণপত্রের দাম কমে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ড ধরে রাখলে শুরুতে তার যা দাম ছিল, সেই টাকাই ফেরত পাওয়া যায়। সাথে সুদও মিলে।


বন্ডই হোক বা শেয়ারই হোক কষ্টের টাকায় একটু ভাল রিটার্নের আশাতেই তা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করি আমরা। তাই ঋণপত্রে বিনিয়োগের আগেও তা থেকে কেমন মুনাফা পাওয়া যাবে, সেই ছবি  পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। ঋণপত্রে রিটার্ন কিন্তু ‘ইল্ডের’ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাহলে আগে দেখে নেই ইল্ড কী?

ইল্ড হচ্ছে প্রকৃত আয়।কোনও বন্ডে বিনিয়োগ করা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা বিচার করতে তার সম্ভাব্য ইল্ড-ই অন্যতম মাপকাঠি।

১. বন্ড থেকে পাওয়া ‘সুদ’যা কুপন হিসেবে পরিচিত। ধরুন, ১০০ টাকা দামের বন্ড বছরে ১০ টাকা সুদ দিলে, তার কুপন ১০%। সাধারণত এই হার পুরো মেয়াদের জন্য একই থাকে।

২. ওই কুপন না-তুললে, তা আবার বন্ডেই বিনিয়োগ হয়। ফলে সেটা কুপনের উপরি সুদ। তার মানে, প্রথম বছরে কুপন হিসেবে পাওয়া ওই ১০ টাকার উপরেও দ্বিতীয় বছরে তার ১০% (১ টাকা) সুদ পাবেন আপনি।

৩. বাজারে বন্ডের দর ওঠা-নামা করে। ফলে ১০০ টাকায় কেনা বন্ড ১০৫ টাকায় বেচতে পারলে, তা থেকেও ৫ টাকা মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব।

এই তিন ধরনের প্রাপ্তি মিলিয়ে যে মুনাফা , তা মোট বিনিয়োগের অনুপাতে কতখানি, সহজ কথায় তাই হল ওই বন্ডের ইল্ড। তাই বন্ডে বিনিয়োগের আগে ইল্ড দেখে নেওয়া জরুরি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুদিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম বাড়ল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। 

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম   বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশ উন্নত হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।’ 

মঙ্গলবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক  সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। 

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গতবছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 

পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আফ্রিকার কোন নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এ দেশের উদ্যোক্তাগণ নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন। 

এবার দু'দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একীভূতকরণের নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এর সঙ্গে একীভূত হতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই নির্দেশনা মানতে নারাজ রাকাব। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে ব্যাংকটি।

ব্যাংকের সবশেষ পর্ষদ সভায় বলা হয়, উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটির রয়েছে প্রত্যক্ষ অবদান। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। তাই একীভূতকরণের বিষয়েও ভাবতে হবে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাই যথেষ্ট নয়, লাগবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনা। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় রাকাব।

একীভূত করা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা হলেও গত ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরামর্শ দেয়। এরপর গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একে অপরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে গেল ৩ এপ্রিল সরকারি খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ৮ এপ্রিল সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংককে এবং ৯ এপ্রিল বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়।


বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক   রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছাতে কাজ করছে টিসিবি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি পণ্য যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য টিসিবি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। 

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে কূটনীতিকরা থাকেন। আমাদের দেশের সম্মান কিন্তু নির্ভর করে এই ডিপ্লোমেটদের কীভাবে রাখছি তার ওপর। বড় বড় দূতাবাস এখানে। পুলিশ বক্সের পয়েন্টের পাশে রিকশা ঘোরানোর জন্য ডিপ্লোমেটদের ১০-১৫ মিনিট যানজটে থাকতে হয়। চাইলে এই চলাচলটা খুব সহজ করে দেওয়া যায়। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এটা দেখতে বলব।  

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত।

তিনি বলেন, সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এক কোটি পরিবার প্রায় ৪-৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।  

আগামীতে টিসিবির পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের সময় ভারতে যখন পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা ছিল তখন ট্রেনে পেঁয়াজ এনে ঈদের আগে দিতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায়।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


টিসিবি   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী   পণ্য   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আহসানুল ইসলাম টিটু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

নতুন বিনিময় পদ্ধতি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবস্থা প্রণয়নে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকারদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিসক্যাল অ্যান্ড মনিটারি পলিসিস ইন দ্য ইভলভিং ইকোনোমিক অর্ডার: রিস্ক, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড সলিউশন ‘শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এবং বাংলা দৈনিক ‘বণিক বার্তা’র যৌথ আয়োজনে ‘ফার্স্ট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স, ঢাকা’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রলিং পেগ হলো বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিনিময় হারের সঙ্গে একটি মুদ্রাকে হারের একটি ব্যান্ডের মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে স্থির বিনিময় শাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ভাসমান বিনিময় হার শাসনের নমনীয়তা ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থ সচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি এবং ব্যাংক ও অধিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কিছু বিষয় শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাতে তারা স্বাধীন নীতি প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত নীতির অগ্রাধিকারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি গত ৫০ বছর ধরে একটি ফাঁদে পড়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণের প্রবাহ বাড়ানোর নীতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতের বিশেষ করে আর্থিক খাতের তথ্যের মান উন্নত করতে হবে।

তিনি সরকারের সমস্ত অফিস ও বিভাগকে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পরামর্শ দেন, কারণ ছোট ব্যয়গুলো সামগ্রিকভাবে একটি বড় পরিমাণে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি আর্থিক হিসাবের ঘাটতি সৃষ্টি করে।

তিনি মুদ্রাবাজারে উচ্চক্ষমতার মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস করার পরামর্শ দেন, যা মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তোলে।


বিনিময় পদ্ধতি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন