গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ হেরেও কাতার বিশ্বকাপের প্রথম দল হয়ে ফাইনালের মঞ্চে আর্জেন্টাইনরা। গতকাল ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মত ফাইনালে উঠেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এটা যেমন আর্জেন্টাইন ভক্তদের জন্য খুশির খবর, রয়েছে মন খারাপের খবরও। যদিও খবরটি পুরোনো তবে নিশ্চিত ছিলোনা। আর্জেন্টাইন দলের মধ্যমণি লিএনেল মেসির এটিই যে শেষ বিশকাপ সেটি নিশ্চিত করেছেন মেসি নিজেই। গতকাল সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পরে সংবাদ মাধ্যমকে নিজেই জানালেন আগামী বিশ্বকাপে দলের হয়ে দেখা যাবে না তাকে। আর এতেই মন খারাপ কোটি মেসি ভক্তের। তাই সবার মন থেকে প্রত্যাশা ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা যেনো উঠে মেসির হাতেই।
সেমিফাইনাল খেলার আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ স্কালোনিকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো মেসির শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে তবে তিনি নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারেননি। গতকাল ধোঁয়াশা কাটিয়ে মেসি নিজেই নিশ্চিত করেছেন কাতার বিশ্বকাপ তার শেষ বিশ্বকাপ।
গতকাল ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন মেসি। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম “ওলে”এবং স্পানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘মার্কা”র সাথে প্রায় ৫ মিনিটের মত কথা বলেন তিনি। শুরুতেই মেসি বলেন,“বিশ্বকাপ ফাইনাল দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে পারা সত্যিই গর্বের মত। নিশ্চিতভাবেই রোববার কাতার
বিশ্বকাপ হবে আমার শেষ ম্যাচ। পরের বিশ্বকাপ অনেক দূরের পথ। তত দিন পর্যন্ত সময় থাকবে বলে মনে হয় না। তাই সবচেয়ে ভালোভাবে শেষ করার আশা রাখি”।
রোববারের
ফাইনাল নিয়ে ফুটবল জাদুকর বলেন, “ফাইনালে
নিজেদের সর্বচ্চো টা দিয়ে প্রতিপক্ষের
সাথে লড়াই করবো। সত্যিটা হলো এখন মাথার ভিতর অনেক কিছুই কাজ করছে। গ্রুব পর্বের প্রথম ম্যাচ হারলেও আমরা এখন বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি খেলার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপটি আমরা উপভোগ করছি। আমরা আমাদের শক্তি সম্পর্কে জানি, ফাইনালে জয়ের জন্য আমরা আমাদের নিংড়িয়ে দিবো। জয়ের জন্য যা যা দরকার তাই করবো”।
মেসি আরও বলেন,”ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগ এসছিলো ২০১৪ সালে কিন্তু চিরচেনা জার্মানির কাছে ১-০ গোলের পরাজয়ে ভক্তদের হতাশ করেছি আমরা। তবে এবার দৃঢ়ভাবে ভক্ত-সমর্থকদের বলতে চাই আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন,আমাদের দলটা বেশ শক্তিশালী”।
মেসির চোখে মুখে যে ফাইনালের স্বপ্ন সেটি তার কথায় প্রকাশ পাচ্ছে সব শেষে তিনি বলেন, “কাতার বিশ্বকাপ আমরা উপভোগ করছি, বিশ্বকাপের ভালো খারাপ দুইটি মুহুর্ত আমরা মোকাবেলা করেছি। তবে ফাইনালে উঠতে পেরে আমরা আনন্দিত। না জানি আর্জেন্টাইনরা কত খুশি”।
কাতার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি ফাইনাল
মন্তব্য করুন
লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।
রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।
সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।
দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।
রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।
ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।
জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আল নাসর পর্তুগাল
মন্তব্য করুন
আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংস ধোনী রেকর্ড
মন্তব্য করুন
আইপিএলের চলতি আসরে শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে প্রতি ম্যাচেই দেখা পেয়েছেন উইকেটের। শুধু তাই নয়, আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় ও রয়েছেন শুরু থেকেই। এমনকি একাধিকবার পেয়েছেন পার্পল ক্যাপের মর্যাদাও।
শুরু থেকে ছন্দে থাকলেও মুস্তাফিজ মাঝে তিন ম্যাচে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের বোলিং ফর্ম। যার জন্য উইকেট শিকারীর তালিকায় পিছিয়ে পড়েছিলেন কিছুটা। তবে গতকাল হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে আবারও ফিরেছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। ৮ ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার এখন ১৪ উইকেট। কিন্তু শীর্ষে থেকেও এবার ফিজের মাথায় উঠছে না পার্পল ক্যাপ।
কারণ সমান উইকেট হলেও এক ম্যাচ বেশি খেলা মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরার কাছেই থাকছে এ ক্যাপ। ভারতের ডানহাতে এই ফাস্ট বোলারের চেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ।
উইকেটপ্রতি অকাতরে রান খরচ করেছেন মুস্তাফিজ। প্রতিটি উইকেট শিকারে তিনি খরচ করেছেন ২১.১৪ রান। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০ এর কাছাকাছি। সে তুলনায় বেশ কৃপণ বুমরা। ভারতীয় এই বোলার ১৪ উইকেট শিকার করেছেন ১৭.০৭ গড়ে। আর রান উৎসবের আইপিএলের চলতি আসরে এ পর্যন্ত ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৬৩ রান।
বুমরা-মোস্তাফিজ ছাড়াও ১৪ উইকেট পেয়েছেন আরও একজন। তিনি পাঞ্জাব কিংসের হার্শাল প্যাটেল। তবে রান খরচের বেলায় তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মোস্তাফিজকেও। ২৩.৩৮ গড়ে শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। আর ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১০.১৮ রান।
এদিকে মোস্তাফিজের পর চেন্নাই সুপার কিংসের আরও একজন আছেন পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন মাথিশা পাথিরানা। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন লঙ্কান পেসার। ইনজুরির কারণে চলতি আসরের প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে না পারলেও পরে নিজের জাত চেনাতে খুব একটা সময় নেননি ডানহাতি এ ফাস্ট বোলার।
এখন পর্যন্ত ১৩ গড়ে শিকার করেছেন ১৩টি উইকেট। আর তার ইকোনমি হচ্ছে ৭.৬৮। পাঞ্জাবের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন মোস্তাফিজক। কিন্তু লঙ্কান এ পেসার যদি তার এই ফর্ম ধরে রাখতে পারেন তাহলে খুব দ্রুতই পার্পল ক্যাপ চলে যাবে চেন্নাইয়ের ডেরায়।
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের গোলবার সামলানোর দায়িত্বে একবারও দেখা যায়নি থিবো কোর্তোয়াকে। কারণ মৌসুম শুরুর পূর্বেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে আট মাস পর আবারও মাঠে ফিরছেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এই বেলজিয়ান তারকা।
রোববার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের জন্য দল দিয়েছে রিয়াল। কোর্তোয়াসহ সেখানে আরও আছেন অন্য দুই গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন ও কেপা আরিজাবালাগা।
গত আগস্টে এসিএলের চোটে পড়ে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান কোর্তোয়া। সুস্থ হয়ে গত মার্চে অনুশীলনেও ফিরেছিলেন। তবে কোনো ম্যাচ না খেলেই নতুন চোটে আবার ছিটকে যান কয়েক সপ্তাহের জন্য।
এই চোট থেকে সেরে উঠে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দলের সাথে অনুশীলনে ফিরেছেন কোর্তোয়া। এবার অপেক্ষা কেবল মাঠে নামার।
কোর্তোয়ার না থাকার সময়ে আরিজাবালাগা সাথে লড়াই করে প্রথম গোলরক্ষকের জায়গাট নিজের করে নেন লুনিন। পুরো মৌসুমে দারুণ খেলা এই ইউক্রেন ফুটবলার শেষ আটের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দেখান অসাধারণ পারফরম্যান্স। টাইব্রেকারে দুটি সেভ করে পরে হন জয়ের নায়কও।
ফলে ধারণা করা হচ্ছে যে, কোর্তোয়া ফিরলেও আগামী মঙ্গলবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার ম্যাচে লুনিনই সামলাবেন রিয়ালের গোলবার। দীর্ঘ সময় খেলার মধ্যে না থাকায় কোর্তোয়াকে এই লেগে খেলানো থেকে বিরত রাখতে পারেন কার্লো আনচেলত্তি।
‘এএস'-এর খবর অনুযায়ী, কোর্তোয়াকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগে খেলানোর পরিকল্পনা আছে রিয়ালের।
থিবো কোর্তোয়া রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে স্বপ্নের মতোই সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রয়েছেন দারুণ ছন্দে। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছত্রছায়ায় নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছেন, বোলিং করে নিয়মিত উইকেটও সংগ্রহ করছেন। সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। আসরে ৮ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১৪ উইকেট। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকাতেও শীর্ষেই রয়েছেন দ্য ফিজ।
তবে টাইগার এই ক্রিকেটারকে খুব শীঘ্রই ফিরে আসতে হবে আইপিএল ছেড়ে। কারণ বিসিবি থেকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন এই কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা নিয়ে কথা বলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএল খেললে মুস্তাফিজ বেশি লাভবান হতো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আইপিএল লাভবান হতো। আমরা কীভাবে লাভবান হবো।’
তামিম জাতীয় দলে কবে ফিরবেন- এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘লাস্ট ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তখন কথা ছিল ও (তামিম) প্রথম জালালো ইউনুস অপারেশন্সের এবং আমাদের সিরাজ ভাই ওনাদের সঙ্গে বসবেন তারপর আমার সঙ্গে বসবে। ওনাদের সঙ্গে বসেছে, এখন আমার সঙ্গে বসবে। আমি যেটা শুনেছি, ওর কাছ থেকে শোনার আগে কমেন্ট করা উচিত না। আমি যেটা শুনেছি ও বলেছে সামনের বছর থেকে খেলবে।’
এর আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের কাছ থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল নাজমুল হাসান পাপন
মন্তব্য করুন
দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার। দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে।
বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে স্বপ্নের মতোই সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রয়েছেন দারুণ ছন্দে। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছত্রছায়ায় নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছেন, বোলিং করে নিয়মিত উইকেটও সংগ্রহ করছেন। সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। আসরে ৮ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১৪ উইকেট। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলারের তালিকাতেও শীর্ষেই রয়েছেন দ্য ফিজ।