নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর থেকে দেশের ছাত্র রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম ‘ভিপি নুর’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেউ কেউ নুরকে ‘জাতীয় নেতা’ বলেও উল্লেখ করে থাকেন। তাদের মতে, ডাকসু’র ভিপি হওয়ার পর, নুর কে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কোন কথাই বলতে শোনা যায়নি। অথচ সরকার ও রাষ্ট্র নিয়ে তার যেন মাথা ব্যাথার কোন শেষ নেই। ক্ষমতাসীন কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রবীণ রাজনীতিকদের সম্পর্কে কটূক্তি করতেও তার বাঁধে না। ডাকসু ভিপি হয়ে নুর যেন ‘জাতীয় নেতা’ হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে তাকে সুশীল কিংবা বুদ্ধিজীবীর মতো কথাবার্তা বলতেও শোনা যায়।
তবে ছাত্র রাজনীতিতে হঠাৎ এই নুর গংদের উত্থান কেন? এই বিষয়ে একেক জন একেক রকম কথা বলেন। কেউ বলেন, ভাগ্য গুণে নুর আজ এই অবস্থানে। আবার কেউ বলেন, নুরের চরিত্রের এই দিকটা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মিলে যায়। জিয়া যে রকম সবকিছুর পেছনে থাকত, আর সময় সুযোগ বুঝে স্বার্থ হাসিলে নেমে পড়ত, নুর অনেকটাই সে রকম। না হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন তো আমরাও করেছি। কিন্তু আমরা তো নুরের মতো আমেরিকান দূতাবাসে দাওয়াত পাই না। প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের জ্ঞান দিতে পারি না। আমাদের কথা তো কেউ টেলিভিশন বা পত্রিকায় তুলেও ধরে না। নুরের উত্থানের পেছনে গণমাধ্যমকেও দায়ী করেন কেউ কেউ।
তবে ক্যাম্পাসে দীর্ঘ দিন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত, এই রকম একজন ছাত্রনেতা জানান, সত্যি কথা বলতে নুর গংদের উত্থানের পেছনে ছাত্রলীগও কিছুটা দায়ী। নুর রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে ছাত্রলীগের অনেককেই অনেক সময় নানান রকম কটূক্তি করত। কোন কোন নেতা নুরকে জুনিয়র ভেবে এসব বিষয়ে পাত্তা দিতো না। কিন্তু কেউ কেউ এসবের প্রতিবাদ করেছিল। আর তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করা হতো। এভাবে খুব অল্প সময়েই নুর ক্যাম্পাসের একটা পরিচিত মুখ হয়ে উঠে। তবে নুর সারা দেশে ‘ভিপি নুর’ হিসেবে পরিচিত হলেও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে কেউ ছাত্র নেতা হিসেবে মনে করে না।
তবে নুর গংদের উত্থানের পেছনে বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছু ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণের কথা। জানা যায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা এখন নেই বললেই চলে। করোনার আগে তা, আরও ছিল না। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল বাম সমর্থিত কিছু ছাত্র সংগঠন। ছাত্রদল দীর্ঘদিন থেকেই নিষ্ক্রিয়। ক্যাম্পাসে তাদের কোন অবস্থান নেই। ডাকসু নির্বাচনে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হলেও, ফলাফলে ভয়াবহ অবস্থা। ফলে, কারচুপির অভিযোগ করার সাহসও পায়নি। আর শিবির এখন অনেকটাই আত্মগোপনে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে নুরকে দাবার গুটির মতো ব্যবহার করছে কেউ। নুর যা বলে, যা করে- আড়াল থেকে তাকে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে বলে মনে করেন ক্যাম্পাসে সক্রিয় সংস্থার কেউ কেউ। ফলে, নুর গংদের উত্থানের পেছনে একটি কুচক্রী মহল রয়েছে। যারা দেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করতেই এসব করছে, বলে মনে করেন কেউ কেউ।
মন্তব্য করুন
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির
জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফল উপস্থাপনের
পর প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির
জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।
ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির
জন্য এ বছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার
৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০
নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক
৩৩ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর
পেয়ে প্রথম হয়েছেন ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া
ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তার কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।
এ ছাড়াও পরীক্ষায় ৭৫ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে
৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০
নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের
উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ৩১০৮৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এ ছাড়াও পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল
হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা
৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে
পারবেন।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও
ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের
৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত
শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে
পাবেন। গুচ্ছভুক্ত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ ছিল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা।
বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম
এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে
যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে
প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে রোববার (৫ মে) হতে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস
বন্ধের নির্দেশ দেন।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়
বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ
থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে
এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার
(৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো..
·
তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
·
শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে
পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
·
তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার
ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের
জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে শনিবার থেকে খুলছে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে গরমের কারণে কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।
এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী রোববার থেকে।
মন্তব্য করুন