ইনসাইড গ্রাউন্ড

যেভাবে পথচলা শুরু বিশ্বকাপ ফুটবলের

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৫ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বর্তমান সময়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা শিখরে থাকলেও, আঠারো শতকের চিত্রটা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। সে সময় মূলত ব্রিটিশরা ফুটবলে কর্তৃত্ব দেখাতো। শৌর্যের প্রতীক হিসেবে ফুটবল খেলতেন তারা। ব্রিটিশদের বাইরে ইউরোপের গুটিকয়েক দেশ ফুটবলের সাথে নিজেদের পরিচিত ঘটালেও, ব্রিটিশরাই ছিলেন খেলাটির হর্তা-কর্তা। ১৮৭২ সালে গ্লাসগোতে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম স্বীকৃত ফুটবল ম্যাচ।

তবে সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় চিত্র। ফুটবলের সাথে সংযোগ ঘটে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের। ইউরোপের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে সে রেশ। জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে ফুটবল। আর সে সমস্ত প্রেক্ষাপট থেকে উনিশ শতকের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠা পায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল- ফিফার। ১৯০৪ সালের ২১ মে প্যারিসে যাত্রা শুরু করে সংস্থাটি। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেন ছিলো ফিফার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। জার্মানিও টেলিগ্রাম মারফত সেদিনই ফিফায় যোগ দেয়।

সে সময় ফুটবলের বৈশ্বিক আসর ছিলো অলিম্পিক। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিফার স্বপ্ন ছিলো স্বতন্ত্র প্রতিযোগিতা আয়োজনের। যার পূর্ণতা আসে দুই ফরাসি সংগঠক জুলে রিমে ও তার সেক্রেটারি হেনরি দেলাউনের হাত ধরে। ১৯৩২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক থেকে ফুটবল বাদ পড়লে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেন তৎকালীন ফিফা সভাপতি জুলে রিমে। সংবিধানের শত বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে আগ্রহ দেখায় লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। সে প্রস্তাবের পর উরুগুয়েকে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষণা করে ফিফা।

তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়নি ইউরোপের দলগুলো। সুদূর আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে উরুগুয়েতে খেলতে যাওয়ার অসুবিধার সাথে আর্থিক বিষয়টিও ছিলো তাদের ভাবনার দিক। তবে উরুগুয়ে ভ্রমণ খরচ দিয়ে সাহায্য করতে রাজি হলে বিশ্বকাপের দুই মাস আগে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া এবং যুগোস্লাভিয়া।


দক্ষিণ আমেরিকার ৭টি, ইউরোপে ৪টি আর উত্তর আমেরিকা ২টি দল অংশ নেয় ১৯৩০ বিশ্বকাপে। ১৩ দেশের অংশগ্রহণে আত্নপ্রকাশ হয় ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার। ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয় দলগুলোকে। গ্রুপ ‘১’ এ ছিলো সর্বোচ্চ চারটি দল। আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স চিলি ও মেক্সিকো। গ্রুপ ‘২’ ব্রাজিলের সাথে ছিল যুগোস্লাভিয়া এবং বলিভিয়া। স্বাগতিক উরুগুয়ে, পেরু ও রোমানিয়া ছিলো গ্রুপ ‘৩। আর তিন মহাদেশের তিন দল- যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম ও প্যারাগুয়েকে গড়া হয় গ্রুপ ‘৪’। আগের অলিম্পিক আসরগুলোতে নৈপূন্য দেখানোয় প্রথম বিশ্বকাপে ফেভারিটও ছিল উরুগুয়ে।

১৩ জুলাই এস্তাদিও পাকিতোসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স এবং মেক্সিকো। সে ম্যাচে প্রথমবার বল জালে জড়িয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম ওঠান ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। হন বিশ্বকাপের প্রথম গোলদাতা। সে ম্যাচে ৪-১ গোলে জেতে ফরাসিরা। সেদিনই আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামকে ৩-০ গোলে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। পরদিন ব্রাজিলকে ২-১ গোলে যুগোস্লাভিয়া এবং পেরুকে ৩-১ গোলে হারায় রোমানিয়া। ১৬ জুলাই আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হারে ফ্রান্স। আর মেক্সিকোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতে চিলি।

গ্রুপ ‘২’ এর দ্বিতীয় ম্যাচে বলিভিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে যায় যুগোস্লাভিয়া। আর প্যারাগুয়েকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পরের রাউন্ডের টিকিট পায় যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ জুলাই একমাত্র ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পায় উরুগুয়ে। পরদিন চিলির কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ফ্রান্স। আর আর্জেন্টিনার কাছে ৬-৩ গোলে বিধ্বস্ত হয় মেক্সিকো। 

বলিভিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পায় ব্রাজিল। প্যারাগুয়ে বেলজিয়ামকে হারায় ১-০ গোলে। উরুগুয়ের কাছে ৪-০ গোলে হারে রোমানিয়া। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৩-১ গোলে আর্জেন্টিনার কাছে হারে চিলি। 

সরাসরি সেমিফাইনালের খেলার টিকিট পায় উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুগোস্লাভিয়া। সেখানে আর্জেন্টিনার কাছে ৬-১ গোলে উড়ে যায় সে সময়ের অন্যতম ফেভারিট যুক্তরাষ্ট্র। আর একই ব্যবধানে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে উরুগুয়ে।

বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী দেশ। যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও। সীমান্তে নামে মানুষের ঢল। সে চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের। অবশেষে ৩০ জুলাই আসে সে মাহেন্দ্রক্ষণ। মন্টেভিডিও'র  এস্তাদিও সেন্তনারিও স্টেডিয়ামে ফাইনাল দেখতে উপস্থিত হন প্রায় ৯৩ হাজার দর্শক।

তবে দুই দল মাঠে এলে কোন বল দিয়ে খেলা হবে তা দিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। পরে সিদ্ধান্ত হয় ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা হবে আর্জেন্টিনার বলে আর দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের বল দিয়ে। আর্জেন্টিনার বল থেকে আকারে সামান্য বড় ছিলো উরুগুয়ের বলটি। নানা উত্তেজনার মাঝেই চলতে থাকে দুই দলের খেলা। জমজমাট লড়াই শেষে ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরে উরুগুয়ে। বিশ্ব পায় ফুটবলের প্রথম চ্যাম্পিয়ন দলকে।

১৯৩০ বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচে গোল হয় ৭০টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হন আর্জেন্টিনার গুইলার্মো স্তাবিলে। জেতেন গোল্ডেন শু। যুক্তরাষ্ট্রের বার্ট প্যাটেনড জিতে নেন ব্রোঞ্জ শু। আর সিলভার শুর'র মালিক হন উরুগুয়ের প্রেদো সিআ।

পরদিন মন্টেভিডিওতে উৎসব হলেও,  শোক বিহ্বল বিধ্বস্ত এক শহরের রূপ পায় উরুগুয়ে নদীর অপর পাড়ের বুয়েনস এইরেস।


বিশ্বকাপ   ফুটবল বিশ্বকাপ   ফিফা   ইতিহাস   প্রথম বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। চট্টগ্র্রামে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ছয় উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।

রোববার (৫ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন আগের ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৬ রান করে শান্ত আউট হলে, ২৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।

তৃতীয় দফায় বৃষ্টির বাঁধা দিলে, ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এরপর টাইগার শিবিরের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় এবং জাকের আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ১২ বলে ১৩ রান করে এনগারাভার বলে বোল্ট আউট হন তিনি।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ২৩ রান এবং হৃদয়ের ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন লুক জঙ্গি। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাভা এবং এনডলোভু নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৪ বলে ২ রান করে মুরামানি আউট হলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩০ বলে ১৭ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সিকান্ডার রাজাও। ৮ বলে ৩ রান করে রিশাদের প্রথম শিকার হন রোডেশিয়ানদের দলপতি। ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গে দেন মানদান্দে।

এরপর ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিষিক্ত জনাথন ক্যামফেল। ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত বেনেটের ২৯ বলের হার না মানা ৪৪ রানে ভর করে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, মাহেদী হাসান এবং সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লড়াকু পুঁজি জিম্বাবুয়ের, লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে শুরুতেই টাইগারদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তবে পরবর্তীতে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্যাম্পবেল। এটি তার অভিষেক ম্যাচ ছিল।

রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিওয়াশে মারুমানি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মারুমানিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ২ করেন তিনি।

পরে ক্রিজে আসেন ক্রেস আরভিন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নেন গাম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। থিতু হওয়ার আগেই রিশাদের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাম্পবেল ও বেনেট। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ক্যাম্পবেল (৪৫) সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় তাদের এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো পুঁজি এনে দেন বেনেট। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান ও শরিফুল।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা খেল বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে দারুণ ফুটবল খেলে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। আর তাই এই ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবে।

তবে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসে আগের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তারকা রাফায়েল গেরেরোকে মিস করবে বায়ার্ন। পর্তুগিজ এই তারকা প্রথম লেগে নেমেছিলেন লিওন গোরেৎজকার বদলি হিসেবে। বদলি নেমেই মাঝমাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্নও ম্যাচে ফেরে গেরেরোর ডিফেন্সিভ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে।

কিন্তু, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই ছিটকে গিয়েছেন তিনি। স্টুটগার্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১৭ মিনিটের মাথায় গোড়ালির চোটের কারণে উঠিয়ে নেয়া হয় এই পর্তুগিজ তারকাকে। বায়ার্ন মিউনিখের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বায়ার্ন মিউনিখকে পরের কয়েক ম্যাচে রাফায়েল গেরেরোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে। পর্তুগিজ এই তারকা বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিগামেন্টে চোট পান এবং ক্যাপসুল ইনজুরিতে পড়েছেন। বায়ার্ন মিউনিখের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

বায়ার্নের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি ঠিক কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন গেরেরো। যদিও চলতি মৌসুমে বায়ার্নের বাকি আছে সর্বোচ্চ আর চার ম্যাচ। বুন্দেসলীগায় দুই ম্যাচ খেলবে তারা। এর বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেতে পারলে খেলতে হবে দুই ম্যাচ। আর ফাইনালে যেতে পারলে হাতে থাকবে তিন ম্যাচ।

রাফায়েল গেরেরো উইংব্যাক হিসেবে থাকলেও মিডফিল্ড এবং উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সফল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মৌসুম শেষে ইউরোতে পর্তুগালের জার্সিতেও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে নাজমুল শান্তর দল। যেখানে আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে আগে ব্যাট করবে জিম্বাবুয়ে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অপরদিকে তিন পরিবর্তন এসেছে জিম্বাবুয়ের একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ‍লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভু।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোর্নমাউথকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গতকাল অ্যানফিল্ডে এই জয়ের মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষেই থাকছে গানাররা।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। আর ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে গানারদের হাতে রয়েছে ২ ম্যাচ। সিটির হাতে রয়েছে তিন ম্যাচ।

আর্সেনালের হয়ে গোল তিনটি করেন বুকায়ো সাকা, লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ড ও ডেকলান রাইস। এর মধ্যে একটি গোল নিজে করেছেন এবং একটি গোল করিয়েছেন রাইস।

শিরোপা জয়ের নেশায় এতটাই উন্মুখ হয়ে আর্সেনাল যে, নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাতেই ছিল তাদের দাপট। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটেই বোর্নমাউথের গোলমুখে ১২টি শট নেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোল আসতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।

তাও পেনাল্টিতে। কাই হাভার্টজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ত্রেভার্স। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার ঠান্ডা মাথায় নেওয়া শট জড়িয়ে যায় বোর্নমাউথের জালে। এবারের লিগে এটি সাকার ১৬তম গোল। সব মিলিয়ে ২০তম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ নষ্ট করে আর্সেনাল। ৪৮ মিনিটে সাকা এবং ৫১ মিনিটে কাই হাভার্টজের দুর্বল শট বোর্নমাউথ গোলকিপার মার্ক ত্রেভার্স ফিরিয়ে দেন। ৫২ মিনিটে সুযোগ পায় বোর্নমাউথের ডমিনিক সোলাঙ্কি। তবে ডেভিড রায়ার কারণে বেঁচে যায় আর্সেনাল।

মাঠের খেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও ৭০তম মিনিটে ত্রোসার্ডের গোলে আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তি ফেরে। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ত্রোসার্ড। যা চলতি মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে ত্রোসার্ডের ১৬তম গোল, লিগে ১১তম।

গোল পেয়েছিল বোর্নমাউথও। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অ্যান্তোনি সেমেনিও গোল করেন। তবে সেই আক্রমণে সোলাঙ্কি আর্সেনাল গোলরক্ষক রায়াকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়।

এরপর গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস গোল করলেও গ্যাব্রিয়েল হেসুস অফসাইড থাকার কারণে সেটি বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ গোলটি আর্সেনাল করে ম্যাচের ৯৭ মিনিটে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডেকলান রাইসই দলের ব্যবধান বাড়ান।


আর্সেনাল   বোর্নমাউথ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন