ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জিতলো আর্জেন্টিনা


Thumbnail ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা জিতলো আর্জেন্টিনা

দুই মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা সামনে যেনো পাত্তাই পেলো না ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। এই খেলায় ৩-০ গোলের সহজ জয় পেলো আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া ও পাওলো দিবালার গোলে ফাইনালিসিমা জিতে নিলো আলবিসেলেস্তেরা। সেই সঙ্গে ১৯৮৭ সালের পর ইতালির ষষ্ঠবারের প্রচেষ্টাও বিফলে গেলো।

সবশেষ ১৯৯৩ সালে হয়েছিল ফাইনালিসিমা ম্যাচ। সেবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রায় ২৯ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, এবার তারা হারালো ইতালিকে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত রইলো আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের স্কোরলাইন হতে পারতো আরও বেশি। কিন্তু আর্জেন্টিনার সামনে বারবার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা। তার শক্ত প্রাচীর ভেদ করেই তিনবার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।

গোলের দেখা না পেলেও পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অল্পের জন্য কয়েকবার গোলবঞ্চিত হয়েছেন তিনি। তবে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এক গোলের পাশাপাশি মার্টিনেজ করেছেন একটি অ্যাসিস্ট।

ইতালিকে এই ফাইনালিসিমায় হারানোর মাধ্যমে এক বছরের ব্যবধানে দুইটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতে নিলো আর্জেন্টিনা। ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকার পর মাঝের ২৮ বছর তাদের ছিল না কোনো শিরোপা। গতবছর কোপা জেতার পর এবার ফাইনালিসিমা জিতলেন মেসিরা।

লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের এ লড়াইয়ে শুরু থেকেই আধিপত্য রেখে খেলেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট বারবার ইতালির রক্ষণে হানা দিয়েছেন লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ারা।

নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ইতালিও আক্রমণে ওঠে ২০ মিনিটের মাথায়। ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো ও গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কল্যাণে সে দফায় বিপদ ঘটেনি আর্জেন্টিনার, ভালো সুযোগ তৈরি করেও জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেনি ইতালি।

অবশেষে ২৮ মিনিটের সময় আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। দারুণ এক টার্ন নিয়ে কাছে ঘেঁষে থাকা ডিফেন্ডার ডি লরেঞ্জোকে পরাস্ত করেন মেসি। বাম পাশ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সামনে এগিয়ে বল বাড়িয়ে দেন ডি-বক্সে অপেক্ষায় থাকা লাউতারো মার্টিনেজের কাছে।

ঠিক গোলমুখে ওৎ পেতে থাকা মার্টিনেজকে বেশি কিছু করতে হয়নি। শুধু ঠিকঠাক পা লাগিয়ে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মাকে পরাস্ত করেন মার্টিনেজ, উল্লাসে মাতে পুরো আর্জেন্টাইন শিবির। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মার্টিনেজের এটি ২০তম গোল।

এক গোলের লিড নিয়ে যেনো স্বস্তিতে থাকতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তাই এগিয়ে গিয়েও কমায়নি আক্রমণের তেজ। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ে ইতালিও খুঁজতে থাকে গোলের সুযোগ। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় মেসিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইতালির লেওনার্দো বনুচ্চি।

সেই বনুচ্চির সামনে দিয়েই হয় দ্বিতীয় গোলের আক্রমণের সূচনা। মার্টিনেজকে আটকানোর দায়িত্বে ব্যর্থ হন বনুচ্চি। বল নিয়ে সোজা ওপরে উঠে যান মার্টিনেজ, তাকে সহায়তা করতে ডান দিক দিয়ে ওপরে ওঠে ডি মারিয়াও।

ডি-বক্সের কাছে গিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে বল এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। সেই বল থেকে আলতো চিপ করে ডনারুম্মার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান ডি মারিয়া। এই গোলে বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বস্তি খুঁজে পায় আর্জেন্টিনা।

নিজেদের শেষ ১৮ ম্যাচে এক গোলের বেশি হজম করেনি আর্জেন্টিনা। তাই দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির সামনে কাজটা ছিল বেশ কঠিন। সেই মিশনে নামার আগে একসঙ্গে তিন পরিবর্তন করে ইতালি। দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলতে নামা অধিনায়ক জর্জিনিও কিয়েল্লিনির জায়গায় নামানো হয় ম্যানুয়েল লাজ্জানিকে।

এছাড়া ফেডেরিক বার্নার্দেস্কি ও আন্দ্রে বেলোত্তির জায়গায় ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি ও জিয়ানলুকা চামাক্কাকে মাঠে নামান ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। অন্যদিকে দুই গোলের লিড থাকায় প্রথমার্ধের একাদশ অপরিবর্তিত রাখেন আর্জেন্টাইন কোচ।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৫ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোল হজম করতে বসেছিল ইতালি। মার্টিনেজের পাস ঠিকঠাক ধরতে পারেননি মেসি। তার পায়ে লেগে বল চলে যায় বনুচ্চির কাছে। এ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের ভুল ব্যাকপাসে বল প্রায় জালে জড়িয়েই যাচ্ছিল, গোললাইন থেকে ফেরান ডনারুম্মা।

মিনিট দুয়েক পর বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে আর্জেন্টাইন রক্ষণকে চমকে দিয়েছিলেন বদলি হিসেবে নামা লোকাতেল্লি। তবে গোলবারের নিচে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় পরম নির্ভরতায় সেটি গ্লাভসবন্দী করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

লোকাতেল্লির এই শট যেনো তাতিয়ে দেয় আর্জেন্টিনাকে। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে গোলের চারটি জোরালো সুযোগ তৈরি করে তারা। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে লং বল এগিয়ে দেন ওটামেন্ডি। সেটি ধরে দ্রুততার সঙ্গে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে যান ডি মারিয়া।

তার বাম পায়ের বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ইতালির গোলরক্ষক। সেই কর্নারেই মেসির ক্রসে বাম পায়ের জোরালো ভলি করেন ডি মারিয়া। আরও একবার কোনোমতে নিজ দলকে বাঁচান ডি মারিয়া-মেসিদের পিএসজি সতীর্থ ডনারুম্মা।

এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের সময় নাহুয়েল মোলিনার বুদ্ধিদীপ্ত পাসে ডি-বক্সের মুখে ডান পাশে বল পেয়ে যান মেসি। ডি-বক্সের মধ্যে অপেক্ষায় ছিলেন জিওভান্নি লো সেলসো। তার উদ্দেশ্যে বল এগিয়ে দেন মেসি। কিন্তু সেটি জালে রাখতে পারেননি লো সেলসো।

পরের মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে ড্রিবলিং করে ডি-বক্সে ঢুকে যান মেসি। মনে হচ্ছিল ডি-বক্সে থাকা সতীর্থ কাউকে খুঁজে নেবেন তিনি। কিন্তু আচমকা শটে ইতালির রক্ষণকে হকচকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তবে ডনারুম্মার সজাগ দৃষ্টি এড়াতে পারেননি মেসি।

আক্রমণের ছন্দে থাকা আলবিসেলেস্তেরা চার মিনিট পর আবারও ইতালির রক্ষণে কাঁপন ধরায়। অধিনায়কের উদ্দেশ্যে বল এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের বাঁকানো শট নেন মেসি। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি জালে ঢুকতে দেননি ডনারুম্মা।

একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা ইতালিকে বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হয় ফাউলের পথ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মেসিকে কড়া ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন ডি লোরেঞ্জো। চার মিনিট পর ডি মারিয়াকে ফাউল করে কার্ড দেখেন নিকোলো বারেল্লা।

এ দুই কার্ডের মাঝে মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলকে তুলে নিয়ে এজেকুয়েল প্যালাসিওসকে নামান আর্জেন্টিনার কোচ। ডি পল মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় ধারাভাষ্যকার বলছিলেন, ‘ডি মারিয়া-মেসির জন্য অবশ্যই একজন ডি পলের খুব প্রয়োজন।’ এতেই বোঝা যায় মাঠের ডি পলের প্রভাব।

ডি পল উঠে গেলেও কমেনি আর্জেন্টিনার আক্রমণ। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস থেকে ডি-বক্সে দাঁড়িয়ে বাঁকানো শট নেন লো সেলসো। হেডে সেটি ক্লিয়ার করেন ডি লোরেঞ্জো। এক মিনিট পর মেসির বাম পায়ের জোরানো শট ব্লক করেন লোকাতেল্লি।

ম্যাচের তখন বাকি দশ মিনিটেরও কম। তখন জোড়া পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনা। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর জায়গায় জার্মান পেজ্জেল্লা ও লাউতারো মার্টিনেজের বদলে আসেন হুলিয়ান আলভারেজ। মাঠে নেমে দুই মিনিটের মধ্যেই গোলের জন্য শট নেন আলভারেজ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর দেওয়া হয় অতিরিক্ত চার মিনিট। এর প্রথম মিনিটে ডি মারিয়া ও লো সেলসোকে তুলে নিয়ে দিবালা ও নিকোলাস গঞ্জালেজকে নামান স্কালোনি। মাঠে নেমে আড়াই মিনিটের মধ্যেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন দিবালা।

মাঝমাঠে অধিনায়ক মেসিকে পাস দিয়ে ওপরে উঠে যান দিবালা। সাবলীল ড্রিবলিংয়ে ডি-বক্সের মুখে চলে যান মেসি। তবে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান ক্ষণিকের জন্য। ক্ষতি হতে দেননি দিবালা। সঙ্গে সঙ্গে বলটি ধরেই বাম পায়ের নিখুঁত শটে ডনারুম্মাকে পরাস্ত করেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড।

দিবালার গোলের পরপরই বাজানো হয় ম্যাচের শেষ বাঁশি। আর ম্যাচ শেষ হতেই অধিনায়ককে শূন্যে ভাসিয়ে আরও একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের উল্লাস করে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।

ইতালি   ফাইনালিসিমা   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা খেল বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।

তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।

কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।

রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রকাশিত হল নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১০ দল। ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আসরের।

আসন্ন এ টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৩ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড নারী দল।

ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। দিনের অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল। ম্যাচটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা ৭টায়।

এবারের আসরের সবগুলো ম্যাচ হবে ঢাকা ও সিলেটে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে দলগুলো। যার মধ্যে গ্রুপ এ-তে রয়েছে: অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং কোয়ালিফায়ার ১। আর গ্রুব বি-তে রয়েছে: বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কোয়ালিফায়ার ২।

এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি-




আইসিসি   ক্রিকেট   নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দশ বছর পর আবারও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ, গণভবনে ট্রফি উন্মোচন

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানো আইসিসির টি-টোয়েন্টি সংস্করণের কোন বড় আয়োজন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই সাথে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে এবার কেবলমাত্র নারীদের টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পেয়েছে তারা।

আগামী ৩ অক্টোবর ঢাকায় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারী টি২০ বিশ্বকাপের এবারের আসর। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি।

রোববার (৫ মে) গণভবনে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এসময় ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছেছিল নারীদের বিশ্বকাপ ট্রফি। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ট্রফিও উন্মোচন করেছে সেখানেও।


আইসিসি   ক্রিকেট   নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন