"চ্যাম্পিয়ন্স কার্স" ইংরেজি এই কথাটি ভুল প্রমাণের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো ফ্রান্স। কারণ ১৯৬২ সালের পর কোন দলই আগের আসরে শিরোপা জেতার পর পরের আসরে তা ধরে রাখতে পারেনি। তবে সে ধারা ভাঙতে বদ্ধ পরিকর ফরাসিরা। ইতালি ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে। ১৯৩৪-৩৮ সালে ইতালির পর ১৯৫৮-৬২ টানা দুটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় ব্রাজিল। দাপুটে ফুটবল খেলে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালের মঞ্চে পা রাখলো এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানরা।
আর আল বাইত স্টেডিয়াম আটলাস লায়ন্সদের অসাধারণ বিশ্বকাপ যাত্রার শেষের সাক্ষী হলো। এদিন ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম জুড়ে ছিলেন মরক্কোর সমর্থকরাই। আফ্রিকার দলটি নিজেদের রূপকথা নতুন করে লেখার যে চেষ্টা করেছিলেন, এ যাত্রায় তা সফল হলো না। আফ্রিকার ও আরবের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সেমিফাইনালেই থামলো তাদের গল্পগাঁথা।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলার চেস্টা করে ফ্রান্স। তার ফলশ্রুতিতে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফরাসিরা। দারুণ এক আক্রমণে মরক্কোর ডি-বক্সে ভীতি ছড়ায় ফরাসিরা। এমবাপ্পের নেয়া শট প্রতিহত হলেও সেখান থেকে ফিরতি বল পেয়ে দারুণ এক অ্যাক্রোবেটিক শটে বোনোকে পরাস্ত করেন থিও হার্নান্দেজ। ১-০ তে এগিয়ে যায় দলটি। আর টুর্নামেন্টে প্রথম গোল খেলো মরক্কো।
১০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। তবে উনাহির নেয়া শট প্রতিহত করে দেন হুগো লরিস। সাত মিনিট পর সোফিয়ান বোফাল ভাল একটি থ্রু দিয়েছিলেন হাকিম জিয়েশকে। তবে জিয়েশের নেয়া শট বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। উল্টো প্রতি আক্রমণে উঠে ব্যবধান বাড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে অলিভার জিরু। দুর্দান্তে রানে ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে নেয়া তার শট বাইরের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। দুই মিনিট পর জিয়েশের নেয়া কিক সরাসরি গ্লাভসে জমা করেন লরিস।
ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে ফরাসিরা। ডিফেন্ডার উপামেকানো ও মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান রাবিয়োতকে ছাড়াই খেলতে হবে দিদিয়ের দেশমের দলকে। তাদের পরিবর্তে মাঠে নেমেছে ইব্রাহিম কোনাটে এবং ফোফানা।
আর ম্যাচের আগে মূল একাদশে নাম থাকলেও চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেন নি নায়েফ আগুয়ের্ড। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আশরাফ দারি। আর ম্যাচের ২১ মিনিটেই হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় মরক্কো অধিনায়ক রোমান সাইসকে। তার পরিবর্তে মাঠে আসেন সেলিম আমাল্লাহ।
২৭ মিনিটে থিও হার্নান্দেজকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন সোফিয়ান বোফাল। ৩২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে এক ডিফেন্স চেরা থ্রু দিয়েছিলেন আমাল্লাহ। তবে এন নেসিরি তা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন নি। ৩৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের নেয়া শট থেকে বল পেয়ে বারের উপর দিয়ে পাঠান ফোফানা।
দুই মিনিট পর দারুণ গতিতে বল নিয়ে মরক্কোর ডি-বক্সে ঢুকে যান এমবাপ্পে। তার নেয়া শট বোনো আটকাতে না পারলেও পোষ্টের ঢোকার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেন মরক্কো ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে নেয়া জিরুর শট বারের বাইরে দিয়ে চলে গেলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ফরাসিরা। ৪০ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে রাপায়েল ভারান হেড নিলেও সেটি লক্ষ্যে থাকেনি।
৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন হাকিমি। তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় তা কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করে দেন ইব্রাহিমা কোনাতে। তবে সমতায় ফেরার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মরক্কোর হাতছাড়া হয় তখনই। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ এক বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন জাওয়াদ ইয়ামিক। তবে সেটি বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে আটলান্স লায়ন্সদের।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মরক্কো। জিয়েশের নেয়া কিকটি লাফিয়ে উঠে ক্লিয়ার করে দেন লরিস। থিও হার্নান্দেজের দেয়া শুরুর গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
বিরতির দুই মিনিট পর প্রথম আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে জুলস কুন্দে সেখার থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। ৫৩ মিনিটে আতিয়াত আলাহ দলকে সমতায় ফেরাতে পারেন নি। পরের মিনিটে আরেকটি সম্ভাবনা সলিল সমাধি ঘটান আমরাবাত। কোনাতের ডিফেন্ডিংয়ে বিপদ হয়নি ফ্রান্সের। ৬০ মিনিটে গ্রিজম্যানের একটি প্রচেষ্টা নসাৎ হয়ে যায়। ৬৩ মিনিটে বোফালের ক্রস ক্লিয়ার করেন গ্রিজম্যান। ৬৫ মিনিটে অলিভার জিরুর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মার্কাস থুরাম। এক মিনিট পর জোড়া পরিবর্তন আনে মরক্কোও।
৬৯ মিনিটে আরো একটি সুযোগ হারায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের নেয়া শট রক্ষণে প্রতিহত হলেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। পরের মিনিটে মরক্কানদের মনে ভং ধরিয়ে দিয়েছিলেন থুরাম। তবে দারি তাকে বিপদসীমায় ঢোকার আগেই ফেলে দেন। প্রি-কিক থেকে আসা বলে হেড করেছিলেন থুরাম। তবে তা পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
৭৪ মিনিটে ফোফানার এলোমেলো শট চলে যায় গ্যালারীতে। তবে পরের মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ফরাসিদের ডি-বক্সে প্রবেশ করলেও শট নিতে পারেন নি হামদালাহ। আবারো সমতায় ফেরার ভাল সুযোগ নষ্ট করে আফ্রিকার দলটি। ৭৮ মিনিটে দেম্বেলেকে উঠিয়ে নেন দেশম। বদলি হিসেবে নামেন কোলো মুয়ানি। মাঠে নেমেই দারুণ এক গোলে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান মুয়ানি। থুরামের কাছ থেকে বল পেয়ে চারজনকে কাটিয়ে অপর প্রান্তে থাকা মুয়ানির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান এমবাপ্পে। ঠান্ডা মাথায় তা জালে জড়ান মুয়ানি। এর মাত্র ৪৪ সেকেন্ড আগে মাঠে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।
খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে গোলের সন্ধান করতে থাকে মরক্কো। ৮৬ মিনিটে উনাহি গোল করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ইজাজৌলাি ও উনাহির যৌথ প্রচেষ্টা নসাৎ করে দেন জুলস কুন্দে।
রেফারির শেষ বাঁশি বাঁজতেই ফাইনালে উঠার আনন্দে মেতে উঠে ফরাসিরা। আর দুর্দান্ত খেললেও, সেমিফাইনালেই ইতি পড়ে মরক্কোর এবারের বিশ্বকাপ মিশন। মাঠেই হতাশায় ভেঙে পড়েন হাকিম জিয়েশরা। তবে ফাইনালে যেয়ে ইতিহাস গড়তে না পারলেও তাদের লড়াকু ফুটবল মানসিকতার জন্য অগণিত দর্শকের মনে আসীন হয়ে থাকবেন মরক্কান ফুটবলাররা।
১৮ নভেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। দুই দলের সামনে তাদের ইতিহাসে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলার হাতছানি। দুই দলের সাথে সে লড়াই হবে দুই ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। এখন দেখার অপেক্ষা মেসি না এমবাপ্পে শিরোপা উঠে কার হাতে।
কাতার বিশ্বকাপ ফ্রান্স মরক্কো সেমিফাইনাল
মন্তব্য করুন
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।
এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর এই টুর্নামেন্টটিই বাতিল করে দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি ১৪ দিন ব্যাপী হতে পারে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, খসড়া সূচি তৈরি করে আইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সূচি ঠিক করে আইসিসিতে পাঠিয়েছি। আইসিসি থেকে নিরাপত্তা দল এসেছিল। তারা আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে এবং স্টেডিয়ামের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছে। আমরা সর্বদা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, ভালো একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেট পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বিরাট কোহলি। আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। যার জন্য অরেঞ্জ ক্যাপটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই কোহলিকেই ব্যাটিংয়ের জন্য শুনতে হচ্ছে সমালোচনা। কারণটা মূলত কোহলির স্ট্রাইক রেট।
এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। প্রায় ৭১ গড়ে করেছেন ৫০০ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে। আসরে ৪ ফিফটির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোহলি বলেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন।’
‘আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’-যোগ করেন কোহলি।
আইপিএল বিরাট কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
মন্তব্য করুন
জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।
তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।
সম্প্রতি তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফিরতে হলে ‘অনেক কিছু’ ঠিক হতে হবে। এবার তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে তামিম।
গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কথা ছিল তামিম প্রথমে বসবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ও বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে। এরপর আমার সঙ্গে বসবে। তাদের সঙ্গে তামিমের বসা হয়েছে। আমার সঙ্গে এখন বসবে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিমের কাছ থেকে শোনার আগে কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে আমি যেটা শুনেছি– সে বলেছে, আগামী বছর থেকে জাতীয় দলে খেলবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে সিরিজ চলাকালে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তারই নির্দেশে পরদিনই অবসর ভেঙে দলে ফেরার কথা জানান তামিম। আড়াই মাস পর সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে প্রত্যাবর্তনও করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। এরপর আবার নানা নাটকীয়তা! পরে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে ‘নোংরামি’র অভিযোগ তুলে ভারত বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম।
তামিম ইকবাল নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি
মন্তব্য করুন
লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা। টানা দুই দশক ধরে মাতাচ্ছেন মাঠ, গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এই দুই মহাতারকার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়তই। কে কার থেকে সেরা, এমন প্রশ্নে বরাবরই বিতর্কে জড়ান ফুটবল প্রেমীরাও।
রোববার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করে পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। সেইসাথে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৫ ম্যাচে একাধিক গোলে অবদান রাখলেন তিনি।
সাড়ে ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শকরা থিতু হয়ে বসার আগেই গোল দিয়ে বসে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। দর্শকরাও উত্তাল। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, স্বপ্নের মতো শুরু নিউ ইংল্যান্ডের। তবে প্রতিপক্ষ দলে যখন একজন লিওনেল মেসি থাকেন, দুঃস্বপ্নরা তো ভর করে সর্বক্ষণ! ঠিক তাই হয়েছে। এরপর থেকে ম্যাচটি ছিল শুধুই মেসি ঝলকের। জোড়া গোল করলেন এবং জোড়া গোল করান দুই সতীর্থকে দিয়ে। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়া এক কীর্তি গড়লেন ম্যাজিশিয়ান মেসি।
দুই গোল করে চলতি মৌসুমের গোল স্কোরারদের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে তুলে নেন মেসি। লিগে ৭ ম্যাচ খেলে তার গোল এখন ৯টি। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন এলএম টেন। গোল-অ্যাসিস্টে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে এটি নতুন এক রেকর্ড।
রোনালদো ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসাবে সবার ওপরে আছে তার নাম। তবে একটি পরিসংখ্যানে তিনি মেসির পেছনে। রোববার মেসি ক্যারিয়ারে পেনাল্টি ছাড়া নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম গোল করেছেন। বিপরীতে রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি।
ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া গোল দিয়েছেন ৬৪১টি আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি।
জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে ২০৩ ম্যাচে ১২৭টি গোল করেছেন সিআর-সেভেন। এর মধ্যে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৮ ম্যাচে মেসির গোল ১০৬টি। মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আল নাসর পর্তুগাল
মন্তব্য করুন
আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংস ধোনী রেকর্ড
মন্তব্য করুন
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ এর আসর বসতে যাচ্ছে এবার পাকিস্তানে। আর এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক দেশ। খসড়া সূচি চূড়ান্ত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জমা দিয়েছে আইসিসির কাছে। টুর্নামেন্টের জন্য তিনটি ভেন্যুও বেছে নিয়েছে তারা। সেই তিন ভেন্যু হলো- লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি।
দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য গুণের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় মহেন্দ্র সিং ধোনী। জাতীয় দল হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লীগ সব জায়গায় দেখিয়েছেনে মুন্সিয়ানা। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, বারবার তিনি তা মাঠে প্রমাণ করেছেন। তার নেতৃত্ব গুণেই চেন্নাই আইপিএল শিরোপা জিতেছে ৫ বার। দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকার কারণেই সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ধোনি। চাপ সামলে কীভাবে সফল হওয়া যায়, তার চেয়ে মনে হয় আর কেউ ভালো বোঝেন না। চেন্নাইকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন মোট ৫ বার। আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ধোনির দল চেন্নাই। রেকর্ডের বহু পাতা জুড়ে তার নাম রয়েছে স্বর্ণালী অক্ষরে। আর এই পাতায় নতুন এক পৃষ্ঠা যোগ হয়েছে।