ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব ফুটবলের অগ্রযাত্রায় কেন বাংলাদেশের এই অধপতন?


Thumbnail বিশ্ব ফুটবলের অগ্রযাত্রায় কেন বাংলাদেশের এই অধপতন?

ফুটবল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। গতিময় ফুটবলের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে স্কিল। নতুন নতুন টেকনিক ও ট্যাকটিক্স দেখা যাচ্ছে ফুটবলের মাঠে। তাতে খেলা যেমন উপভোগ্য হচ্ছে, তেমনি লড়াইটা আরও কঠিনতর হচ্ছে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ব্যবধান কমছে। শুধু ইতিহাস আর ঐতিহ্য দিয়ে এখন আর ফুটবলকে মাপার সুযোগ নেই। ফলে নতুন নতুন দল, ও দেশ থেকে উঠে আসছে প্রতিভাধর ফুটবলার। তৈরি হচ্ছে নতুন তারকা।

ফুটবলে পিছিয়ে থাকা এশিয়া মহাদেশের দলগুলোর উন্নতি কিছুটা মন্থর হলেও বড় টুর্নামেন্টে চমক সৃষ্টি করছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ইরান সে ধারাবাহিকতা রেখেছে। সবাইকে চমক দেখিয়ে কাতার তো বিশ্বকাপেরই আয়োজন করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ফুটবলে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশ? ফুটবলে বাংলাদেশ কি থেমে আছে, নাকি উল্টো পথে যাচ্ছে, সেটাই এখন গবেষণার বিষয়!

বিশ্ব ফুটবলের র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এমনিতেও তলানিতে। এবার আরও পেছালো। দুই মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ফুটবল র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়েছে ছয় ধাপ! এ বছরের মে'তে ১৮৪তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ, এরপর চার ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮৮তম স্থানে। এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচ হেরে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে আরও চার ধাপ নেমে  বাংলাদেশ এখন ১৯২তম। তিন বছরের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন র‍্যাংকিং। এর আগে সর্বনিম্ন র‍্যাংকিং ছিল ১৯৭তম স্থানে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর ১৯৯৬ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ র‍্যাংকিং ছিল ১১০তম স্থানে।

ফিফা র‌্যাংকিংকে বলা হয় একটি দেশের ফুটবল আয়না। উন্নতি-অবনতির প্রমাণ যে এটি দিয়ে বোঝা যায়। এবার আড়াই মাস পর ফিফা অধিভুক্ত দেশগুলোর কি অবস্থান সেটি জানানো হয়েছে। ২১০ টি দেশের মধ্যে এখন বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়েছে আরও চার ধাপ। সে হিসেবে বাংলাদেশের পরে আছে কেবল ২১টি দেশ! যাদের নাম-পরিচয় খুব কম মানুষই জানে।যে ভারতকে একটা সময় বাংলাদেশের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবা হতো তারা এখন ১০৭ এ অবস্থান করছে। এই দেশটি নিজেদের ইতিহাসে ৯৬ পর্যন্ত উঠে গিয়েছিলেন। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান অনেকটাই তিমিরে রয়েছে। যে মালদ্বীপকে একটা সময় ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিত সেই দ্বীপ রাষ্ট্রটি রয়েছে ১৫৮ নাম্বারে।

কিন্তু বাংলাদেশ কেন প্রত্যাশামাফিক উন্নতি করতে পারছে না, সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। রুগ্ন অবস্থা থেকে স্বাস্থ্যাবান অবস্থা তো পরের কথা, মোটামুটি পর্যায়েও আসতে পারছে না। অথচ ফুটবল আমাদের জাতীয় খেলা না হলেও সবচেয়ে জনপ্রিয়, তাতে সন্দেহ নেই। আবাহনী-মোহামেডান উত্তুঙ্গ দ্বৈরথ কে না জানে? সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সাফ গোল্ডকাপ তো বাংলাদেশেরই অর্জন ছিল। ফুটবল আমাদের সে সময় স্বপ্ন দেখিয়েছিল বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগীতা করার। 

গ্যালারি ভরা দর্শকের মাঠ আজ শূন্যে হাহাকার। দর্শক আর ফুটবল ঘুমিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে গন্তব্যহীন পথে। একের পর এক ব্যর্থতা আর নানা দুর্নীতির জাতাকলে পড়ে ফুটবলের গৌরব হারিয়ে গেছে। আর তখন থেকেই ক্রিকেটের জয়গান শুরু। আর এখন ক্রিকেটের জয়োৎসবের ছায়ায় পড়ে ফুটবল লুকিয়ে গেছে লজ্জার চাদরে। আর ফুটবলটা ওই যত্নহীন মাঠেই পড়ে আছে। দিনের পর দিন প্রিয় ফুটবলের ব্যর্থতার দায়ভার ফুটবলের নীতিনির্ধারক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন- বাফুফের। তারা এক যুগের বেশি সময় ধরে ফেডারেশনে রাজত্ব করলেও ফুটবল ও ফুটবলারদের জন্য কিছুই করতে পারেননি। তাদের সমস্ত উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ফেডারেশনের নির্বাচন ঘিরে! এবং ঘুরে-ফিরে তারাই ফুটবলকে নিজেদের আখের গোছানোর ব্যবসা বানিয়ে বসে আছেন। 

বাফুফের বর্তমান কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ তরুণরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছে প্রতিক্রিয়া। ফুটবলপ্রেমী সমর্থকরা তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। তাদের আছে সাহস, শক্তি, উদ্যেম। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছার। যেখানে একটা ফুটবল একাডেমি নেই, সেখানে কীভাবে ফুটবলের পাইপলাইন তৈরি হবে? সবার আগে আধুনিক জিমনেসিয়াম সমৃদ্ধ ফুটবল একাডেমি প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি কোচিং স্টাফ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়া, স্পন্সরশিপের পৃষ্ঠপোষকতা ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে পারে। প্রয়োজন একটি সঠিক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা। এক যুগের পরিচর্যার সক্ষমতা নিয়ে এগোলে ইতিবাচক ফলাফল অন্তত আশা করা যায়। স্কুল ফুটবল, জেলা লিগের মত মাঠ পর্যায়ের টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলে ভাল খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। দেশের ক্লাবগুলো পেশাদারি মনোভাব নিয়ে দল সাজিয়ে আধুনিক একাডেমি করুক। বয়সভিত্তিক দলগুলোর পরিচর্যা হোক আধুনিক ফুটবলের মানদণ্ডে। ইতিবাচক ফল আসতে বাধ্য। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সুদৃষ্টিই পারে ফুটবলের বর্তমান দীনহীন প্রেক্ষাপট বদলে দিতে।

বাংলাদেশ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চূড়ান্ত হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি   ক্রিকেট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন