ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসি-আলভারেজ নৈপূর্নে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

প্রকাশ: ০৩:০৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই দোহার লুসাইল স্টেডিয়াম যেন হয়ে ওঠে এক টুকরো বুয়েন্স এইরেস। গ্যালারী ভর্তি আকাশি-নীল সমর্থকেদর উল্লাস ধ্বনিই বলে দিচ্ছিলো ম্যাচের চিত্র। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠে গেলো লিওনেল মেসিরা। বিশ্বকাপ শিরোপার আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। গত আসরে একই প্রতিপক্ষের গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নিলে সেই একই ব্যবধানে ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতেই অনন্য এক রেকর্ড গড়েন লিওনেল মেসি। জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথিউসের সাথে বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন তিনি। রেকর্ডের ম্যাচটিতে পুরো আলো যেন নিজের দিকে টেনে নিলেন মেসি। দি পলের দারুণ এক ক্রস থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটিও করেন মেসি। সেখানেও রেকর্ড মেসির। বাতিস্তুতাকে টপকে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১১টি গোলের মালিক এখন লিওনেল মেসি। যা চলতি আসরে তার পঞ্চম গোল।

ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের খেলায় আধিপত্য দেখায় ক্রোয়েশিয়া। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে আর্জেন্টিনার রক্ষণে বারবার আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ডি-বক্সের লাইনে মেসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেল দেন গভারদিয়োল। তবে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের আবেদনে সাড়া দেননি ইতালিয়ান রেফারি দানিয়েল অরসাতো।

দারুণ প্রেসিং ফুটবল খেলে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেন লুকা মদরিচরা। ২২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারেদের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ২৫ মিনিটে আরো একটি সুযোগ কাজেল লাগাতে ব্যর্থ হন জুলিয়ান আলভারেজ। পরের মিনিটে ফার্নান্দেজের নেয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন লিভাকোভিচ।

দুই মিনিট পর আর্জেন্টাইন রক্ষণে সুবিধাজনক স্থানে ফ্রি-কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেন নি লুকা মদরিচ। ৩১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন পেরিসিচ। তবে তার নেয়া বাঁকানো শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে জুলিয়ান আলভারেজ ঢুকে পড়েন ডি-বক্সের মধ্যে। বিপদ বুঝতে পেরে এসে তাকে চার্জ করেন লিভাকোভিচ। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।

৩৪ মিনিটে সেখান থেকে গোল করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন লিওনেল মেসি। এতে ১১ গোল নিয়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে টপকে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন মেসি।

পাঁচ মিনিট পরই আবারো উল্লাসে মাতে আকাশি-নীলরা। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একাই আবারো ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে প্রবেশ করেন আলভারেজ। দুই ডিফেন্ডারের সাথে বলের দখল নিয়ে লড়াই শেষে ঠান্ডা মাথায় লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন আলভারেজ। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আলবিসিলেস্তারা। ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে পোষ্টে হেড নিয়েছিলেন তাগলিয়াফিকো। তবে বামে ঝাঁপিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন লিভাকোভিচ।

প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহুর্তে ক্রোয়েশিয়ার ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মদরিচের নেয়া শট ওতামেন্দির মুখে লাগে। সেখান থেকে জুরানোভিচের নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন এমি মার্টিনেজ। শেষ দিকে মেসি একাই আবার ভীতি ধরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ানদের মনে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতি থেকে ফিরেই দলে দুটি পরিবর্তন আনেন জ্লাতকো দালিচ। বর্না সোসা-পাসালিচকে উঠিয়ে নিয়ে অরিসিচ ও ভ্লাসিচকে নামান তিনি। গোলের আশায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে লুকা মদরিচরা। উল্টো ৪৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো আর্জেন্টিনা। আলভারেজের কাছ থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেলেও শট নিতে পারেন নি এনজো। সেখান থেকে ফিরতি বল পেয়ে লিয়ান্দ্রো পারেদেস সোজাসুজি শট নেন পোস্টে। তা সরাসরি গ্লাভসে জমা করেন লিভাকোভিচ।

৫০ মিনিটে ব্রজোভিচের বদলি হিসেবে মাঠে নামান আগের ম্যাচের গোলদাতা পেতকোভিচকে। ৫৮ মিনিটে আবারো মেসি ম্যাজিক। ড্রিবলিংয়ে ক্রোয়েশিয়ানদের খাবি খাইয়ে ঢুকে পরেন ডি-বক্সে। তবে তার নেয় শট আটকে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। ৬২ মিনিটে প্রথম বদলি ফুটবলার নামায় আর্জেন্টিনা। লিয়ান্দ্রো পারেদেসের পরিবর্তে মাঠে ঢোকেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। সে সময় আরেকটি ভাল সুযোগ তৈরি করেছিলো ক্রোয়েশিয়া। ওতামন্দির ব্লকের পর তা ক্লিয়ার করেন এমি মার্টিনেজ।

দুই মিনিট পর আবারো মেসির জাদু। একের পর এক ডিফেন্ডারদের ঘোল খাইয়ে বিপদ সীমায় চলে যান তিনি। তবে সেখান থেকেও গোল আদায় করতে পারেন নি এলএম টেন। তবে ৬৯ মিনিটে একাই থমকে দেন ক্রোয়েশিয়াকে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটতে থাকেন ডি-বক্সের দিকে। তবে তাকে কড়া পাহারায় রেখেছিলেন গভারদিয়োল। খানিকটা সময় নিয়ে ক্রোয়েট ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে তার পায়ের নিচ দিয়ে বল দেন আলভারেজকে। কোণ ভুল করেননি এই তরুণ স্ট্রাইকার। বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন তিনি। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল। ৭৪ মিনিটে দলে দুটি পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবার মাঠে নামে পাওলো দিবালা এবং পালাসিয়োস।

৭৫ ও ৭৮ মিনিটে পেরিসিচ ও ওরিসিচের দুটি সুযোগ প্রতিহত করেন আর্জেন্টাইন বাজপাখি এমি। ৮৩ মিনিটে ম্যাকঅ্যালিস্টার গোল রকরতে পারেন নি। দুই মিনিট পর গোল হাতছাড়া করে হতাশা বাড়ান লভরেন। ৮৬ মিনিটে আবারো চমক দেখান স্কালোনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলাতে মাঠে নামান হুয়ান ফয়েথ, আনহেল কোররেয়াকে। ৮৯ মিনিটে মদরিচের বদলি হিসেবে মাঠে নামা মায়ার সম্ভাবনা জাগালেও এমি মার্টিনেজকে ফাঁকি দিতে পারেন নি।

ম্যাচের বাকি সময়েও  বেশ কয়েকবার আক্রমণের চেষ্টা করে গত আসরের রানার্সআপরা। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি দলটি। তাতে এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। একবুক হতাশা নিয়ে সেমিফাইনালে থেকে বিদায় নিলো তারা। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে বর্ণিল ক্যারিয়ারে ইতি ঘটলো ক্রোয়েশিয়ান গ্রেট লুকা মদরিচের। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে পারবে কি না তা জানতে অপেক্ষে করতে হবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।


কাতার বিশ্বকাপ   আর্জেন্টিনা   ক্রোয়েশিয়া   সেমিফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল: কোহলি

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।

এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।

নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’

‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাতীয় দলে কবে ফিরবেন তামিম, জানালেন পাপন

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।


তামিম ইকবাল   নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাস গড়ে রোনালদোকে টপকালেন মেসি

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।

রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।

সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।

দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।

রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।

ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।

জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো   আল নাসর   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ডবুকে নতুন পৃষ্ঠা যোগ করলেন ধোনী

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার।  দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে। 

গতকাল নিজেদের ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ৭৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে দলটি। আর এই জয়ে নিজের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক দলের হয়ে ১৫০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড করেছেন ধোনি।

চলতি আসরে শেষ দিকে প্রতিপক্ষ দলের বোলাদের ত্রাস হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে রাখেন ফিনিশারের ভূমিকা। এই মৌসুমে ৯ ম্যাচে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ২৫৯.৪৬ স্ট্রাইরেটে ৯৬ রান করেছেন ধোনি।

২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের ইতিহাসে মোট ২৫৯ ম্যাচ খেলেছেন ধোনি। ২৪ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩৭.১৩ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রান করেছেন ৫ হাজার ১৭৮।

চেন্নাইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচে যেখানে ৩.৩ ওভার বল করে খরচ করেছিলেন ৫১ রান, সেখানে গতকাল ২.৫ ওভার বল করে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মোটে ১৯ রান। শিকার করেছেন ২ উইকেট।

আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   ধোনী   রেকর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেও পার্পল ক্যাপ পেলেন না ফিজ

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের চলতি আসরে শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে প্রতি ম্যাচেই দেখা পেয়েছেন উইকেটের। শুধু তাই নয়, আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় ও রয়েছেন শুরু থেকেই। এমনকি একাধিকবার পেয়েছেন পার্পল ক্যাপের মর্যাদাও।

শুরু থেকে ছন্দে থাকলেও মুস্তাফিজ মাঝে তিন ম্যাচে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের বোলিং ফর্ম। যার জন্য উইকেট শিকারীর তালিকায় পিছিয়ে পড়েছিলেন কিছুটা। তবে গতকাল হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে আবারও ফিরেছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। ৮ ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার এখন ১৪ উইকেট। কিন্তু শীর্ষে থেকেও এবার ফিজের মাথায় উঠছে না পার্পল ক্যাপ।

কারণ সমান উইকেট হলেও এক ম্যাচ বেশি খেলা মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরার কাছেই থাকছে এ ক্যাপ। ভারতের ডানহাতে এই ফাস্ট বোলারের চেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ।

উইকেটপ্রতি অকাতরে রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ। প্রতিটি উইকেট শিকারে তিনি খরচ করেছেন ২১.১৪ রান। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০ এর কাছাকাছি। সে তুলনায় বেশ কৃপণ বুমরা। ভারতীয় এই বোলার ১৪ উইকেট শিকার করেছেন ১৭.০৭ গড়ে। আর রান উৎসবের আইপিএলের চলতি আসরে এ পর্যন্ত ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৬৩ রান।

বুমরা-মোস্তাফিজ ছাড়াও ১৪ উইকেট পেয়েছেন আরও একজন। তিনি পাঞ্জাব কিংসের হার্শাল প্যাটেল। তবে রান খরচের বেলায় তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মোস্তাফিজকেও। ২৩.৩৮ গড়ে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। আর ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০.১৮ রান।

এদিকে মোস্তাফিজের পর চেন্নাই সুপার কিংসের আরও একজন আছেন পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন মাথিশা পাথিরানা। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন লঙ্কান পেসার। ইনজুরির কারণে চলতি আসরের প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে না পারলেও পরে নিজের জাত চেনাতে খুব একটা সময় নেননি ডানহাতি এ ফাস্ট বোলার।

এখন পর্যন্ত ১৩ গড়ে শিকার করেছেন ১৩টি উইকেট। আর তার ইকোনমি হচ্ছে ৭.৬৮। পাঞ্জাবের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন মোস্তাফিজক। কিন্তু লঙ্কান এ পেসার যদি তার এই ফর্ম ধরে রাখতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই পার্পল ক্যাপ চলে যাবে চেন্নাইয়ের ডেরায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন