ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডি ইয়ংয়ের জন্য ৫৬৮ কোটি টাকা দিতে রাজি লিভারপুল

প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ডি ইয়ংয়ের জন্য ৫৬৮ কোটি টাকা দিতে রাজি লিভারপুল

নতুন মৌসুমে শেষ কিছু দিনে মাঝমাঠ নিয়ে বেশ সঙ্কটে আছে লিভারপুল। চোটের কারণে একে একে খেলোয়াড় হারাচ্ছেন কোচ ইউর্গেন ক্লপ। মিডফিল্ড সমস্যা সমাধানে এবার বার্সেলোনার দিকে চোখ রেখেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। কাতালান শিবর থেকে ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে দলে ভেড়াতে চাইছে অল রেডসরা।

গেলো মাসগুলোতে লিভারপুলের মিডফিল্ডার কেনার গুঞ্জন উঠেছে অনেক। মৌসুম শুরুর পর থেকে একের পর এক মিডফিল্ডারের চোতে ক্রমেই ভারী হচ্ছে সেই গুঞ্জন। চোটের কারণে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন না কচ ক্লপ। থিয়াগো আলকান্তারা, নাবি কেইটা, কারতিস জোনস, অ্যালেক্স অক্সলেইড চেম্বারলেইনরা চোট নিয়ে আছেন মাঠের বাইরে। সে কারণেই বার্সার মাঝমাঠে নজর পড়েছে কোচ ক্লপের।

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম এল নাসিওনাল জানাচ্ছে, ডি ইয়ংকে দলে ভেড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লিভারপুল। আগামী সপ্তাহেই শেষ ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময়। তার ঠিক আগেই ডি ইয়ংয়ের জন্য বার্সাকে প্রস্তাব দিতে চায় অল রেডরা।

ডাচ এই মিডফিল্ডারের বার্সেলোনায় থাকাটা নানা কারণেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তার প্রধান কারণটা হলো বার্সার অর্থনৈতিক অবস্থা। তার ওপর তিনি যে বেতন নিচ্ছেন, সে অনুপাতে পারফর্মও করতে পারছেন না বলে অভিযোগ আছে বেশ। যদিও বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ তাকে দলে রাখতে চান।

ডি ইয়ংকে দলে ভেড়ানোর জন্য চেলসিও চেষ্টা করেছে বেশ। তবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন। তার সাবেক গুরু এরিক টেন হাগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার কারণেই এই গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল বেশ। তবে শেষমেশ শোনা যায় ডি ইয়ং যেতে চান এমন এক ক্লাবে, যারা খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ইউনাইটেড শেষমেশ তাকে দলে ভেড়াতে পারেনি এই কারণেই, চলতি মৌসুমে যে ইউরোপা লিগে খেলতে হবে তাদের! 

এরই মধ্যে এবার তাকে নিয়ে যাওয়ার ফন্দি আঁটছে লিভারপুল। এল নাসিওনাল জানাচ্ছে, রেডরা ৪৯২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিতে চায় বার্সাকে। বাকি ৭৬ কোটি টাকা দলটি দিতে চায় নানা শর্তপূরণ সাপেক্ষে।

বার্সেলোনাও তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে এক্ষেত্রে প্রস্তাবটা যুতসই হতে হবে, কাতালানদের চাওয়া এমনই। চলতি দলবদলে বেশ কিছু খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে লা ব্লাউগ্রানারা। তবে তার শেষজন জুলস কুন্দেকে এখনো নিবন্ধন করাতে পারেনি ক্লাবটি। ডি ইয়ং চলে গেলে সে বাধাটাও থাকবে না আর। ফলে ডাচ এই মিডফিল্ডারের চলতি দলবদলেই বার্সেলোনা ছাড়ার সম্ভাবনাটা বাড়ছে ক্রমেই।


ফুটবল   ডি ইয়ং   লিভারপুল   বার্সা   দলবদল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় চমক রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জুনেই শুরু হচ্ছে ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াড ঘোষণাও শুরু করেছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার মতো দলগুলো এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। এবার চমক রেখে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শুক্রবার (৩ মে) দল ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। ঘোষিত দলে সবচেয়ে বড় চমক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ইতিহাসগড়া জয় এনে দেয়া শামার জোসেফের অন্তর্ভূক্তি। সেই সঙ্গে দলের তারকা অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সের জায়গা না হওয়া। 

জোসেফ ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ৩টি। যার সর্বশেষটি আইপিএলে লক্ষ্ণৌর হয়ে কলকাতার বিপক্ষে। সেদিন ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন। এর আগে গত বছর সিপিএলে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। ওই দুই ম্যাচেই ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন, রান দিয়েছেন ৩৯ ও ৩৩। কিন্তু কোনো উইকেটের দেখা পাননি। 

দলটির নেতৃত্বের ভার তুলে দেয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলের কাঁধে। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে আলজারি জোসেফকে। ১৫ জনের দলে ডাক পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লস, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, আকিল হোসেন ও জেসন হোল্ডারের মতো তারকারা।

আগামী ২ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের। ক্যারিবিয়রা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ গায়ানায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। মেগা আসরটিতে ‘সি’ গ্রুপে তাদের বাকি প্রতিপক্ষ– নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও উগান্ডা।

উইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল

রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুদাকেশ মতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ   বিশ্বকাপ   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির স্কোয়াডে বাংলাদেশি!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। 

অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াড ঘোষণাও শুরু করেছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। এবার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যেখানের সদস্য সংখ্যা ২৬ জন।

নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন? অবাক হওয়ারই কথা, কেননা এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ১৫ জনের দল দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে ২৬ সদস্যের দল! আসলে এটি হলো বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যারা পরিচালনা করবেন তাদের দল।

এবারের আসরে আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলাবেন ২০ জন। ম্যাচ রেফারি হিসেবে দেখা যাবে ছয়জনকে। সর্বমোট তাদের সংখ্যা ২৬ জন। যেখানে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন একজন। তিনি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। শুক্রবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার প্যানেল ঘোষণা করে আইসিসি। 

৫৫ ম্যাচের টুর্নামেন্টে সৈকতের সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করবেন গত বছরের আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জেতা রিচার্ড ইলিংওর্থ, কুমার ধর্মসেনা ক্রিস গ্যাফানি, পল রাইফেল, জোয়েল উইলসনের মতো আম্পায়াররা। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল তো গ্যাফানি এবং রাইফেল পরিচালনাও করেছিলেন। 

ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ আম্পায়ারিংয়ের পুরস্কার এ বছরের মার্চে পেয়েছেন সৈকত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন তিনি। এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনাও করেছেন তিনি। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা-

আম্পায়ার

ক্রিস ব্রাউন, ক্রিস গ্যাফানি, কুমার ধর্মসেনা, মাইকেল গফ, অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, আল্লাহুদিন পালেকার রিচার্ড কেটলবরো, জয়রাম মদনগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, আহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স ওয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব। 

ম্যাচ রেফারি

ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   আইসিসি   স্কোয়াড   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাপট দেখিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের দৃঢ়তায় ১২৫ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের। লিটনের সাথে ইনিংসের শুরুর সুযোগ পান তিনি। তবে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের সময় ব্যক্তিগত একরানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দেন তামিম। অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকটাও।

যদিও তামিমের অর্ধশতক এসেছে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে। ৫০ পৌঁছাতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৩৬ বল। অর্ধশতক করার পথে দুই ছক্কা ও ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ‍দুইটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে এই রান করেন।

লিটন দাসের মতো এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে মাত্র ২১ রান করে জঙ্গির বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। শুরুতে স্লো স্ট্রাইকিংয়ে ব্যাটিং করায় দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার কারণে ডিএল মেথডে হারের শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি থামার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগে, চট্টগ্রামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও চার মেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ওভারে ৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তার দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দিয়েছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রানও।

তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুইটি ছক্কা ও দুইটি চার মারেন মাসাকাদজা।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী পান দুই উইকেট। তবে ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান করে। তবে থেকেছেন উইকেটশূন্য।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন