ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমবাপের গোলে রিয়ালের বিরুদ্ধে পিএসজির জয়

প্রকাশ: ০৭:৫৪ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail এমবাপের গোলে রিয়ালের বিরুদ্ধে পিএসজির জয়

চোট কাটিয়ে ফিরলেন করিম বেনজেমা, তবে রইলেন নিজের ছায়া হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের পুরো আক্রমণভাগের চিত্রই তাই। প্রতিপক্ষের দুর্বলতায় আধিপত্য করল তারকাসমৃদ্ধ পিএসজি। তবে মিলছিল না গোল। পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না লিওনেল মেসি। অবশেষে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে।

ঘরের মাঠে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে পিএসজি।

চোট কাটিয়ে আড়াই মাস পর মাঠে নেমে দলকে জেতাতে ভূমিকা রাখলেন নেইমারও। এমবাপের দারুণ গোলটিতে দুর্দান্ত ব্যকহিলে পার্শ্বনায়ক তো তিনিই।

 হাইভোল্টেজ ম্যাচের শুরুতেই সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান আনহেল দি মারিয়া। বাঁ দিক থেকে এমবাপের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে আট গজ দূর থেকে যেভাবে উড়িয়ে মারেন আর্জেন্টাইন তারকা, তা খুবই দৃষ্টিকটু।
নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না রিয়াল। তাদের বক্সের আশেপাশে পিএসজি পজেশন ধরে রাখলেও পারছিল না সুযোগ তৈরি করতে। অষ্টাদশ মিনিটে ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন এমবাপে। তবে তার দুর্বল শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া।

প্রথমার্ধের বাকি সময়েও খেলা চলেছে একইভাবে। মাঝেমধ্যে রিয়াল সামনে এগোনোর চেষ্টা করেছে বটে, তবে সত্যিকার অর্থে এই অর্ধে দলটির আক্রমণভাগ বলতে যেন ছিল না কিছুই। বিরতির আগে গোলের উদ্দেশ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি তারা, একবারের জন্যও ভীতি ছড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষের বক্সে। অবশ্য পিএসজির এই সময়ের পারফরম্যান্সও খুব একটা প্রশংসনীয় নয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও চাপ ধরে রাখা পিএসজি ৫০তম মিনিটে লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট নিতে পারে। তবে কোর্তোয়ার বাধা এড়াতে পারেনি তারা; এমবাপের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। চার মিনিট পর গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেয় রিয়াল। টনি ক্রসের দূরপাল্লার ওই প্রচেষ্টা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

৬১তম মিনিটে আসে মেসির ওই পেনাল্টি মিসের হতাশা। এমবাপেকে ডি-বক্সে দানি কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বার্সেলোনার জার্সিতে রিয়ালের বিপক্ষে ২৬ গোল করা আর্জেন্টাইন তারকা এবার পারেননি; তার দুর্বল শট আয়ত্ত্বে পেয়ে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।

বেলজিয়ান গোলরক্ষকের এমন নৈপুণ্যও তার সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে পারল না। যেন খোলস থেকে বের হওয়ার পথই পাচ্ছিলেন না বেনজেমা-ভিনিসিউসরা।
আক্রমণের ধার বাড়াতে ৭৩তম মিনিটে দি মারিয়াকে তুলে নেইমারকে নামান কোচ। মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ড পরই মাঝ বরাবর বল নিয়ে দারুণ কারিকুরিতে আক্রমণে ওঠেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বাধ্য হয়ে তাকে ফাউল করেন দাভিদ আলাবা। কিন্তু ২০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেসি।

তিন মিনিট পর মেসির পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি শট নেন এমবাপে। বল কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

৮০ মিনিটের পর ম্যাচের গতিপথ কিছুটা পাল্টায়। যেন পথ খুঁজে পায় রিয়াল। যদিও নিশ্চিত কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ম্যাচ জুড়ে হতশ্রী ফুটবল খেলা দলটি। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা!

চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে অবশেষে জয়সূচক গোল। নেইমারের ব্যাকহিলে বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরেকজনের বাধা এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন এমবাপে। কোর্তোয়ার প্রসারিত পায়ের নিচ দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা। উল্লাসে ভাসে পিএসজি। পাক দি ফ্রাঁসের গ্যালারি হয়ে ওঠে উত্তাল।

পুরো ম্যাচেই বল দখলে আধিপত্য করে পিএসজি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের পারফরম্যান্স ছিল বেশি উজ্জ্বল। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে পাঁচ শট নিয়ে কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। সেখানে বিরতির পর আরও ১৬টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে সাতটি।

অন্যভাবে দেখলে এত এত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারাটা মোটেও সন্তোষজনক নয়। তবে ইউরোপ সেরার মঞ্চে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর মেসি-এমবাপেদের এখন উদযাপনের সময়।
রিয়ালের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত রইল পিএসজি। ২০১৯-২০ আসরে গ্রুপ পর্বে প্রথম দেখায় ৩-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ২-২ ড্র করেছিল প্যারিসের দলটি।

রিয়ালের জন্য ম্যাচটিকে বলা যায় বড় সতর্কবার্তা। গত মাসে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর থেকে দলটি যেন নিজেদের খুঁজে ফিরছে। এই সময়ে তারা ছিটকে পড়েছে কোপা দেল রে থেকে। লা লিগায় তিন রাউন্ডে জিতেছে মাত্র একটিতে।

সঙ্গে এবার বাজে পারফরম্যান্সে এই পরাজয়। সামনের ব্যস্ত সময়ে কক্ষপথে ফিরতে খুব বেশি সময় হাতে নেই। আগামী ৯ মার্চ তাদের মাঠেই হবে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ।

পিএসজি   রিয়াল মাদ্রিদ   নেইমার   মেসি   এমবাপে   বেনজেমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আজ

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগায় যেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে চার ম্যাচ হাতে রেখে আজই সেই সুযোগ ডন কার্লোর শিষ্যদের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের জেতার পাশাপাশি অপেক্ষা থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দি বার্সালোনা হারার।

আজ রাত সোয়া আটটায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম কাদিজের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জেতার পাশাপাশি রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালেই শিরোপা যাবে রিয়ালের ঘরে।

অন্যদিকে সেরা চারের রেসে টিকে থাকতে রাত একটায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ মায়োর্কা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নামছে টেবিলের শীর্ষ দুই আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বোর্নমাউথকে গানার্সআর রাত সাড়ে আটটায় উলভসকে আতিথ্য দেবে ম্যানসিটি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেস এখন কার্যত দু’দলের। লড়াইটা মূলত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের। তবে রূপালি ট্রফির পথে আপাতত এগিয়ে গানার্সরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আর্তেতার দল। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও সে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তাদের।

গেলো ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এমিরেটসে নামবে আর্সেনাল। ইনজুরি কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার খেলতে প্রস্তুত ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। শেষ ১৫ দেখায় প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে আর্সেনালকে।

অন্যদিকে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্টের পাশাপাশি উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়ার হাতছানি সিটিজেনদের। সেপ্টেম্বরে প্রথম পর্বে উলভসের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল গার্দিওয়ালার দল।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে টানা ১৯ লিগ ম্যাচ অপরাজেয় ম্যান সিটি। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত উইঙ্গার ফিল ফোডেন ও ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। আর গোলবারে ফের দেখা যেতে পারে আস্থার প্রতিক এডারসনকে।

একই দিনে লা লিগায় আজই হতে পারে শিরোপার নিষ্পত্তি। সেজন্য দুই সমীকরণ মেলাতে হবে রিয়ালকে। এক কাদিজকে হারাতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আর জিরোনার কাছে হারতে হবে টেবিলের দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনাকে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিংবা পারফরমেন্স সব বিচারেই এগিয়ে রিয়াল। প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে শেষ ৬ আর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৬ লিগ ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলে মৌসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজেয় আনচেলত্তির দল।

জিরোনার সঙ্গে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ বার্সেলোনার। একই সঙ্গে টেবিলের দু’নম্বর পজিশন হারানোর শঙ্কাও আছে কাতালানদের। কেননা দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ঘরের মাঠে শেষ ১২ ম্যাচ অপরাজিত জিরোনার বিপক্ষে গাভি-ডি ইয়ংদের পাচ্ছেন না জাভি।


রিয়াল মাদ্রিদ   বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন ব্যবসায়ে নাম লেখাচ্ছেন লিও মেসি

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।

নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।

পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’

নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন দলপতি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে হারাল কলকাতা

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতার সাথে খেলা মানেই যেন জয়জয়কার ছিল স্বাগতিকদের। তবে এক যুগ পর সেই রাজত্বের অবসান ঘটেছে। ২০১২ সালের পর অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

শুক্রবার (৩ মে) ওয়াংখেড়েতে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমেছে স্বাগতিকরা। কলকাতার জয় ২৪ রানে।

এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা। দলের জন্য বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি ফিল সল্ট (৫), সুনিল নারিন (৮), রাঘুবংশী (১৩), শ্রেয়স আইয়ার (৬) ও রিংকু সিং (৯)।

দ্রুত ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে কলকাতা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মনিশ পান্ডে। ৩১ বলে ৪২ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বদলি খেলোয়াড় ডি ব্রেভিসের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

পান্ডে আউট হয়ে গেলেও ভেঙ্কটেম হাঁকান দারুণ একটি ফিফটি। জাসপ্রিত বুমরাহের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭০ রান করেন তিনি। এই দুই ইনিংসের উপর ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা।

মুম্বাইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নুয়ান থুসারা ও জাসপ্রিত বুমরাহ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বাই। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেট ৪৯ রানের জুটি করেন সূর্যকুমার যাদব ও টিম ডেভিড।

ফিফটির (৩৫ বলে ৫৬) পর আন্দ্রে রাসেলের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ হন সূর্য। আর টিম ডেভিডকে স্টার্ক থামিয়ে দেন ২৪ রানে। এতে ৭ বল আগেই ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই। কলকাতার হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক।


কলকাতা   আইপিএল   মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স   ওয়াংখেড়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারানোর ম্যাচে মেরুন জাকেট পেলেন জাকের

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকের হারানোর ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তানজিদ হাসান তামিম, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাওহীদ হৃদয়রা। তবে তাদেরকে পাশ কাটিয়ে মেরুন জ্যাকেট উঠেছে জাকের আলী অনিকের গায়ে।

ম্যাচ শেষে জাকেরের গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয় মেরুন জ্যাকেট। সেটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আজকের অর্জন মেরুন জ্যাকেট। এটা দলের অঙ্গীকারের জন্য।’ সঙ্গে একটা ভালোবাসার ইমোটিকনও জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও উইকেটের পেছনে থেকে পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। একটি রান আউটও করেছেন তিনি। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেদিনই যাত্রা শুরু হয়েছিল মেরুন জ্যাকেটের।

তবে ম্যাচসেরা হলে বা সর্বোচ্চ রান করলেই যে শুধু এই মেরুন জ্যাকেট দেয়া হয়, ব্যাপারটা এমন নয়। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কোনো ছোট্ট পারফরম্যান্সের জন্যও ক্রিকেটাররা পাবেন এই জ্যাকেট।


জাকের আলী অনিক   বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় চমক রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জুনেই শুরু হচ্ছে ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াড ঘোষণাও শুরু করেছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার মতো দলগুলো এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। এবার চমক রেখে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শুক্রবার (৩ মে) দল ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। ঘোষিত দলে সবচেয়ে বড় চমক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ইতিহাসগড়া জয় এনে দেয়া শামার জোসেফের অন্তর্ভূক্তি। সেই সঙ্গে দলের তারকা অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সের জায়গা না হওয়া। 

জোসেফ ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ৩টি। যার সর্বশেষটি আইপিএলে লক্ষ্ণৌর হয়ে কলকাতার বিপক্ষে। সেদিন ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন। এর আগে গত বছর সিপিএলে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। ওই দুই ম্যাচেই ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন, রান দিয়েছেন ৩৯ ও ৩৩। কিন্তু কোনো উইকেটের দেখা পাননি। 

দলটির নেতৃত্বের ভার তুলে দেয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলের কাঁধে। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে আলজারি জোসেফকে। ১৫ জনের দলে ডাক পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লস, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, আকিল হোসেন ও জেসন হোল্ডারের মতো তারকারা।

আগামী ২ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের। ক্যারিবিয়রা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ গায়ানায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। মেগা আসরটিতে ‘সি’ গ্রুপে তাদের বাকি প্রতিপক্ষ– নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও উগান্ডা।

উইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল

রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুদাকেশ মতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ   বিশ্বকাপ   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন