নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে রাউন্ড অব সিক্সটিনের। যেখানে দুই দলের সামনেই একই সমীকরণ। জিতলে চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে আর হারলে নিতে হবে বিদায়। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো নেদারল্যান্ডস।
নকআউটের যুদ্ধের আবহ নিয়ে ম্যাচ শুরু করে নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ৩ মিনিটেই ডাচ গোলরক্ষকের ভাল পরীক্ষা নেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। গোলপোষ্টে ১২ গজ সামনে থেকে জোরালো এক শট নেন তিনি। তবে সে শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে পরীক্ষা উতরে যান নোপার্ট। ৭ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে বল পেয়ে ডাচদের ডি-বক্সে জটলা পাকলেও, তা জালে জড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
উল্টো ম্যাচের ১০ মিনিটেই জাল খুঁজে নেন ডাচ তারকা মেমফিস ডিপাই। ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের দারুণ এক ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর বল পান ডিপাই। ঠান্ডা মাথার শটে যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষকে পরাস্ত করে বল জড়ান জালে। এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ১৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিলো ব্লিন্ডের সামনে। এলোমেলো শটে হতাশ করেন দলকে। ২১ মিনিটে ভাল সুযোগ পেয়েও পোষ্টের বাইরে দিয়ে পাঠান ডিপাই।
২৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে যান ডিপাই। তার নেয়া শট ডিফ্লেক্টেড হয়। খেলায় ফিরতে চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েকবার ডাচদের রক্ষণে ঢোকার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি দলটি। তবে ৪৩ মিনিটে ম্যাচে ফিরতে পারতো মার্কিনিরা। ডাচ ডিফেন্ডারের ভুল পাস থেকে বল পান টিমোধি উইয়াহ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। তবে বামে ঝাপিয়ে সে শট ঠেকিয়ে দেন নোপার্ট। আবারো ত্রাতা হন ডাচদের। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ চালায় নেদারল্যান্ডস। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে একাই যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণভাগে ডুকে পড়েন গাকপো। তবে সতীর্থের অভাবে তার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে আবারো ডাচদের চমক। যোগ করা সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নেন দালি ব্লিন্ড। ফাঁকা জায়গা থেকে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এবারো গোলে সহায়তাকারী ড্যানজেল ডামফ্রিস। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।
বিরতির পর দুই দলের খেলার ধারই বাড়ে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকেন দুই দলের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে পরিবর্তন আনেন ডাচ কোচ লুইস ফন গাল। ক্লাসেন-ডি রনকে উঠিয়ে তাদের বদলি হিসেবে নামান টিওন কোপমেইনার্স ও স্টিভেন বার্গউইনকে।
৪৯ মিনিটে রিয়াম ও ম্যাককিনি গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। তবে পরের মিনিটেই আক্রমণ প্রতিহত করতে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন টিম রিয়াম। তার পায়ে লেগে বল ঢুকে যাচ্ছিলো নিজেদের জালেই। তবে টার্নার কোন বিপদ ঘটতে দেননি। ৫১ মিনিটে ডাচদের ডি-বক্সের বাইরে থেকে এলোমেলো শট নেন ডেস্ট। ৫৩ মিনিটে পুলিসিচের শট সরাসরি গ্লাভসে জমা করেন নোপার্ট। ৫৪ মিনিটে ম্যাককিনির শট পোষ্টের খানিক উপর দিয়ে চলে যায়। হতাশা বাড়তে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের।
৬০ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কোডি গাকপো। তবে তার শট ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসে। সেখান থেকে ডিপাইকে পাস দেন গাকপো। পোষ্ট লক্ষ্য করে বুলেট গতির শট নেন ডিপাই। তবে লাফিয়ে উঠে বলের গতিমুখ বদলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার। বাজে ট্যাকল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেদারল্যান্ডসের কোপমেইনার্স।
৬৩ মিনিটে রাইট উইং দিয়ে আক্রমণে যান টিমোথি উইয়াহ। তার নেয়া প্রথম শট ডিফেন্ডাররা প্রতিহত হয়। তার পায়েই যায় ফিরতি বল। সেখান থেকে সতীর্থ কাউকে দিতে পারেন নি তিনি। ৬৭ মিনিটে উইয়াহ-ম্যাককিনিকে উঠিয়ে নেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অ্যারনসন ও হাজি রাইট। ৭১ মিনিটে দুর্দান্ত দুটি সেভ করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার। ডামফ্রিসের শট পুশ করে ফিরিয়ে দেয়ার পর সেখান থেকে বল যায় ডিপাইয়ের কাছে। শূন্যে ভেসে সে বলে হেড করেন ডিপাই। তবে টানারর্কে পরাস্ত করতে পারেন নি তিনি।
৭৫ মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি হাজি রাইট। তবে পরের মিনিটেই বধান কমান তিনি। পুলিসিচের ডিফেন্স চেরা পাসে পা ছুঁইয়ে গোলমুখে বল পাঠান তিনি। নোপার্ট ও ডামফ্রিস চেষ্টা করলেও বল জালে জড়িয়ে যায়। ৭৯ মিনিটে পুলিসিচের শট ফিরিয়ে দেন ডাচ কিপার। তবে ৮১ মিনিটে আবার ডাচদের এগিয়ে প্রথম দুই গোলে অ্যাসিস্ট করা ডেনজেল ডামফ্রিস। বাম প্রান্ত থেকে ব্লিন্ডের ক্রসে দারুণ এক ভলিতে ব্যবধান ৩-১ করেন এই রাইটব্যাক।
৮৬ মিনিটে পুলিসিচের শট কর্নার বিনিময়ে ক্লিয়ার করে দেন ভার্জিল ফর ডাইক। ৮৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। শেষদিকে দুই দলই মরিয়া হয়ে গোলের চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি। নির্ধারিত সময় শেষে আর কোন গোল না হলে জয়ের উল্লাসে মাতে ডাচরা।
এ জয়ে প্রথম দল হিসেবে পায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। গ্যালারিতে ঝড় উঠে কমলা রং এর। আর স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় পুড়তে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হলো পরের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটিকে।
কাতার বিশ্বকাপ নেদারল্যান্ডস যুক্তরাষ্ট্র খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বাকি নেই এক মাসও। ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে। দলও ঘোষণা করেছে একাধিক দেশ।
তবে এতসব আয়োজনের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। হুমকির মুখে পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। কারণ বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।
আর এই হুমকিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।
পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।
এ ধরণের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠে গুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদেরপ্রধান লক্ষ্য।’
চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ্যবাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।
পাকিস্তান টি-২০ বিশ্বকাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জঙ্গি হামলা
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।
সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।
তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।
কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।
সিজার লুইস মেন্তি আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো
কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮
সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ
খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি
ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত
ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও
ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ
শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০
দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।
এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ
প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ
আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’
আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল
স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের
ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের
মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবল সিজার লুইস মেনোত্তি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না লিটন।
আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নামলেই যেন ১০ এর গণ্ডিও পেরোতে পারছেন না তিনি। সবমিলিয়ে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ফিফটি এসেছে ১৯ ইনিংস আগে। ফর্মহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেস্টে ফিরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তার শুরুটা হয়েছে ১ রান দিয়ে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করেছেন। তবুও যেন স্ট্রাইক রেটে রয়েছেন পিছিয়ে।
এভাবে লিটনের ধারাবাহিক ফর্মহীনতায় তার পাশাপাশি ধুঁকছে বাংলাদেশও। শুরুতে দ্রুতই তার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে অবস্থা থেকে ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হয় পরবর্তী টপঅর্ডারদের। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য বড় ভাবনার কারণ।
চলমান ডিপিএলেও তিন ম্যাচ খেলে একটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন, বাকি দুই ম্যাচ মিলে করেছেন ৩৮ রান। লিটনের এমন ফর্মহীনতার পরও একের পর এক ম্যাচ-সিরিজে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। যার জন্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই। এমনকি লিটনের এই অফফর্মের জন্য তাকে নিয়ে নানা ট্রোল ও হচ্ছে। নেটিজেনরা এরই মধ্যে তার এই অফফর্মের কারণে তাকে দলে দেখতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লিটনের এই অফফর্ম যাবে কবে?
এরই মধ্যে ব্যাট হাতে লিটনের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা কাটাতে কোচদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘লিটনকে নিয়ে আমরা সবাই জানি, তার মেধা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ফর্মের বাইরে। তাকে নিয়ে জালাল (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ব্যাটিং কোচ যে আছেন আমাদের, তার সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। বলেছি তার (লিটনের) ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে যে সমস্যাটা কোথায়।’
সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা রয়েছৈ তাদের। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের খেলার কথা, মুস্তাফিজ খেলবে কি না আমি নিশ্চিত না। আমার ধারণা ওকে বিশ্রামে রাখা হবে। কতদিন বিশ্রামে রাখা হবে তা জানিনা। সাকিব তো লিগে সেঞ্চুরি করল এতদিন পরে। ওর রানে ফিরে আসাটা একটা ভালো দিক। আমি যতটুকু শুনেছি ও খেলবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘বোলিংটা প্রথমদিকে ভালোই লাগছিল। পরের দিকে একদম ভালো লাগেনি। ব্যাটিংটা ভালো লাগেনি। ব্যাটিংয়ে এখনও মনে হচ্ছে আমরা স্ট্রাগল করছি। বোলিংয়ে যে অবস্থা ছিল, ৪০-৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এত রান করতে দেওয়া ওদের, এটা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখনও বের হতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন