ইনসাইড গ্রাউন্ড

এমবাপ্পে ম্যাজিকে শেষ আটে ফ্রান্স

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

এবারের বিশ্বকাপ শিরোপার অন্যতম দাবিদার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তবে এই দলটিই বিশ্বকাপ শুরুর আগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিলো ইনজুরির থাবায়। ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছাড়াই রণ-কৌশল সাজাতে হয় ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশমকে। মরার উপর খারার ঘা হয়ে আসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লুকাস হার্নান্দেজের ইনজুরি। সে ম্যাচের শুরুতেই চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান তিনিও।

তবে এসবের কোন কিছুই প্রভাব ফেলতে পারেনি দলটির মাঠের পারফরম্যান্সে। গ্রুপ পর্ব থেকেই মাঠে দাপট দেখাচ্ছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মাঝে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ম্যাচে হারলেও, নকআউটেও দুর্দান্ত ছন্দ ধরে রেখেছে লা ব্লুসরা। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো ফ্রান্স।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ডি-বক্সে ঢুকতে গিয়ে ফাউলের শিকার হন গ্রিজম্যান। সেখান থেকে গ্রিজম্যানের নেয়া ফ্রি-কিক কোন কাজে আসেনি। ৪ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে ভারানের হেড গোলবারের উপর দিয়ে যায়। ১১ মিনিটে আবারো পোল্যান্ডের রক্ষণে আক্রমণে যায় ফ্রান্স। সেখান থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেন নি উসমান দেম্বেলে। টানা আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই পোল্যান্ডকে চেপে ধরে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

১৩ মিনিটে চুয়ামেনি পোলিশদের ডি-বক্সে ভীতি ছড়ান। গোল আদায়ে ব্যর্থ হন তিনিও। চার মিনিট পর দেম্বেলে আবারো হতাশ করেন দলকে। ২১ মিনিটে লেভানডফস্কির শট সাইড বারের অনেকটা পাশ দিয়ে চলে যায়। ২২ মিনিটে কুন্দের শট সরাসরি চলে যায় সেজনির হাতে। ২৩ মিনিটে বাম পাশ ধরে দৌড়ে আক্রমণে উঠার চেষ্টা করলেও, ম্যাটি ক্যাশের কাছে বল হারান তিনি।

২৯ মিনিটে দেম্বেলের দারুণ ক্রস থেকে এগিয়ে যেতে পারতো ফ্রান্স। তবে ফাঁকা পোষ্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি অলিভার জিরু। ৩২ মিনিটে ফ্যানকোউস্কিকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন চুয়ামেনি।

৩৫ মিনিটে ম্যাটি ক্যাশকে ধোঁকা দিয়ে গোলমুখে জোরালো শট নেন এমবাপ্পে। কর্নারের বিনিময়ে তা ঠেকিয়ে দেন সেজনি। তবে তিন মিনিট পর ম্যাচে সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করে পোল্যান্ড। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জিলিনস্কির নেয়া শট প্রতিহত করেন হুগো লরিস। সেখান থেকে বল পেয়ে আবারো গোলমুখে শট নেন তিনি। এবার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা ফিরে আসে।

৪৪ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে তা জালে জড়ান অলিভার জিরু। ম্যাচে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর এই গোলে ফরাসিদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুট পড়লেন এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। ৫২ গোল করে থিয়েরি অঁরিকে পেছনে ফেলে এই কৃতিত্ব গড়লেন অলিভার জিরু।

বিরতির পরপরই বেরেসজিনিস্কিকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৪৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক থেকে গোলের সম্ভাবনা নষ্ট করেন রাফায়েল ভারান। ফিরতি বল পেয়ে সেখান থেকে থিও হার্নান্দেজের গোলের চেষ্টাও কাজে আসেনি। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। পরের মিনিটে দারুণ এক ওভারহেড কিকে বল জালে জড়ান জিরু। তবে তার আগেই খেলার বন্ধের বাঁশি বাজাতে বাধ্য হন রেফারি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান পোলিশ কিপার সেজনি, ডিফেন্ডার ম্যাটি ক্যাশ ও ফ্রান্সের ভারান। সেজন্যই খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন ভেনেজুয়েলিয়ার রেফারি জেসুস নোয়েল।

৬৩ মিনিটে আবারো এমবাপ্পের প্রচেষ্টা। তবে গোল আদায় করতে পারেন নি তিনি। তিন মিনিট পর গ্রিজম্যানও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে হতাশা বাড়ে ফরাসিদের। ৬৬ মিনিটে চুয়ামেনিকে উঠিয়ে ফোফানাকে মাঠে নামান দেশম। একাদশে পরিবর্তন আনে পোল্যান্ডও। ৭২ মিনিটে ফরাসিদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেন গ্লিক। তবে তার শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৭৪ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। দেম্বেলের অ্যাসিস্টে বুলেট গতির শটে ফার্স্ট বার দিয়ে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। চলতি বিশ্বকাপে এটি ফরাসি স্ট্রাইকারের চতুর্থ গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। পরের মিনিটে দেম্বেলের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কিংসলে কোম্যান।

৮২ মিনিটে থিও'র আক্রমণ আলোর মুখ দেখেনি। ৮৮ মিনিটে কার্ড দেখেন ম্যাচি ক্যাশ। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। বদলি হিসেবে নামা থুরামের পাস থেকে চোখ ধাঁধানো এক শটে সেজনিকে পরাস্ত করেন তিনি। শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিলো পোল্যান্ডের সামনে। তবে গ্লিকের বাই-সাইকেল কিক ঠেকিয়ে দেন লরিস। যদিও অফসাইডের ফাঁদে ছিলেন তিনি।

ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে ডি-বক্সে হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। লেভার নেয়া সে শট ডানে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন লরিস। কিন্তু শট নেয়ার আগে গোল লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করেন রেফারি। ব্যবধান কমানোর সুযোগ বেঁচে থাকে পোল্যান্ডের সামনে। পরের বার আর ভুল করেন নি লেভানডফস্কি। বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। আর তার সাথে সাথেই ম্যাচের সমাপ্তি টানেন রেফারি।

বিশ্বকাপ শিরোপার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যায় ফ্রান্স। আর রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিলো পোল্যান্ড।


কাতার বিশ্বকাপ   ফ্রান্স   পোল্যান্ড   আল থুমামা স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

খাদের কিনারা থেকে বারবার ফিরে আসার গল্প লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেতাটা অসম্ভব, তবুও চমকের মাধ্যমে ফিরে আসা। প্রায় দুই দশকের ও বেশি সময় ধরে সেই একই কাজ করে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। চলতি মৌসুমে সেই পথটাই বেছে নিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন।

বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখে আসছে তারা। চমকে দিচ্ছে ফুটবল বিশ্বকে। কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলতে হচ্ছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

স্টুর্টগার্টের বিপক্ষেও লেভারকুসেন অবাক করেছে সবাইকে। একেবারে শেষ মূহর্তে তারা আরও একবার ফিরে আসার গল্প লিখেছে তারা। তাতে অনেকেই এই লেভারকুসেনকে মেলানো শুরু করেছে রিয়ালের সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো দুই ক্লাবকে মিলিয়ে বানানো হচ্ছে নানা ধরনের ‘মেমে’-ও।

আগের ম্যাচে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে ড্র করেছিল লেভারকুসেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে ১৩ বার ৯০ মিনিটের পর ম্যাচ বের করে এনেছে জাবি আলোনসোর দল। সব মিলিয়ে ৩৩৬ দিন অপরাজিত দলটা। ৪৬ ম্যাচ তাদের কেউ হারাতে পারেনি কোনো প্রতিযোগিতায়।

পরিসংখ্যানগুলো যে কাউকেই চমকে দেওয়ার কথা। আগের মৌসুমে এক পর্যায়ে রেলিগেশন জোনে থাকা দলটা এই মৌসুমে এসে পাঁচ ম্যাচ হাতে নিশ্চিত করে বুন্দেসলিগার শিরোপা। আছে অপরাজিত থেকে ট্রেবল জেতার দৌড়েও।

এমন অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড ঘটিয়ে চলা দলটার কোচ আলোনসোরও বিশ্বাস হচ্ছে না কি করছে তার দল। “ফুটবলে এমনটা আমি দেখিনি, এটা বর্ণনা করা বেশ কঠিন। গেল সপ্তাহের ম্যাচে আমি কিছুটা আবেগি হয়ে গিয়েছিলাম, তবে আজকেরটা বিশ্বাস করার মতো না।”

কথার সাথে কাজের মিলটাও দেখা গেছে আলোনসোর। গেল সপ্তাহে তার দল যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাথে ম্যাচটা শেষ মূহর্তের নাটকীয়তায় ড্র করেছিল তখন আবেগটা প্রকাশ করতে বেশ লাফিয়েছিলেন তিনি। তবে স্টুটগার্টের বিপক্ষে ছিলেন স্থির। তার ফুটবলাররা উল্লাসে মাতলেও সাইডলাইনে আনন্দটা বুঝিয়েছে মুচকি হাসিতেই।

হয়তো মূল আনন্দটা জমিয়ে রাখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ট্রেবল জেতার স্বপ্নটাও হয়তো উঁকি দিচ্ছে তাকে। কে জানে মৌসুমে বাকী সাত ম্যাচে আরও কি চমক তারা দেখায়।


লেভারকুসন   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে চেন্নাইয়ের বড় জয়

প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে রীতিমতো উড়ছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হাইভোল্টেজ ম্যাচে অরেঞ্জ আর্মিদের গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

এদিন চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১২ রান করে চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। চেন্নাইয়ের জয় ৭৮ রানে। আর এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। ব্যাট হাতে উড়ন্ত শুরু করে এ জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন তুষার দেশপান্ডে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেডকে সাজঘরের পথ দেখান দেশপান্ডে। আউট হওয়ার আগে ১৩ করেন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দেন আমলপ্রিত সিং। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

পরে ব্যাট হাতে আশা দেখিয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অভিষেক। ১৫ রানে তাকে থামিয়েছেন দেশপান্ডে। এরপরেই খেই হারিয়ে ফেলে এই আসরে উড়তে থাকা দলটি।

এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই ৩০ এর কোটা পেরোতে পারেননি। পাথিরানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩২ করেন এ প্রোটিয়া ব্যাটার।

তার বিদায়ের পর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে তারা।

চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা। যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

আসন্ন বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চোটের কারণে লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোট কাটিয়ে সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরেন তিনি। খেলছেন চলমান ডিপিএলেও। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে যাচ্ছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৫ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন ছাড়াও ফিরেছেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার মূলত অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়েছিলেন। তবে সম্প্রতি ডিপিএলে ভালো করায় তাকে দলে ফিরিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডিপিএলে পারফর্ম করায় সুযোগ মিলেছে পারভেজ হোসেন ইমনেরও। এই তরুণ ওপেনার ডিপিএলে ধারবাহিক রান পেয়েছেন। তাছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলাদেশ দল নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসাইন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে নারী আম্পায়ার বিতর্ক নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু তিনদিন আগে হয়ে যাওয়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই ম্যাচ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। মূলত এই ম্যাচে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে না চাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। ঘটনাটা নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির উপস্থিতিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এর কারণ কী?

পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। শুরুতে দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসি থাকাকালে ম্যাচে নামতে চায়নি বড় দুই ক্লাব। কিন্তু দিন গড়াতেই জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয়,  বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।  

ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।   

এদিকে দেশের ক্রিকেটের এমন উত্তপ্ত অবস্থার মাঝেও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, “আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সাথে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না।”

আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে বিতর্কের পর দুই ক্লাবের কর্মকর্তারাই জানালেন জেসিকে নিয়ে সংশয়ের কারণেই মূলত এমন ঘটনার সূত্রপাত।

মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই।’

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, ‘মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি   ডিপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অধিনায়ক জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরি, তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দারুণ বোলিংয়ের মধ্য দিয়ে ভারতকে দেড়শর মধ্যেই আটকে রেখেছিলেন বোলাররা। তবে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন অসহায়ের মত ধরা দিলেন। তবুও স্বস্তির দেখা মিলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের কাছে ৪৫ রানে হেরেছে টাইগ্রেসরা।

এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে ভারত। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০১ রান করে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

নতুন বলে মারুফার ওপর আস্থা রেখেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ওভারেই দুই বাউন্ডারিতে এই পেসারকে সেট হতে দেননি শেফালি ভার্মা। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ।

সুলতানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন স্মৃতি মান্দানা। কিন্তু সেটা হাতে জমাতে পারেননি ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য সেই তৃষ্ণাই পরের ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। তার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন স্মৃতি।

অন্যপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেছেন ভার্মা। ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও রানের দেখা পেয়েছেন। ইয়শতিকা ভাটিয়া করেছেন ২৯ বলে ৩৬ রান।

চারে নেমে হারমানপ্রীত করেছেন ২২ বলে ৩০ রান। তাছাড়া রিকা ঘোষের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রাবেয়া খান। তাছাড়া ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন মারুফা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন