ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাজেটে ক্রীড়াখাতের বরাদ্দ কি পর্যাপ্ত?


Thumbnail বাজেটে ক্রীড়াখাতের বরাদ্দ কি পর্যাপ্ত?

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেন। এবারের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১ হাজার ২৮১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৪০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৮৭৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা আগের বছরের বাজেটের চেয়ে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি।

জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০২১-২২ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের ৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ, গ্রামীণ খেলাধুলার মান উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করে তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।”

এছাড়া ক্রীড়াবিদদের জন্য শেখ কামাল পুরষ্কার প্রবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশী ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন ও সংস্থাকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে যা ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের প্রদান করা হচ্ছে।” 

বাংলাদেশে ‘উন্নয়ন’ বলতে মোটাদাগে বুঝায় অবকাঠামোর উন্নয়ন। ক্রীড়াখাতে যুগ যুগ ধরে কেবল ভবন, মাঠ নির্মাণ ও সংস্কারের দিকেই বেশি মনোযোগী সরকার। আর বছর ঘুরতেই তাই বাজে হেয়ে ওঠে উন্নয়নের যোগানদার। অথচ ক্রীড়াচর্চার মূল উদ্দেশ্য মানসিক ও শারীরিক বিকাশ। যে জাতি শৌর্য-বীর্যে যত এগিয়ে, জাতিগতভাবে তারাই উন্নত। অথচ বাংলাদেশে তরুণদের মানসিক বিকাশ নিয়ে অতি সামান্যই কাজ হয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে স্বল্পমেয়াদী কিছু রুটিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় দায়সারাভাবে। আয়োজকদের অভিযোগ থাকে বাজেটের স্বল্পতা অথবা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকা নিয়ে। মাঝে মধ্যে কেউ কেউ কথা বলেন। কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ হয়, ব্যস এতটুকুই। ক্রীড়া উন্নয়ন নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচির প্রচণ্ড অভাব। তাছাড়া বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কি না, তা মনিটরেরও যথাযথ ব্যবস্থা নেই। 

জাতীয় বাজেটে ক্রীড়াখাত জুড়ে দেয়া হয়েছে যুব উন্নয়নের সঙ্গে৷ ফলে খেলাধুলার ক্ষেত্রে বরাদ্দ অপ্রতুল৷ ৩০-৩৫ বছর আগে বাংলাদেশে ক্রীড়াচর্চা হতো অনেক বেশি স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে৷ সরকারের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত৷ গত ১৫-২০ বছরে স্থানীয় সাংগঠনিক পর্যায়ে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। ফলে খেলোয়াড় তৈরি বা ক্রীড়াক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে শুন্যতা। এই শুন্যতা পূরণ করতে হবে সরকারি উদ্যোগে। নইলে ক্রমবর্ধিত তরুণ সমাজ বিপথে চলে যাবে এবং অবক্ষয় ঘটবে। 

জনবহুল দেশ হিসেবে এক বছরে ক্রীড়াখাতে ১ হাজার ২৮১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। শতাংশের হিসেবে যা দশমিক তিন এরও কম৷ আসলেই কি এই বরাদ্দ পর্যাপ্ত? তাছাড়া এই বাজেট দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দেয়া হলে প্রশিক্ষণ এবং ক্রীড়া আয়োজনে সংকট তৈরি হবে, যা মেটানোর কোন উপায় থাকে না। এজন্য ব্যক্তিগত বা বেসরকারি পর্যায় থেকে যেসব খেলোয়াড়রা দেশি-বিদেশি প্রতিযোগীতায় মাঝে মধ্যে চমক সৃষ্টি করেন, তারা দ্রুতই হারিয়ে যান পর্যাপ্ত পরিচর্যার অভাবে।

ক্রীড়াসাফল্য বলতে তো মোটা দাগে বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথাই চলে আসে৷ কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের মুখাপেক্ষী না৷ আয়ে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ তাদের আয়ের উৎস এবং অঙ্ক অন্য কোন ক্রীড়া ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এজন্য ক্রিকেট ছাড়া অন্য ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন তারা চেয়ে থাকে বাজেটের দিকেই৷ আর অন্যান্য খেলাতেও যে বাংলাদেশে প্রতিভা রয়েছে, কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ আর্চারি রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টের ফাইনালে উঠে প্রমাণ দিয়েছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী জুটি৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগীতা করা এসব খেলোয়াড় প্রয়োজনীয় সাপোর্ট না পেলে অচিরেই ঝরে পড়বেন।

ক্রীড়া সামগ্রী ও খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই আমদানীনির্ভর। খেলোয়াড়দের এ সকল জিনিস চড়া দামে কিনে প্র্যাকটিস করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা পৃষ্ঠপোষকতার অভাব বোধ করেন। বা পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও তা পুরোপুরি প্রয়োজন মেটাতে পারেনা। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশেরই নিজের টাকা এগুলো কেনার সামর্থ্য থাকে না। ফলে বহু প্রতিভা ঝরে যায়। অনেকে পেশা পরিবর্তন করে দেশের বাইরে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ সরকারের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আন্তর্জাতিক পদকসহ বহু সুনাম বয়ে আনতে পারত। এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ক্রীড়া প্রতিভা লাইমলাইটে আসতে না পেরে হতাশায় খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। 

মাঠে ভাল ফল চাইলে অবশ্যই দরকার বড় প্রণোদনা৷  ক্রীড়ায় অগ্রাধিকার দিলে সবচেয়ে ‘ভালো ফল' হবে বলাই বাহুল্য। খেলার বিকাশ এবং খেলার সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দায়িত্বও রাষ্ট্রের। কারণ খেলার সুযোগ সৃষ্টি করলেই তো তৈরি হবে খেলোয়াড়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান দরকার৷ তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট থাকা উচিৎ। সামগ্রিক মেধা-মননের যথাযথ বিকাশে এর বিকল্প নেই। সর্বস্তরে ক্রীড়া ছড়িয়ে দিতে পারলে জাতির জন্য তখন সত্যিকার অর্থেই হবে শক্তি। ক্রীড়ার এই শক্তি থেকে মিলবে সামাজিক অনাচার থেকে মুক্তি৷ এর জন্য চাই বড় অঙ্কের বরাদ্দ। জাতীয় বাজেটে এই খাতের বরাদ্দে এবার কি থাকবে তার প্রতিফলন?

ক্রীড়াখাত   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চূড়ান্ত হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি   ক্রিকেট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন