ইনসাইড এডুকেশন

ভিসির পদত্যাগ: শিক্ষার্থীদের দাবি নাকি গোষ্ঠীর স্বার্থ?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ভিসির পদত্যাগ: শিক্ষার্থীদের দাবি নাকি গোষ্ঠীর স্বার্থ?

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করা ২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ষষ্ঠদিনের অনশনে রয়েছেন ১২ জন শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বর্তমান চিত্র এটি।

আন্দোলনের শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রথম যখন প্রভোস্ট পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করা হয় তখন সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমর্থন ছিলো। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে আশ্বাস দিলেও কতিপয় শিক্ষার্থী সেই আশ্বাস না মেনে আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি (রোববার) বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এই ঘটনায় উপাচার্যের ভূমিকা অবশ্যই ন্যক্কারজনক এবং উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। একজন উপাচার্য কীভাবে তাঁর সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা করে সেটি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে সারাদেশের বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এই হামলার প্রতিবাদ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদও জানিয়ে মানববন্ধনও করা হয়। ওই দিন রাতেই পদত্যাগ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট। প্রভোস্টের পদত্যাগের পর আন্দোলনের ইতি সেখানেই হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এরপর প্রভোস্ট পদত্যাগের আন্দোলন উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। টানা তিনদিন ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ২৩ জন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী। তখন সেটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীর আন্দোলনে রূপ নেয়। এরফলে আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করেছে।

শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে হঠাৎ কেন আন্দোলন? এই আন্দোলনে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী রয়েছে নাকি মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষার্থী প্রভোস্ট পদত্যাগের আন্দোলনকে প্রবাহিত করে অন্যদিকে নিয়ে গেছে? শাবিপ্রবির আন্দোলনের এই সারমর্ম থেকে এটি স্পষ্ট যে, এই আন্দোলনে এখন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন অংশগ্রহণ নেই। ২৩ জন শিক্ষার্থী এখন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত। পরে অবশ্য আরও ৫ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন বলে জানা যায়। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণে কেবলমাত্র ২৩ জন শিক্ষার্থীর দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্কট নিরসনে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই তাদের সঙ্গে বসতে চাইলে তারা সেটিকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রত্যাখ্যান করে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে আলাপ করে ঢাকায় গিয়ে দেখা করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে এসে না হলে ভার্চুয়ালই আলোচনার প্রস্তাব দেয় শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে মধ্যরাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী ভার্চুয়াল আলোচনা চলে। আলোচনা শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে তাদের দাবি ও লিখিত আকারে উপস্থাপন করার কথা বললেও এতে সাড়া দেননি শিক্ষার্থীরা। মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ এই আন্দোলনকে এখন প্রশ্নবিদ্ধ করছে বটে। কেননা, শিক্ষার্থীরা সমাধানের পথে না যেয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী সাদিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর পেছনে আছেন মো. রুহুল আমিন ডিআইপি। রুহুল আমিন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাদিয়াকে এই আন্দোলন বেগবান রাখার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে এই আন্দোলনের জন্য ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৪ টাকার একটি ফান্ড গঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। সেই তহবিল সংগ্রহে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- অর্থনীতি বিভাগের মীর রানা, মাজহারুল হক পিতুল, জোবায়ের আহমেদ, শুভময় শুভ, নাদের চৌধুরী, খন্দকার শিহাব উদ্দিন শিহাব, রিশাত প্রতীক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আদনান রহমান এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সৌরভ সংলাপ চাকমা।


এদিকে আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘অনশন কর্মসূচি থেকে আমাদের সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। একশত ঘণ্টার ওপরে আমাদের সহযোদ্ধারা না খেয়ে আছেন। একজন মানুষের জীবনের চেয়ে ভিসি পদটাই বড়। প্রয়োজনে মরবো, তারপরও অনশন ভাঙবো না। অনশন ভেঙে কারও সঙ্গে আলোচনায় বসবো না।’

মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীদের এই ধরণের বক্তব্য থেকে এই আন্দোলনের পেছনে একটি ভিন্ন অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কেন আলোচনায় বসতে চান না সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। শিক্ষার্থীরা কেন এতটা আক্রমণাত্মক আচরণ করছেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রথম মেয়াদের পর দ্বিতীয় মেয়াদেও বেশ ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে মনে করেন অনেকে। ইতোমধ্যে উপাচার্য জাবি মেয়েদের নিয়ে করা বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন। তবুও হঠাৎ করে কেন মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীদের এমন আক্রমণাত্মক ভূমিকা, এমন প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। উপাচার্যের পদত্যাগই একমাত্র সমাধান নয় দাবি করে বিশ্লেষকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন আলোচনা করে সমাধানের পথে আসতে চাইছে না এটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।

এই আন্দোলন সফল হলে অন্যান্য ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে একই পন্থা অবলম্বন করা হবে এবং সেই অভিসন্ধি থেকেই মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীরা সমাধানের পথে আসতে চায় না বলে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়   শাবিপ্রবি   উপাচার্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি আজ

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। 

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রী নিয়ে কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ হাজার ১৪০ পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।

এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।


বিসিএস   পরীক্ষা   ক্যাডার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

অবশেষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৪:১৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খুলেছিল না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের বাইরের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত  আগামী  শনিবারেও (৪ মে) শ্রেণী কার্যক্রম চালু থাকবে।

এদিকে নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিনদিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন