নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২১
দেশে গত ৩ দিনে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নতুন করে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আজ সোমবার একদিনে ৮৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন যে, আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা আবার বাড়ছে। আগামী কয়েকদিন যদি করোনা বাড়তে থাকে, তাহলে নতুন ধরনের সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে গণটিকা কর্মসূচির পরও করোনা পরিস্থিতি যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সরকারকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহ বিভিন্ন বিধি নিষেধ মেনে চলা সহ বিধি নিষেধ আরোপের চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, যেহেতু টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে কাজেই করোনা পরিস্থিতিটি খুব বড় আকার ধারণ করবে না।
এখন গরমের সূচনা হচ্ছে। গত এক বছরের দেখা গেছে যে, গরম পড়লেই করোনা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উপশম হয়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই সঙ্গে একমত নন। তাঁরা মনে করছেন যে, গরম বা শীতের সঙ্গে করোনার সম্পর্কের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে যদি আগামী ৭ থেকে ১০ দিন একই হারে করোনা পরিস্থিতির বাড়তে থাকে তাহলে সরকারকে অনেকগুলো বিকল্প চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে একাধিক সূত্র মনে করছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদি করোনা পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ে এবং যদি ১ হাজার করে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা তা নিয়েও কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কারণে গত এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল ঠিক একই কারণে এখন আবার নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার ব্যাপারে এতদিন ধরে যে সর্তকতা এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, তা থেকে যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর যদি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে তাহলে সেটি এক বছরের যা অর্জন সব কিছুকেই ভেস্তে দিতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। একই সঙ্গে তবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে। এই বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আগামী ৭ থেকে ১৪ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় যদি করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে তাহলে সকলকেই বিকল্প চিন্তাভাবনা করতে হবে। আবার নতুন করে সামাজিক দূরত্ব মানা সহ স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়িভাবে আরোপ জন্য সরকারকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এখন মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা কমে গেছে। জনসমাগমের মত ঘটনাগুলো বিধিনিষেধ ছাড়াই ঘটছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আগামী কয়েকদিন টানা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই ব্যাপারে কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। আর সেই প্রক্রিয়াগুলো যদি করোনা পরিস্থিতি কমিয়ে দেয় তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, এখনও অনেক সময় বাকি আছে। কাজেই ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ঠিক সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে সেক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় ৪৪তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে
উত্তীর্ণদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী
সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীখ্ষা ৮ মে শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে শেষ হবে ৩১ জুলাই।
সম্প্রতি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা, ২০২১ এর
লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক
পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের
প্রয়োজন হলে, কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
কমিশনের ওয়েবসাইট www.bpsc.gov.bd অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের
ওয়েবসাইট http://bpsc.teletalk.com.bd -এ তথ্য পাওয়া যাবে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়, আবেদনের
শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের
২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী
পাস করেন। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া
হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০,
আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন
ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল
ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা সময়সূচি
মন্তব্য করুন
আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। এদিনের সকল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে পাঠিয়েছে ইসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত ও গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী ৮ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে ভোটগ্রহণ ও উল্লিখিত পরীক্ষা কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয় বলে উক্ত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে ৮ মে এর পরিবর্তে অন্য কোনো (২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ব্যতীত) তারিখে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এই অবস্থায়, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইসির ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পুরো দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। টানা ২৮ দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ইতিহাসের ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে দেশবাসী। দফায় দফায় হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতেও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে খোলার একদিনের মাথায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা নিয়ে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন- সংবাদমাধ্যমে আসা এমন খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন তাও দেখার বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।
এর আগে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কদিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না এটা একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।
বিদ্যালয় বন্ধ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র দাবদাহ
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনের এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো প্রশাসনিক আদেশ দেয়নি। ফলে তা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।