জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে ওয়ান ডে সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে জয়ে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ
দল। এরই সাথে আজ হারারে স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে রক্ষা পায় টাইগার
দল।
টস হেরে প্রথমে
ব্যাটিং করতে নেমে বিজয় ও আফিফের অর্ধশতকের সাহায্যে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৫৬ রান সংগ্রহ
করে তামিম ইকবালের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলিং এর সামনে যেনো দাঁড়াতেই
পারেনি স্বাগতিকরা। ৩৩ তম ওভারে ওভারে ১৫১ রানের মধ্যে গুটিয়ে যায় রেডিশিয়ানদের ইনিংস। মুস্তাফিজের
৪ উইকেটের পাশাপাশি এবাদত ও তাইজুলের দু’টি করে উইকেটের বিনিময়ে জয়ের দিকে সহজেই এগিয়ে
যায় বাংলাদেশ।
বোলিং করতে
নেমে প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়েই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ।
ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন তাকুদজানাশে
কাইতানো (০)।
পরের ওভারে
মেহেদি হাসান মিরাজ বোল্ড করে দেন তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে (১)। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে
গিয়ে বলের লাইন মিস করে স্টাম্প হারান এই ওপেনার।
টেস্টে নিজেকে
প্রমাণ করেছেন, এবার ওয়ানডে অভিষেকটাও দারুণ ভাবে জ্বলে উঠলেন এবাদত হোসেনের। প্রথম
ম্যাচে উইকেটের জন্য তার অপেক্ষা করতে হলো মাত্র ৯ বল। শুধু একটি উইকেট নয়, এক ওভারে
টানা দুই বলে দুই শিকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে এবাদতের
লাফিয়ে উঠা ডেলিভারি বুঝতে না পেরে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ওয়েসলে মাদভেরে (১)।
পরের ডেলিভারি
রীতিমত বিস্ময় লাগিয়েদুর্দান্ত ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজাকে ইয়র্কারে বোল্ড করে শূন্য
রানে সাজঘরে ফেরান এবাদত।
এবাদতের পর
প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেট পান তাইজুল ইসলাম। এরপরেই নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন তাইজুল
ইসলাম। এবার তিনি ফিরিয়ে দিলেন টনি মুনিয়োঙ্গাকে। বাঁহাতি স্পিনারকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে
অনেকটা বেরিয়ে এসে বলের লাইন পুরোপুরি মিস করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল ধরে স্টাম্প
ভেঙে দেন কিপার মুশফিকুর রহিম। ১৮ বলে ১৩ রান করে ফিরলেন মুনিয়োঙ্গা
একাদশে ফিরে নিজের ৩ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমেই ফিরিয়ে দিলেন লুক জঙ্গুয়েকে। এরপর শিকার অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডে। সবশেষে ক্রিস অভান্সকে নিজের শিকার বানালেন তিনি।কফিনের সর্বশেষ পেরেক গাথেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
এর আগে সম্মান
বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে চাপেই পড়েছিলো বাংলাদেশ। সম্মান বাঁচানোর ম্যাচ। তাতে
শুরুতেই সম্মানহানি হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তোপে ৪৭ রানে ৩ উইকেট
হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে এনামুল হক বিজয় আর আফিফ হোসেনের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে
২৫৬ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
হারারেতে সিরিজের
তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরুই করেছিলেন তামিম ইকবাল।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার আভাস দেন তিনি। অধিনায়কের
দেখাদেখি হাত খুলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ান আরেক ওপেনার বিজয়ও।
কিন্তু ইনিংসের
অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে হয় সর্বনাশ। অফসাইডের দিকে খেলেই সিঙ্গেলের জন্য ডাক দেন বিজয়।
সাড়া দিয়ে প্রায় মাঝ পিচে চলে যান তামিম। কিন্তু স্কয়ার অঞ্চল থেকে বলটি থামিয়ে দেন
ওয়েসলে মাধভের। তার থ্রো ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে ১৯ রান করা তামিমের বিদায়ঘণ্টা বাজান এনগারাভা।
সেই ওভারেই
এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি ছক্কা হাঁকান বিজয়। কিন্তু পরের ওভারেই
ঘটে বিপর্যয়। ওভারের প্রথম বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন নাজমুল শান্ত। দুই বল
পর আপার কাট করে থার্ড ম্যাচে এনগারাভার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন মুশফিকুর রহিম।
দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দুই ওভারের
মধ্যে তিন উইকেট হারালেও সাহস হারাননি বিজয়। বরং যেখানে থেমেছিলেন তামিম, সেখান থেকেই
দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন এ ডানহাতি ওপেনার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই ফাইন লেগ
দিয়ে ছক্কা হাঁকান তিনি। দুই ওভার পর ব্র্যাডলি ইভান্সকে ভাসান স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে।
ইনিংসের ১৭তম
ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূরণ করেন বিজয়। সাবলীল ব্যাটিংয়ে
মাত্র ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে এ রান করেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বিজয়ের এটি পঞ্চম
ফিফটি, চলতি সিরিজের দ্বিতীয়। ফিফটির পরেও থামেনি বিজয়ের ব্যাট।
২১তম ওভারে
ইভান্সের করা পায়ের ওপরের ডেলিভারিতে দারুণ এক ফ্লিক শটে সোজা গ্যালারির ছাদে পাঠিয়ে
দেন এ ডানহাতি ওপেনার। পরের বলেই আবার হাঁকান বাউন্ডারি। অপরপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহ
ধীর ব্যাটিং করায় দলীয় শতরান পূরণ করতে খেলতে হয় এই ২১তম ওভার পর্যন্ত।
মনে হচ্ছিল
প্রথম ম্যাচের না পাওয়া সেঞ্চুরিটি আজ হয়তো করে ফেলবেন বিজয়। কিন্তু লুক জঙউইর করা
২৫তম ওভারে ঘটে বিপক্ষে। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে লেট কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে
ধরা পড়েন বিজয়। তার ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চারের সঙ্গে ৪টি ছয়ের মার।
এরপর আফিফ হোসেনের
সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৫৭ বলে ৪৯ রানের জুটি। জুটিটি ভাঙে ধীরগতির মাহমুদউল্লাহ এনগারাভার
একটি বল উইকেটে টেনে এনে বোল্ড হলে। ৬৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর মেহেদি
হাসান মিরাজও ২৪ বলে ১৪ রান করে সিকান্দার রাজার বলে এলবিডব্লিউ হন। তাইজুল রানআউট
হন ৫ রানে। ২২০ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে
আফিফ হোসেন ধ্রুব প্রায় একাই দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ইনিংসের শেষ
পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থেকে বাংলাদেশকে এনে দেন ২৫৬ রানের সংগ্রহ। ৮১ বলে আফিফের ৮৫
রানের ইনিংসটিতে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার মার।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাড ইভান্স আর লুক জঙউই।
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।
বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।
পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।
মন্তব্য করুন
চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।
সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।
প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।
দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।
সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।
১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।
এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।
এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।
সাকিব আল হাসান ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ রাজা
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।
আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে।
১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।
মন্তব্য করুন
গত
ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন
জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের
অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
গত
ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন
জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে
বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।
মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল,
কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের
মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।
এ ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি।
জিনেদিন জিদান বায়ার্ন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ
মন্তব্য করুন
বুন্দেসলিগায় যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বায়ার লেভারকুসেন। দলটি চলতি বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত করেছে আগেই। গতকাল নিজেদের ৩২ তম ম্যাচে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা। আর এ ম্যাচে তুলে নেই ৫-১ গোলের বিশাল জয়। আর এ জয়ে টানা ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: ভক্তকে সাকিবের চড় মারতে চাওয়ার গুঞ্জন, আসলে ঘটনা কী?
বায়ার লেভারকুসেন তাদের এই জয়ের মধ্যে দিয়ে ভাগ বসিয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডে। সেই সাথে সুযোগ রয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডটি ভাঙ্গারও। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ বে অ্যারেনায় ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে মাঠে নামবে লেভারকুসেন। প্রথম লেগে ২-০ এগ্রিগেটে এগিয়ে আছে লেভারকুসেন।
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে টি-২০ বিশ্বকাপ, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা
আরও পড়ুন: লিটন ফর্মে ফিরবেন কবে?
রবিবার (৫ মে) বুন্দেসলিগার
ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছির লেভারকুসেন। ম্যাচটিতে শুরু থেকেই
দাপট দেখায় লেভারকুসেন। ম্যাচের ১২ তম মিনিটে গ্রানিত শাকার করা গোলে এগিয়ে যায় দলটি।
এরপরই শুরু হয় ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেনের’ দাপট। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয় ফ্রাঙ্কফুর্টের
রক্ষণভাগ।
শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঙ্কফুটের
ঘরের মাঠে থেকে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভির শিষ্যরা।
ম্যাচের ৩২ তম মিনিটে ফ্র্যাঙ্কফুটের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হুগো এটিটি।
বুন্দেসলিগা বায়ার লেভারকুসেন রেকর্ড দ্য কোম্পানি ইলেভেন
মন্তব্য করুন
গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।