ইনসাইড গ্রাউন্ড

ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার্সদের হতাশার বিশ্বকাপ

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

দক্ষিণ আমেরিকা ঘুরে আবার ইউরোপে ফেরে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। সুইজারল্যান্ডে ১৬ জুন থেকে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম ফুটবল বিশ্বকাপ। নানা কারণে এই বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে আছে ইতিহাসে। অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে ইউরোপ। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বকাপ ফুটবল হয়ে উঠেছিল সব ভুলে একটু খানি হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ। এর আগেই বিশ্বকাপ উৎসবের উপলক্ষ্যে পরিণত হলেও, ততদিনে এর মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে।

এটিই ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ, যেটা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ পায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। ১৬টি দল অংশ নেয় ১৯৫৪ বিশ্বকাপে। যাদের মধ্যে ৮টি বাছাই এবং ৮টি অবাছাই দল। প্রতিটি গ্রুপের বাছাই দল দুটি শুধু অন্য দুটি অবাছাই দলের সঙ্গে খেলবে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ড্র হলে ৩০ মিনিট সময় অতিরিক্ত খেলা হবে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্য ১২টি ইউরোপের। দক্ষিণ আমেরিকার দুটি। উত্তর আমেরিকা ও এশিয়া থেকে অংশ নেয় ১টি করে দল। এই আসর দিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যায় স্কটল্যান্ড, তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়াকে। দলগুলোক ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়।

এ বিশ্বকাপকে বলা হয় গোলের বিশ্বকাপ। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই হয় গোলবন্যা। ২৬ ম্যাচে গোল হয় ১৪০টি। ম্যাচপ্রতি গোল গড় ৫.৩৮। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

গ্রুপ-১ থেকে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৩ পয়েন্ট করে পায় ব্রাজিল ও যুগোস্লোভিয়া। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রুপ সেরা হয় ব্রাজিল, রানার্সআপ যুগোস্লোভিয়া। বাদ পড়ে ফ্রান্স ও মেক্সিকো।

গ্রুপ-২ থেকে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে উঠে টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট হাঙ্গেরি। এক ম্যাচ করে জেতা পশ্চিম জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে হয় প্লে-অফ ম্যাচ। সেখানে ৭-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট পায় পশ্চিম জার্মানি। বাড়ির পথ ধরে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া। গ্রুপপর্বের খেলায় এই গ্রুপেই হয় সবচেয়ে বেশি গোল। ৫ ম্যাচের মধ্যেচারটিতেই হ্যাটট্রিক দেখে বিশ্ব।

গ্রুপ-৩ থেকে দুটি  করে জয় পায় উরুগুয়ে ও অস্ট্রিয়া। এখানেও গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। রানার্সআপ হয় অস্ট্রিয়া।গ্রুপ-৪ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় ইংল্যান্ড। আর প্লে-অফ ম্যাচে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ আটে উঠে স্বাগতিক সুইজারল্যান্ড।

কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোল উৎসব করে অস্ট্রিয়া। সুইসদের ৭-৫ গোলে বিধ্বস্ত করে অস্ট্রিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে ১২ গোলের রেকর্ড হয়। যা এখন পর্যন্ত ভাঙতে পারেনি কোন দল। আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪-২ গোলে হারায় উরুগুয়ে। যুগোস্লোভিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে পশ্চিম জার্মানি এবং ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে যায় হাঙ্গেরি।

৩০ জুন বাসেলে প্রথম সেমিতে মুখোমুখি হয় অস্ট্রিয়া ও পশ্চিম জার্মানি। সে ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানি। লুসানে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে হাঙ্গেরি-উরুগুয়ের ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতায় শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে সান্দোর ককসিচের জোড়া গোলে ফাইনালে উঠে হাঙ্গেরি।

এরপরের গল্পটা এক দেশের জন্য চরম হতাশার। অন্য দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা। বার্নের ভাঙ্কডর্ফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় পুঁজিবাদী জার্মানি ও সমাজতান্ত্রিক হাঙ্গেরি। যারা গ্রুপ পর্বে ৮ গোল দিয়েছিল জার্মানিকে। ম্যাচের শুরুতেও সেই ধারা ফিরিয়ে এনেছিল হাঙ্গেরি। ৮ মিনিটের মধ্যেই পুসকাস আর চিবরের গোলে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিলো হাঙ্গেরি। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাড়ায় জার্মানরা। ১৮ মিনিটের মধ্য মারলক এবং হেলমুট রাহনের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি। ৮৪ মিনিটে রাহনের দ্বিতীয় গোলে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে পশ্চিম জার্মানি।

সেদিন ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে এসেছিলো প্রায় ৬৩ হাজার দর্শক। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ একটি ম্যাচ দেখার পাশাপাশি তারা হয়ে গেলো ইতিহাসের সাক্ষী। সে ইতিহাস সেরা দলের শিরোপা না জেতার ইতিহাস। অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা হাঙ্গেরির বেদনায় নীল হওয়ার ইতিহাস। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৬ সালে হাঙ্গেরির গণ–আন্দোলন শুরুর আগপর্যন্ত ৫০ ম্যাচ খেলে দলটির একমাত্র হার জার্মানদের বিপক্ষে এই ফাইনালে। যা ম্যাজিক্যাল ম্যাগিয়ার্সদের বঞ্চিত করে আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা থেকে। আর ফুটবল ইতিহাসে ম্যাচটি অ্যাখা পায় "মিরাকল অব বার্ন" হিসেবে।


কাতার বিশ্বকাপ   ১৯৫৪ বিশ্বকাপ   হাঙ্গেরি   জার্মানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে চেন্নাইয়ের বড় জয়

প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে রীতিমতো উড়ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

এদিন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২ রান করে চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জয় ৭৮ রানে। আর এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু করে এ জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন তুষার দেশপান্ডে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেডকে সাজঘরের পথ দেখান দেশপান্ডে। আউট হওয়ার আগে ১৩ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দেন আমলপ্রিত সিং। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

পরে ব্যাট হাতে আশা দেখিয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অভিষেক। ১৫ রানে তাকে থামিয়েছেন দেশপান্ডে। এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে এই আসরে উড়তে থাকা দলটি।

এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই ৩০ এর কোটা পেরোতে পারেননি। পাথিরানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩২ করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে তারা।

চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরি, তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দারুণ বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে ভারতকে দেড়শর মধ্যেই আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন অসহায়ের মত ধরা দিলেন। তবুও স্বস্তির দেখা মিলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা।

এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০১ রান করে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

নতুন বলে মারুফার ওপর আস্থা রেখেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ।

সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন স্মৃতি।

অন্যপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন ভার্মা। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়শতিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান।

চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে পিছিয়ে পড়ার পরই শঙ্কা জেগেছিল আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার। তবে সে ম্যাচে দারুণভাবেই ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু বার্নলির বিপক্ষে হেরে আটকে গেল রাশফোর্ড-ক্যাসেমিরোরা। এতে করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ল ম্যানইউ।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ইউনাইটেড ড্র করেছে ১-১ গোলে। আর এই ফলাফলই তাদের আটকে দিয়েছে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা থেকে। তবে ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্নটা এখনো টিকে আছে এরিক টেন হাগের দল।

৩৪ ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৫৪। ম্যাচ বাকি আছে আর চারটা। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ৬৭। বাকী ৪ ম্যাচ জিতলেও যে ভিলাকে টপকাতে পারবে না ইউনাইটেড।

চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেললেও তাতে হতাশই ইউনাইটেড।। গ্রুপ পর্ব থেকে নিয়েছিল বিদায়। শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে।

তবে সুযোগ আছে টটেনহামকে টপকে পাঁচে থেকে শেষ করার। অবশ্য সে কাজটাও বেশ কঠিন। নর্থ লন্ডনের ক্লাবটার ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৬০। দুই ম্যাচ কম খেলেও তারা ইউনাইটেড থেকে বেশ ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   এফএ কাপ   ফুটবল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন