ইনসাইড গ্রাউন্ড

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?

প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?

আগামীকাল থেকে মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং-এই ছয় একে অপরেরে বিরুদ্ধে লড়বে এশিয়ার রাজা হওয়ার লড়াইয়ে। প্রায় সব দলই নিজেদের সেরাটা দিতে চাইবে। কেননা এইবারের এশিয়া কাপের আসর হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এদিকে দরজায় করা নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি গ্রাফও বরাবর নিম্নমুখী। সেই উদ্দেশ্যে দলে নানা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অধিনায়ক পরিবর্তন থেকে হেড কোচ পাল্টে কোচিং স্টাফে নতুন সংযোজন, সবমিলিয়ে নতুন কিছুর সূচনা করতে এবার এশিয়া কাপে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে কতটা সম্ভাবনাময় টাইগারদের এই প্রস্তুতি!

বরাবর নতুন শুরুর কথা বলছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছিলেন, নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

যদিও তিনি নিজেই আবার বলেছেন, কয়েক দিন পর পরই নতুন শুরু হলে তবে সেটা জন্য ভালো কিছুও নয়। এই নতুন শুরুর প্রথম পদক্ষেপ দলে সাব্বির রহমানের সংযুক্তি।

আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সাব্বির। যদিও এরপর আর কেউই তার জায়গায় নেমে ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে পারেননি। দলে তার আসা নিজের ভালো পারফরম্যান্সের চেয়ে দলে অন্য ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার কারণেই।

সাব্বিরের সাথে দলে ফের জায়গা পেয়েছেন নাইম শেখ। টি টোয়েন্টি ওপেনারের নাইমের স্ট্রাইক রেট ১০৩। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সাব্বির বা নাইম কেউই বলার মতো কোনো টি টোয়েন্টি ইনিংসই খেলেননি।

নির্বাচকরা বলেছেন, নাইম শেখ মূলত দলে ঢুকেছেন কারণ, তাদের হাতে বিকল্প নেই। একে লিটন দাসের ইনজুরি, তার উপর তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টি টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। দলে স্বীকৃত ওপেনার আছেন কেবল এনামুল হক বিজয় আর নবাগত পারভেজ ইমন। এইজন্য একজন ওপেনার বাড়তি দলের সাথে নিয়ে গেছেন তারা। এর মধ্যে দিয়ে কতটা নতুন শুরু হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায় যদিও।

'বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পারফরম্যান্স খারাপ', খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও কিছুদিন আগেই এই কথা স্বীকার করেছেন।

পরিসংখ্যান মতে, শেষ ১৯ ম্যাচে মাত্র চারটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের খেলা ১৩১টি ম্যাচের ৮৩টিতেই হারের বিনিময়ে মাত্র ৪৫টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশে নতুন করেই শুরু করতে হবে, নতুবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো উন্নতির আশা নেই।

২০২১ সালে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এদিকে আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ ড্র করেছে। অর্থাৎ শেষ চারটি সিরিজে একটিতেও জয় পায়নি টাইগার বাহিনী।

ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট ও দ্রুতগতিতে রান তুলতে ব্যর্থতা

কিছু দিন আগেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব হারান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিদায় বেলায় তার স্ট্রাইক রেট ১১৭। এদিকে বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের স্ট্রাইক রেট ১২০। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেটও ছিল ১১৭। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর রহিমের স্ট্রাইক রেট ১১৫। এদিকে হার্ড হিটার হিসেবে বিবেচিত সাব্বির রহমানের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট ১২০।

ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ ভাবা হয় আফিফ হোসেনকে। ৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও  তার গড় ২০ এর নিচে, স্ট্রাইক রেট ১১৮। টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ওপেনার নাইম শেখের স্ট্রাইক রেট ১০৩। দলে সুযোগ পাওয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়ের স্ট্রাইক রেট ১১৫। স্লগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হয় শেখ মেহেদি হাসান, তার স্ট্রাইক রেট ১০৪। দেশ ছাড়ার আগে পাওয়ার ক্রিকেটের কথা বলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তার স্ট্রাইক রেট ১০৯। বাংলাদেশের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের স্ট্রাইক রেট ১১৫, তাকেও হার্ড হিটার বিবেচনা করা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের স্ট্রাইক রেট ১১৭। যেখানে প্রতিপক্ষ দলের বাবর আজমকে ১২৮ স্ট্রাইক রেট নিয়েও সমালোচনা সইতে হয়, ভারতের লোকেশ রাহুল ১৪২ স্ট্রাইক রেট নিয়েও দলে জায়গা নিয়ে নিশ্চিত নন।

খানিকটা স্বস্তি বোলিং নিয়ে

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগারদের একমাত্র স্বস্তির জায়গা বোলিং বিভাগ। দু’জন স্পিনার নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান নিয়মিত উইকেট এনে দিচ্ছেন পাওয়ার প্লেতে। কিন্তু পুরো বিশ ওভারজুড়ে ভালো বোলিং করা হয়না।

কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা শক্তিশালী পেস বোলিং না থাকা। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিনরা উইকেট পেলেও বেশ খরুচে বোলিং করেন।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে স্পিনটা কাজে দিতে পারে বলে ধারণা করা করছেন অনেকে। এই ধরনের উইকেটে বলে গ্রিপ পাওয়া যায়, স্পিনটাও ধরে ভালো। তাই আশা রয়েছে নাসুম, মেহেদীরাও সুযোগ পেলে ভালো করতে পারবেন এই ধরনের কন্ডিশনে।

তবে সামগ্রিকভাবে দলের ভালো করতে হলে পেস বোলারদের যথাযথ প্রভাব ফেলা ও ব্যাটসম্যানদের রানের গতি বাড়ানোটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।

আগামীকাল শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। ২০১৬ সালের মতো, এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।


এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   টি-টোয়েন্টি   ক্রিকেট   বিসিবি   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিচ্ছন্ন অভিযানে তামিম ইকবাল

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফল ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন নানা কারণেই। তবে কবে আবারও ফিরছেন জাতীয় দলে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তামিম আবারও নতুন করে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার ক্রিকেট সংক্রান্ত কোন বিষয়ে নয়।

এবার সিলেট নগরীর সড়কে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পচ্ছিন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি। এ সময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে একটি সড়ক পরিষ্কার করেন দেশসেরা এ ওপেনার।

এ সময় তামিম বলেন, এমনিতে সারাদেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সাবেক টাইগার অধিনায়ক আরো বলেন, এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।

সিসিক সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে তামিম ইকবাল মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ঐ কাজে অংশ নেন।

সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরো বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’


তামিম ইকবাল   সিলেট সিটি কর্পোরেশন   আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত টিম টাইগার্স?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অন্যরকম আবহ। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে খেলা। বাকি নেই এক মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দলগুলো। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা একটু ভিন্ন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ তো খেলছে ঠিকই, তবে যাদের সাথে খেলছে তারা এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ ইতোমধ্যেই মাঠে গড়িয়েছে। আর সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে তারপরেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে।

কারণ এই সিরিজের ম্যাচগুলোতে টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে এটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নয়, বরং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটাই মূল লক্ষ্য। ফলে যে দলটা উগান্ডার কাছে  হেরে এসেছে সেই জিম্বাবুয়েও যেন শান্ত-লিটন-হৃদয়দের কাছে শক্তিশালী মাইটি অস্ট্রেলিয়া।

চলতি বছরে লংকানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খুইয়েছিল তারা। তাই বিশ্বকাপের আগে দলের মূল ব্যাটারদের ফর্মে ফেরানো জরুরী মনে করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সে কথা ভুলে গেছেন কোচ এবং অধিনায়ক।

সাধারণত দেশের মধ্যে খেলা হলে চট্টগ্রামের উইকেটে রানখরা থাকে না। যার ফলে চার-ছক্কার বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা সেখানে ভালোভাবেই সেরে নিতো পারতো টাইগাররা। কিন্তু সেখানে টানা দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট কারার সুযোগ পেয়েও ফিল্ডিং নিয়েছিলেন শান্ত।

আগে ব্যাট করে যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার অভ্যাস গড়ে নিতেই পারতো বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু তাওহীদ হৃদয় (১৪৮.০০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৬২.৫০) টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করলেও ৯২ স্ট্রাইক রেটে ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন লিটন। ৯৪ দশমিক ৭৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ১৯ বলে ১৮ রান করেন তামিম। ১৫ বলে ১৬ করেন শান্ত।

তবে চতুর্থ ম্যাচে তামিমের ব্যাট হেসেছে ভালোই। এদিন অফফর্মের কারণে লিটনকে ড্রপ করে সৌম্যকে নেওয়া হয়েছিল। আর সৌম্য সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ভালোই। এদিন দ্রুতই শতকের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শতকের পরই যেন আবারও সেই উইকেটের মিছিল। একের পর এক আসা যাওয়া। ৪২ রানের মধ্যে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত লিটন-শান্ত-তামিমরা? এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে আগে ব্যাট করলে চাপ মুক্তভাবে ব্যাট করে রানে ফেরার সুযোগ ছিল লিটনের সামনেও। সুযোগ ছিল মূল ম্যাচে নিজেদের পাওয়ার হিটিংয়ের দক্ষতা পরখ করে দেখে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে কয়েকটা ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর গড়তে পারলে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়তো।

কিন্তু সবকিছুর বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বোলিংয়ে তাসকিন-শরিফুলরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং প্রমাণ করে টাইগারদের ব্যাটিং দুর্বলতা অনেক গভীরে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

প্রকাশ: ০৯:৪৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাট হাতে শুভসূচনার পর অল্পেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতেও করেছিল দুর্দান্ত শুরু। তবে হাল না ছাড়া জিম্বাবুয়ে লড়েছে শেষ পর্যন্ত। যদিও টাইগারদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। আর তাই টানা চার জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের জয় ৫ রানে।

রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে আউট হন বেনেট। তিনে নামা সিকান্দার রাজাকেও বোল্ড করেন এ পেসার। রাজা করেন ১৭ রান। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানিকে আউট করেন সাকিব। তিনি করেন ১৪ রান।

রিশাদের বলে মাদান্দে ১২ রানে আউট হলেও হাল ছাড়েনি জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জনাথন ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। তবে বার্ল ১৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সফরকারীরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন ক্যাম্পবেল। শেষ ওভারে জম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের করা ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকান মুজারাবানি। 

তিন বলে ৭ প্রয়োজন, এমন পরিস্থিতিতে পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান সাকিব। তিনি চারটি, মুস্তাফিজুর তিনটি, তাসকিন দুটি এবং রিশাদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এ ম্যাচে ৩ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। দলকে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।

শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সৌম্য। তবে অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম। দুজনের জুটিতে ১১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ। তবে এরপরই ছন্দপতন।

লুক জঙ্গের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। এরপরের গল্পটা জিম্বাবুয়ের বোলারদের। যেখানে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সৌম্য।

তিনে নামা হৃদয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার জঙ্গে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া বেনেট এবং গারাভা দুটি ও রাজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

জিম্বাবুয়ে   শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

উড়ন্ত শুরুর পর দুরন্ত পতন বাংলাদেশের, অবশেষে সংগ্রহ ১৪৩

প্রকাশ: ০৭:৫০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-সৌম্যের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় বিনা উইকেটে শতকের ঘরেও পৌঁছেছিল টাইগাররা। আর তাই ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিল বড় স্কোর করতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। কিন্তু  অতি শীঘ্রই সেই ভাবনা ধুলোই মিশিয়ে দিয়েছে তারা। ৪২ রানের মধ্যে ১০ উইকেট খুঁইয়ে অবশেষে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে নাজমুল শান্তর দল।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফেরা সৌম্যের সাথে ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি ‍তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। অন্যদিকে একটা লম্বা সময় পর দলে ফিরে ভালো করেন সৌম্যও। তাদের জুটিতে দলীয় শতকে পৌঁছায় টাইগাররা।

তবে শতকের ঘরে পৌঁছানোর পরই শুরু হয় পতন। একের পর এক উকেট যেন নিজ হাতে বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। আর এতে করে ১৪৩ রানের স্বল্প পুঁজিতে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এদিন বিপর্যয়ের শুরুটা হয় তানজিদ তামিমকে দিয়েই। ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিনি লুক জঙওয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। যদিও নিজের কাজটা ঠিকই করে গিয়েছিলেন তিনি। ৫২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। একই বোলারকে উইকেট দিয়েছেন সৌম্যও কিছুটা ধীরগতির ইনিংসে ৩৪ বলে ৪১ করে হয়েছেন এলবিডব্লু।

চলতি সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয়ও এদিন ব্যর্থ। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে ব্যর্থ সাকিবও। ব্যাটে-প্যাডে বিশাল গ্যাপ দিয়ে বল ঢুকতে সমস্যাই হয়নি। বেনেটের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১ রান করেই।

একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন অধিনায়ক শান্ত। দম ফেলার আগেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (১), অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (২) ও জাকের আলি (৬)। আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মিরপুরের গ্যালারিতে তখন ভুয়া ভুয়া স্লোগান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তামিম-সৌম্যের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এদিন অফফর্মে থাকা লিটন দাসকে বাদ দিয়ে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আর সৌম্যের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ভালো শুরু করেন তানজিদ তামিম।

শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তানজিদ তামিম শুরু থেকেই আছেন উড়ন্ত ছন্দে। সাত চার এবং ১ ছক্কার সহায়তায় ৩৪ বলেই তুলেন নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি।

এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ওভার দিয়ে শুরু। সেই ওভারে পেয়েছেন একটি চারের দেখা। পরের দুই ওভারে ছিল আরও দুইটি করে চারের দেখা। মুজারাবানির পরের ওভারেও জুনিয়র তামিম দেখালেন নিজের ব্যাটিং কারিশমা। জোড়া চার ছিল সেই ওভারেও। এমনকি পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারেও ছিল দুই চার। যদিও সেবার একটা চার আছে লেগবাই থেকে।

পাওয়ারপ্লেতে তামিমের এমন তাণ্ডব দেখেই কিনা ঝড় শুরু করেছেন সৌম্য সরকারও। সপ্তম আর অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম দুই ছক্কাও এসেছে সৌম্যর ব্যাট থেকে। আর ইনিংসের নবম ওভারে এসে ফিফটির দেখা পান তানজিদ তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ রান।


তানজিদ তামিম   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন