বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ফ্রান্স দলের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে ইনজুরি। চোটের থাবায় বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি পল পগবা ও এনগোলো কান্তের। দলে থাকলেও ইনজুরি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলো ফরাসি ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোফার এনকুনু। অনুশীলনের সময় পায়ে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো আরবি লাইপজিগের এই স্ট্রাইকারের।
ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, অনুশীলনে সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সাথে বল দখলের লড়াইয়ের সময় পায়ে আঘাত পান এনকুনু। ব্যাথায় তখনই কাতরে উঠে এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। অনুশীলন শেষ না করেই ফিজিওর সাথে মাঠ থেকে উঠে যান তিনি। পরে পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে জানানো হয়, হাঁটুর লিগামেন্টের তন্তু ছিঁড়ে গেছে এই ফুটবলারের।
ইনজুরিতে এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ফুটবলারকে পায়নি ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম। ফলে এনকুনুর ইনজুরি বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়ালো গত আসরে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচের। দল সাজাতে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে তাকে। চলতি মৌসুমে লাইপজিগের হয়ে ভাল ফর্মে ছিলেন এনকুনু। ১৫ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। ইনজুরিতে ছিটকে বিশ্বকাপ খেলতে না পারায় মর্মাহত তার সতীর্থরা। এক বিবৃতিতে তার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে দ্রুত সেরে উঠার আশাবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স জাতীয় দল।
ফিফার নিয়মানুযায়ী, প্রথম ম্যাচের আগে চোটে পড়া ফুটবলারের বদলি টানতে পারবে দলগুলো। সেক্ষেত্রে এনকুনুর জায়গায় বিশ্বকাপ দলে ডাক পেতে পারেন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুটের স্ট্রাইকার রানডাল কোলো মুয়ানি।
কাতার বিশ্বকাপ ইনজুরি ফ্রান্স ক্রিস্টোফার এনকুনু
মন্তব্য করুন
চলতি
লীগ ওয়ানের নিজেদের ঘরের মাঠে লে হাভরের সাথে ড্রয়ের পর শিরোপার অপেক্ষা বেড়েছিল পিএসজির।
তবে অলিম্পিক লিঁওর কাছে মোনাকোর হারে অপেক্ষার অবসান ঘটল পিএসজির। এতে লিগ-১ এ তিন
ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতল প্যারিসিয়ানরা।
গতকাল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা মোনাকোর মুখোমুখি হয়েছিল অলিম্পিক লিঁও। ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে মোনাকোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতে নিল পিএসজি।
এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই উইসাম বেন ইয়েদেরের গোলে এগিয়ে যায় মোনাকো। তবে ম্যাচের ২২তম মিনিটেই সমতা ফেরায় লিওঁ। স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেন আলেকসঁদ লাকাজেত।
মন্তব্য করুন
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে
আজ ঢাকায় পৌঁছেছে সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আগামী ৩ মে থেকে
শুরু হবে এই টি-২০ সিরিজ।
ঢাকায় পৌঁছে সেখান থেকে সরাসরি
চট্টগ্রামে উড়ে যায় জিম্বাবুয়ে দল। আগামী ৩ মে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে
সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ৫ ও ৭ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে।
এবং ১০ ও ১২ মে ঢাকায় সিরিজের শেষ ২ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের
জন্য ইতিমধ্যেই নাজমুল হাসান শান্তকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
এবং সিকান্দার রাজাকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন
শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লা রিয়াদ,
জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম
হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান।
জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক),
ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইন্সলে এনডিলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।
বিসিবি জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ টি-২০
মন্তব্য করুন
জেতাটা অসম্ভব, তবুও চমকের মাধ্যমে ফিরে আসা। প্রায় দুই দশকের
ও বেশি সময় ধরে সেই একই কাজ করে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি মৌসুমে সেই পথটাই বেছে নিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন।
বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখে আসছে তারা। চমকে দিচ্ছে ফুটবল বিশ্বকে। কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলতে হচ্ছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’
স্টুর্টগার্টের বিপক্ষেও লেভারকুসেন অবাক করেছে সবাইকে। একেবারে শেষ মূহর্তে তারা আরও একবার ফিরে আসার গল্প লিখেছে তারা। তাতে অনেকেই এই লেভারকুসেনকে মেলানো শুরু করেছে রিয়ালের সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো দুই ক্লাবকে মিলিয়ে বানানো হচ্ছে নানা ধরনের ‘মেমে’-ও।
আগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ড্র করেছিল লেভারকুসেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে ১৩ বার ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ বের করে এনেছে জাবি আলোনসোর দল। সব মিলিয়ে ৩৩৬ দিন অপরাজিত দলটা। ৪৬ ম্যাচ তাদের কেউ হারাতে পারেনি কোনো প্রতিযোগিতায়।
পরিসংখ্যানগুলো যে কাউকেই চমকে দেওয়ার কথা। আগের মৌসুমে এক পর্যায়ে রেলিগেশন জোনে থাকা দলটা এই মৌসুমে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে নিশ্চিত করে বুন্দেসলিগার শিরোপা। আছে অপরাজিত থেকে ট্রেবল জেতার দৌড়েও।
এমন অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড ঘটিয়ে চলা দলটার কোচ আলোনসোরও বিশ্বাস হচ্ছে না কি করছে তার দল। “ফুটবলে এমনটা আমি দেখিনি, এটা বর্ণনা করা বেশ কঠিন। গেল সপ্তাহের ম্যাচে আমি কিছুটা আবেগি হয়ে গিয়েছিলাম, তবে আজকেরটা বিশ্বাস করার মতো না।”
কথার সাথে কাজের মিলটাও দেখা গেছে আলোনসোর। গেল সপ্তাহে তার দল যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ম্যাচটা শেষ মূহর্তের নাটকীয়তায় ড্র করেছিল তখন আবেগটা প্রকাশ করতে বেশ লাফিয়েছিলেন তিনি। তবে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ছিলেন স্থির। তার ফুটবলাররা উল্লাসে মাতলেও সাইডলাইনে আনন্দটা বুঝিয়েছে মুচকি হাসিতেই।
হয়তো মূল আনন্দটা জমিয়ে রাখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ট্রেবল জেতার
স্বপ্নটাও হয়তো উঁকি দিচ্ছে তাকে। কে জানে মৌসুমে বাকী সাত ম্যাচে আরও কি চমক তারা দেখায়।
লেভারকুসন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
মন্তব্য করুন
আইপিএলের এবারের আসরে রীতিমতো উড়ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
এদিন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২ রান করে চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জয় ৭৮ রানে। আর এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।
চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু করে এ জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন তুষার দেশপান্ডে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেডকে সাজঘরের পথ দেখান দেশপান্ডে। আউট হওয়ার আগে ১৩ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দেন আমলপ্রিত সিং। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
পরে ব্যাট হাতে আশা দেখিয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অভিষেক। ১৫ রানে তাকে থামিয়েছেন দেশপান্ডে। এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে এই আসরে উড়তে থাকা দলটি।
এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই ৩০ এর কোটা পেরোতে পারেননি। পাথিরানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩২ করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার।
তার বিদায়ের পর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে তারা।
চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা
মুস্তাফিজ বাংলাদেশ চেন্নাই আইপিএল
মন্তব্য করুন
আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।
আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।