ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসান


Thumbnail বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসান

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পদচারণা অনেক বছরের, কিন্তু ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি সাকিব আল হাসান। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি- তিনটি ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক ২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে। প্রথম ম্যাচে বল হাতে এলটন চিগুম্বুরার উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৩০ রান করে দলে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। সামর্থ্য প্রমাণ করে ধীরে ধীরে নিজেকে দলের অপরিহার্য সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী আইসিসি'র ওডিআই অল-রাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন সাকিব। তখন থেকেই শিরোনামে নিয়মিত আসতে থাকেন। কখনও নৈপুণ্যে আবারও কখনও ঝামেলায় জড়িয়ে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘রেকর্ডের রাজা’ সাকিব

সাকিবের ওয়ানডে রান ৬৭৫৫, টেস্ট রান ৪১১৩, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রান ১৯০৮। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার ৭৭৬ রানের মালিক সাকিব; যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

টেস্টে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ২২৪, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ওয়ানডে ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ২৮৫, দ্বিতীয় অবস্থান বাংলাদেশিদের মধ্যে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ১১৯, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয়।

টেস্টে সাকিবের অর্ধশতক ২৭, শতক ৫ ও ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রানের ইনিংস। সাকিবের ওয়ানডে ক্রিকেটে অর্ধশতক ৫০, শতক ৯টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অর্ধশতক ৯টি, ক্যারিয়ার সেরা রান ৮৪।

টেস্টে সাকিব চার উইকেট নিয়েছে ৮ বার, পাঁচ উইকেট নিয়েছে ১৮ বার, ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছে ২ বার। ওয়ানডে চার উইকেট নিয়েছে ৮ বার, পাঁচ উইকেট ২ বার। আর টি২০ ক্রিকেটে তিনবার চার উইকেট ও একবার নিয়েছে পাঁচ উইকেট।

টেস্টে সাকিবের ২১৭ বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর, ওয়ানডের অপরাজিত ১৩৪ দেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর। টি২০ ক্রিকেটের ৮৪ তৃতীয় সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর।

হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে সাকিবের অনন্য কিছু প্রাপ্তি রয়েছে। যেমন- সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার যার যেকোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। সাকিব একমাত্র ক্রিকেটার যার কিনা টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। সাকিব ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক ভেন্যুতে ৪০০০ আন্তর্জাতিক রান করে।

আইপিএলে পঞ্চম স্পিনার হিসেবে ৫০ উইকেট প্রাপ্তি, দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৫০০ রান ও ৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি।

সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান দেশের মাটিতে ছয় হাজার রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৩০০ উইকেট শিকারের অনন্য রেকর্ড গড়েছেন

সাকিবের বিশ্বকাপ রেকর্ড

ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৪৫ গড়ে ১১৪৬ রান। ২টি শতক, ১০ অর্ধশতক; সর্বোচ্চ ১২৪*। চার ১০৭, ছয় ৮টি। ৩৫ গড়ে ৩৪ উইকেট। সেরা ফিগার ৫/২৯। ফিল্ডার সাকিবের ৮ ক্যাচ।

১১৪৬ রান করে সাকিব বিশ্বকাপ ইতিহাসের নবম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে ১৬তম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট রয়েছে মাত্র তিনজন স্পিনারের।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাকিবের ৮ ম্যাচে ৮৬ গড়ে ৬০৬ রান। ২টি শতক, ৫টি অর্ধশতক, ৬০ চার, ২টি ছয়। সর্বোচ্চ ১২৪*। বল হাতে ৩৬ গড়ে ১১ উইকেট সেরা ৫/২৯। ফিল্ডার সাকিবের ৩ ক্যাচ।

সাকিব বিশ্বকাপ ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার যার বিশ্বকাপে ১১০০ রান ও ৩০ উইকেট রয়েছে। সাকিবের এই কীর্তিটা অনন্য। সাকিব ছাড়া অন্য কারো ৩০ উইকেটের সাথে ৭০০ রানও নেই। সাকিব যেখানে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

সাকিব ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার যে নির্দিষ্ট এক বিশ্বকাপে ৬০০’রও বেশি রান ও ১০টির’ও বেশি উইকেট নিয়েছে। সাকিব ছাড়া অন্য কারো ৪০০ রান, ১০ উইকেটও নেই।

প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট শিকার সাকিবের। যুবরাজ সিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে একই ম্যাচে ৫০ রান ও ৫ উইকেটের কৃতিত্ব সাকিবের। বিশ্বকাপে দুটি শতক করা ও দুবার চার বা এর অধিক উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব। ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাকিব বল করেছে ১৪৩৩টি; এরমধ্যে ডট দিয়েছে ৬৭৯ বল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সাকিবের চেয়ে বেশি বল ডট দিয়েছে মাত্র দুজন বোলার।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাডবয়’ সাকিব

মাঠ ও মাঠের বাইরে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র সাকিব। সর্বাধিক সমালোচিতও বটে। ক্রিকেটীয় নিয়ম ভঙ্গ, দর্শক পেটানো, আম্পায়ারদের সাথে বসচা, সতীর্থ ও কোচের সাথে অসদাচরণ, বিতর্কিত মন্তব্য, কখনও বোর্ডের বিরূদ্ধাচরণ, ব্যবসা-বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ঘটনায় বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।

২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রায় চার বার দর্শকদের সাথে বাজে ব্যবহার ও হাতাহাতির ঘটনায় শিরোনাম হন সাকিব। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে চলাকালে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক দর্শককে পিটিয়ে আহত করেন সাকিব। একই বছর ২০ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআই চলাকালীন ড্রেসিংরুমে অশালীন অঙ্গভঙ্গির জন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জাতীয় দলের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহার সাথে দুর্ব্যবহার, মাঠে অশোভন আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তাকে জাতীয় দল থেকে ৬ মাসের জন্য ও বাংলাদেশের বাইরের ক্লাব ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে নিষিদ্ধ করে। যদিও এই শাস্তি দেয়ার জন্য বোর্ডকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।

সাকিবের নাম জড়িয়েছে ফিক্সিং ইস্যুতেও। ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জুয়াড়িদের কাছ থেকে একাধিকবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসি বা বিসিবিকে না জানানোর অভিযোগ এনে সকিবকে দুই বছরের জন্যে আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাকিব ভুল স্বীকার করায় তা কমিয়ে এক বছর করা হয়। গত বছর জাতীয় দলের সাথে শ্রীলংকা সফরে না গিয়ে ভারতে আইপিএল খেলতে গিয়েও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জৈব সুরক্ষাবলয় ভঙ্গ করে আবার ক্ষমাও চান সাকিব। এছাড়া আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে কয়েক দফা বাজে আচরণের পর মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ম্যাচ। জরিমানা গুনতে হয় পাঁচ লাখ টাকা।

‘অধিনায়ক’ সাকিবের পতন-উত্থান

অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের শুরু মাশরাফির ‘প্রক্সি’ হিসেবে। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে আশরাফুলকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া্ হয় মাশরাফিকে। সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক। সে বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হাঁটুর ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে যান মাশরাফি। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সাকিব যেন নতুন রূপে জ্বলে ওঠেন। মাহমুদউল্লাহ্ ‘র সাথে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকের নেতৃত্ব দেন সাকিব। দু'জন মিলে মোট ১৩টি উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়। দেশের বাইরে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।

আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরেও আহত মাশরাফির বদলে দায়িত্ব পান সাকিব। উদ্বোধনী খেলায় হারলেও সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়  এবং ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়। নভেম্বর মাসে 'দ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স' সাকিবকে 'বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার' ঘোষণা করে। পুরো বছর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সাকিব আইসিসি কর্তৃক 'টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯' ও 'ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার, ২০০৯' এর জন্য মনোনীত হন তাঁর অধিনায়ককালেই।

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফর এবং ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে নেতৃত্ব দেন সাকিব। সিরিজে দল শোচনীয়ভাবে হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। একই বছর শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। এরপর ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডেতে প্রথম জয়ের দেখা পেলেও ২-১এ সিরিজ হারে বাংলাদেশ। কিন্তু স্কটল্যান্ড সিরিজে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের সাথে হারার পর সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

অক্টোবরে নিউজিল্যান্ড সফরে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান। ফলে আবারও নেতৃত্ব পান সাকিব। এই সিরিজে জ্বলে ওঠেন সাকিব। ব্যাট হাতে ২১৩ রান এবং বল হাতে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ৪-০তে সিরিজ জিতে বিদেশের মাটিতে পূর্ণশক্তির কোন টেস্ট খেলুড়ে দলকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে বাংলাদেশে আসে জিম্বাবুয়ে। সাকিবের নেতৃত্বে ৩-১ এ সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এবারও সিরিজ সেরার পুরষ্কার ওঠে সাকিবের হাতে।

২০১১ সালে মাশরাফি দলে ফিরলে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান সাকিব। অধিনায়কত্ব থেকে মুক্তির পর, বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট এবং ওডিআইয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারী হন। এরপর, সাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী এবং উইকেট শিকারী হন দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সিরিজের ২য় টেস্টে তিনি প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে একটি শতক এবং একই টেস্টে ৫ উইকেট নেন। এই সিরিজের পর তিনি আইসিসির টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন।

২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার অবসরের পর সাকিব দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান। পরে মুশফিকুর রহিমকে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লে সাকিবকে পুনরায় টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়। ২০১৯ সালে সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পর টেস্ট অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় মুমিনুলকে।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ জুন, সাকিবকে আবারও টেস্ট দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় এবং সহ অধিনায়ক করা হয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে।

সাকিব এবং সমালোচনা একই মুদ্রার দুই পিঠ। মাঠ ও মাঠের বাইরে যেখানে সাকিব আছেন সেখানে আলোচনাও থাকবে। পারফরম্যান্স ও ব্যক্তিগত অর্জনে সাকিবের সমকক্ষ যেমন নেই, তেমনি কর্মকাণ্ড ও বিতর্কেও সাকিবের জুড়ি মেলা ভার!


ক্রিকেটের   বরপুত্র   সাকিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চূড়ান্ত হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি   ক্রিকেট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন