ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় টাইগারদের

প্রকাশ: ১১:৫৫ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাঁচামরার লড়াইয়ে হারলেই বাদ। শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচ একবার হেলে পড়ছিল বাংলাদেশের দিকে, তো অন্যবার শ্রীলঙ্কার দিকে।

সেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচ গড়ালো শেষ ওভার পর্যন্ত। সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও শেষে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। বল উইকেটে থাকতে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় হয়ে গেছে টাইগাররা।

বোর্ডে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ নিয়ে দারুণ সুযোগ ছিল লঙ্কানদের চেপে ধরার। বল হাতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন আহমেদ।

তাসকিনের ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিস ড্রাইভ করলে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা গ্লাভসে পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি।

রানে জীবন পেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেন কুশল। পঞ্চম ওভারে সাকিবকে দুই ছক্কা আর একটি বাউন্ডারি হাঁকান। ওভারেই বিনা উইকেটে ৪৪ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা।

ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত এবাদত হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। নিজের তৃতীয় বলেই দলকে সাফল্য এনে দেন ডানহাতি এই পেসার। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে পাথুম নিশাঙ্কা মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজকে।

তিন বল পর আরও এক উইকেট। এবার চারিথ আসালাঙ্কাকে () মিডঅফে ক্যাচ বানান অভিষিক্ত এবাদত। বিনা উইকেটে ৪৫ থেকে উইকেটে ৪৮ রানে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কা।

সপ্তম ওভারে কুশল আরেকবার জীবন পান। শেখ মেহেদির বলে উইকেটরক্ষক মুশফিক ক্যাচ নিলে সাজঘরে ফিরছিলেন লঙ্কান এই ব্যাটার। কিন্তু আম্পায়ার তাকে দাঁড়াতে বলেন। ‌‘নোবল চেক করে দেখা যায়, ওভারস্টেপিং করেছেন মেহেদি।

পরের ওভারে আবারও এবাদতের আঘাত। এবার গুনাথিলাকা (১১) পুল করলে ফাইন লেগ থেকে প্রায় ২০ মিটার দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তাসকিন।

দুই বল পর তৃতীয়বারের মতো জীবন পান কুশল। এবার তিনি এবাদতকেপুল করলে লেগ দিয়ে বল চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। আবেদনও হয়েছিল।

কিন্তু আম্পায়ার সে আবেদন নাকচ করে দেন। বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে স্পর্শ লেগেছে কিনা। পরে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, বল ব্যাটে লেগেই গেছে মুশফিকের হাতে।

নবম ওভারে তাসকিন এসে আউট করেন ভানুকা রাজাপাকসেকে। টাইগার পেসারের শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে বদলি ফিল্ডার নাইম শেখের ক্যাচ হন রাজাপাকসে ()

তাসকিনের করা একাদশতম ওভারে চতুর্থবারের মতো জীবন পান কুশল মেন্ডিস। ননস্ট্রাইকের এন্ডে তিনি অনেকটা বেরিয়ে গেলে থ্রো করেন সাব্বির রহমান। একটুর জন্য স্টাম্প ভাঙেনি।

এতবার জীবন পেয়ে ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন কুশল। পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকার সঙ্গে ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন এই ব্যাটার।

অবশেষে ১৫তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ফেরান কুশলকে। তার স্লোয়ার অফকাটার থার্ডম্যানে তুলে দেন এই ব্যাটার, তাসকিন নেন আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ। ৩৭ বলে বাউন্ডারি আর ছক্কায় কুশলের ইনিংসটি ছিল ৬০ রানের।

পরের ওভারে তাসকিনের আঘাত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা () জায়গা করে কভারের ওপর দিয়ে মারতে যান, হন শেখ মেহেদির ক্যাচ। রানের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

কাঁটা হয়ে ছিলেন কেবল দাসুন শাকা। লঙ্কান অধিনায়ক খেলছিলেনও মারমুখী। অবশেষে শেখ মেহেদির করা ১৮তম ওভারে লংঅনে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন শানাকা (৩৩ বলে ৪৫) বাংলাদেশও বাঁচে হাঁফ ছেড়ে। ওভারেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন তাসকিন।

শেষদিকে করুনারত্নের ছোট ক্যামিও পর আশিতার বলে ১০ রানে ভর করে উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। ফলে  এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলো টাইগাররা। এদিন দলের হয়ে এবাদত নেন উইকেট, তাসকিনের শিকার উইকেট। মাহেদি এবং মুস্তাফিজ করে উইকেট লাভ করেন। 

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেটে ১৮৩ রান তোলে সাকিব আল হাসানের দল।

ওপেনিংটা ক্লিক করছে না। বাংলাদেশ তাই আজ বাঁচামরার ম্যাচে একসঙ্গে দুই ওপেনার বদলে ফেলেছে। নাইম শেখ আর এনামুল বিজয়ের বদলে ওপেনিংয়ে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান।

কেমন হলো ওপেনিং জুটি? দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব খারাপ ছিল না। তবে ১৯ রানেই ভেঙে গেছে সাব্বির-মিরাজের জুটি।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং খেলতে নেমেছিলেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি।
বলে রান করে আসিথা ফার্নান্ডোকে পুল করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন সাব্বির।

ওয়ানডেতে এর আগেও ওপেন করে সফল হয়েছেন মিরাজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম। অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টের বাজি এবারও কাজে দিলো।

পাওয়ার প্লেতে যে উড়ন্ত সূচনার জন্য হাহাকার ছিল বাংলাদেশের, মিরাজ ওপেন করতে এসেই সেই আক্ষেপ দূর করে দিলেন। এই অলরাউন্ডারের ঝড়ো ব্যাটে চড়েই আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়ার প্লের ওভারে উইকেটে ৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই মারকুটে এই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগির বলে একবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে বেঁচে গেলেও দুই বল পরই বোল্ড হন মিরাজ। ২৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা যেন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। টেস্ট, ওয়ানডেতে দলের বড় ভরসা হলেও এই ফরম্যাটে তার রেকর্ড তেমন ভালো নয়।

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন রান। আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন মুশফিক। এবার আউট হলেন বলে করে।

চামিকা করুনারত্নের ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারি ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে পাঁচবারই দশের নিচে আউট হলেন মুশফিক।

সাকিব আল হাসান খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ভালোভাবেই এগোচ্ছিল দল। হঠাৎ সাকিব স্টাম্প ছেড়ে মারতে গেলেন, থিকসানার বলটি লাইন মিস করে হলেন বোল্ড।

দুই ওভার আগেই মুশফিক ফিরেছেন। ২২ বলে বাউন্ডারিতে ২৪ রান করা সাকিবকেও অল্প সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

৮৭ রানে পড়েছিল উইকেট। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৩তম ওভারেই শতরান ছোঁয় বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গাকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১০০ পার করে দেন আফিফ।

মাহমুদউল্লাহও খেলেছেন দারুণ। তাদের জুটিতে ৩৭ বলে আসে ৫৭ রান। অবশেষে ইনিংসের ১৭তম ওভারে আউট হন আফিফ। বাঁহাতি পেসার মধুশঙ্কাকে তুলে মারতে গিয়ে কাউ কর্নারে ক্যাচ হন এই অলরাউন্ডার। ২২ বলে আফিফের ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার মার।

সঙ্গী হারিয়ে যেন ধৈর্যও হারিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফ আউট হওয়ার পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে সুইপ করে ডিপমিডউইকেটে ক্যাচ দেন ২২ বলে ২৭ করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

এরপর শেখ মেহেদি হাসান রানেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন আর তাসকিন আহমেদের ব্যাটে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক বলে বাউন্ডারিতে ২৪ আর তাসকিন বলে ছক্কায় ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর চামিকা করুনারত্নে।


এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   শ্রীলঙ্কা   সুপার ফোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রাখলেন সিকান্দার রাজা

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।


সিকান্দার রেজা   জিম্বাবুয়ে   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন