ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধকর জয় ভারতের, রাজসিক প্রত্যাবর্তন ভিরাটের

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। ম্যাচের রঙ বদলেছে ক্ষণে ক্ষণে। চালকের আসনে কখনো ভারত, কখনো পাকিস্তান। ভারতের শুরুর দাপটের পর পাকিস্তানের দুর্দান্ত কামব্যাক। আবার ম্যাচ যখন পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে, তখন আবার ভারতের বাজিমাত। এইরকম দৃশ্যপটের সাক্ষী হলো মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ৯০ হাজরের বেশি দর্শক। কানায় কানায় পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামের দর্শকরা বাড়ি ফিরবেন এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে। তবে এদের কেউ উচ্ছসিত নিজ দলের জয়ে, কেউ ফিরবেন ভগ্ন হৃদয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।

সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গত বিশ্বকাপে এই পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটের হারের স্মৃতি এখনো তাজা। ম্যাচের শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে ভারত। উইকেটের সবুজ ঘাস ও কন্ডিশনের সুবিধা ব্যবহার করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ভারতীয় বোলাররা। পেসারদের সামনে মুখ থুবড়ে পরে পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মাদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে আর্শদ্বীপ সিংয়ের প্রথম বলে আউট হন বাবর। রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে আরেক ওপেনার রিজওয়ানকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন আর্শদ্বীপ। ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিজওয়ান।

তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও ইফতেখার আহমেদ। ধীর গতিতে রান তুললেও অক্ষর প্যাটেলের করা ১২তম ওভারে ৩ ছক্কা হাকিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ইফতেখার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৬ রান। দলীয় ৯১ রানে শামির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খেলেন ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস।

ইফতেখারের বিদায়ের পর মাত্র ৭ রানের মধ্যে ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় পাকিস্তান। ১৪তম ওভারে হায়দার আলী ও শাদাব খানের উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। শান মাসুদ একপ্রান্তে থাকলেও বাকিরা সামিল হয়েছেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ভারতীয় বোলারদের পেসে পরাস্থ হন মোহাম্মাদ নওয়াজ ও আসিফ আলী।

তবে শান মাসুদের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মাসুদ অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। ২০ ওভার শেষে জয়ের জন্য ভারতকে ১৬০ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান। শেষ ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৯ রান। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া ও আর্শ্বদীপ সিং। ১টি করে উইকেট পান ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মাদ শামি।

লক্ষ্য তাড়া করেতে নেমে শুরুটা ঠিক পরিকল্পনা মত হয়নি ভারতীয় দলের। পাকিস্তানের পর পাওয়ার প্লে'তে ধুঁকেছে ভারতও। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। পাকিস্তানি পেসারদের তোপে খোলস ছেড়ে বের হতে পারেন নি লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলীয় ৭ রানে রাহুল ও ১০ রানে বিদায় নেন রোহিত। নিজের প্রথম ওভারে রাহুলকে বোল্ড করেন নাসিম শাহ। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই ভারতীয় অধিনায়কের উইকেটটি তুলে নেন হারিস রউফ। ভিরাট কোহলির সাথে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলো ভারত। তবে আবারও আঘাত হারিসের। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। দলের রান যখন ৩১, তখন রান আউটে কাঁটা পড়েন অক্ষর প্যাটেল। প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ৪৫। এই সময়ে ৩২টি ডট বল করেন পাকিস্তানি বোলাররা।

ভিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া ভারতকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা চালান। তাদের লড়াইয়ে নিভে যাওয়া আশার পালে জয়ের বাতাস লাগে।

হারিস রউফের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে ২ ছয় মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ভিরাট কোহলি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান। ৫ম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৯ রান।

নাটকের তখনো অনেকটা বাকি। নওয়াজের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ভাগ্য বিধাতা ভেবে রেখেছিলেন অন্যকিছু। তৃতীয় বলে নওয়াজের ফুলটসকে সীমানার বাইরে পাঠান ভিরাট কোহলি। বলের উচ্চতা কোমরের উপরের থাকায় ছয়ের সাথে নো-বল উপহার পায় ভারত। ফ্রী-হিটের বলটি সরাসরি ভিরাট কোহলির স্ট্যাম্পে আঘাত করে থার্ডম্যান অঞ্চলের দিকে চলে যায়। বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠানোর আগে ৩ রান নিয়ে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে ভারত। না, তখনো শেষ হয়নি গল্প। পরের বলে স্টাম্পিং এর ফাঁদে পড়ে আউট হন দিনেশ কার্তিক। শেষ বলে দরকার ১ রান। এই সমীকরণে শেষ হাসিটা হেসেছে ভারতই। ক্রিকেট বিশ্ব দেখলো আরো একটি ক্রিকেটিয় ক্লাসিক।

এ ম্যাচে ভারতের জয়ের নায়ক ভিরাট কোহলি। তার মহাকাব্যিক ইনিংসেই প্রায় ছিটকে যাওয়া ম্যাচকে জয়ে রূপ দিলো ভারত। ৫৩ বলে ৮২ রান করে ভেঙেছেন নিজের রেকর্ডই। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও তাই তারই প্রাপ্য। ম্যাচশেষে বাজে ফর্মের সময়ে সাথে থাকার জন্য ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন নি ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।


ভারত   পাকিস্তান   মহারণ   মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড   বিশ্বকাপ   টি-টোয়ন্টি   সুপার টুয়েলভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চট্টগ্র্রামে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ছয় উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।

রোববার (৫ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ২৩ রান এবং হৃদয়ের ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন লুক জঙ্গি। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাভা এবং এনডলোভু নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪ বলে ২ রান করে মুরামানি আউট হলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৮ বলে ৩ রান করে রিশাদের প্রথম শিকার হন রোডেশিয়ানদের দলপতি। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গে দেন মানদান্দে।

এরপর ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিষিক্ত জনাথন ক্যামফেল। ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত বেনেটের ২৯ বলের হার না মানা ৪৪ রানে ভর করে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, মাহেদী হাসান এবং সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লড়াকু পুঁজি জিম্বাবুয়ের, লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।

রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা খেল বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।

তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।

কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।

রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন