ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসিতেই ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

পেনাল্টি শুট আউট থেকে যখন গঞ্জালো মন্ট্রিয়েল বল জালে জড়ায় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। তাতে শুধু দোহার লুসাইল নয়, আরব সাগরের সেই ডেউ আছড়ে পড়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের বুয়েন্স এইরেসে। আর সেই ঢেউতে ভেসে যায় আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের শত কোটি সমর্থকরা। এই জয় শুধু বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের নয়, এই জয় ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। এই জয় ফুটবলের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের একমাত্র অপূর্ণতা ঘোচানোর জয়। এই জয়ে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুললো আলবিসিলেস্তেরা। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা যে স্বাদ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইনদের, সেটাই আবার ফিরিয়ে আনলেন লিওনেল মেসি। সকল হিসেব নিকেশ উল্টে ফ্রান্সকে টাইব্রকোরে হারিয়ে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।

কি ছিলো না লিওনেল মেসির বর্ণিল ক্যারিয়ারে। এক বাক্যে সে উত্তর দিয়ে দেয়া যায়, বিশ্বকাপ শিরোপা। তবে নিজের শেষ বিশ্বকাপে সে শিরোপার আক্ষেপ ঘুচিয়ে তার হাতে শোভা পেয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপা। এতে একদিকে যেমন মেসির ক্যারিয়ার পূর্ণ হলো, তেমনি বিশ্বকাপও যেন পেলো পূর্ণতা। মেসির হাতে এই শিরোপা না উঠলে যে বিশ্বকাপের গায়েও থেকে যেত এক চিলতে কলঙ্ক। 

বিশ্বকাপের ফাইনাল। শুরু থেকেই ম্যাচে ছিলো সে আবহ। আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলার চেষ্টা দুই দলের। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনার দাপুটে ফুটবলের কাছে পাত্তা পায়নি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচের ৩ মিনিটেই মেসির বাড়ানো বল থেকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলো আর্জেন্টিনা। আলভারেজ গোলমুখে শট নেয়ার চেষ্টা করলেও অফসাইডের কারণে বাঁশি বাজান রেফারি। পরের মিনিটেই মেসিকে ফাউল করেন উপামেকানো। ৫ মিনিটেই ম্যাক অ্যালিস্টারের নেয়া দূরপাল্লার সরাসরি চলে যায় হুগো লরিসের হাতে।

৮ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন দি পল। তবে ভারানের গায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে। ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। তবে সেখান থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আলবিসিলেস্তেরা।

১৪ মিনিটে প্রথমবার আর্জেন্টিনার রক্ষণে ঢোকার চেষ্টা করে ফ্রান্স। তবে কোন সুযোগ দেননি এমি মার্তিনেজ। সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে ভাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো আর্জেন্টিনার। তিন মিনিট পর আবারো ফরাসিদের চেপে ধরে আকাশি নীলরা। তবে বক্সের ভেতর থেকে দি মারিয়ার শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২০ মিনিটে আর্জেন্টিনার বক্সের বাম প্রান্তে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে নেয়া গ্রিজম্যানের শটে জিরুর হোড বারের উপর দিয়ে যায়।

২২ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে দি মারিয়াকে ফাউল করেন উসমান দেম্বেলে। সেখান থেকে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকেন গোল করে আর্জেন্টিনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন লিওনেল মেসি। এই গোলে বিশ্বকাপে পেলের  সমান ১২ গোলের মালিক হলেন লিও মেসি। এটি বিশ্বকাপে মেসির ৬ষ্ঠ গোল। ফাইনালে প্রথম।

দি মারিয়ার গোলে ব্যবধান বাড়ালো আর্জেন্টিনা

৩২ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের প্রচেষ্টা  ব্যর্থ হয়। তবে ৩৫ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে দারুণ এক আক্রমণ চালায় আর্জেন্টিনা। ওয়ান টাচে মেসির কাছ থেকে বল পান ম্যাক অ্যালিস্টার। তারে বাড়ানো বল থেকে লরিসকে পরাস্ত করে দ্বিতীয়বার বল জালে জড়ান দি মারিয়া। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে না পারলেও ৮ বছর পর ফাইনালে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পান মারিয়া।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের ৪১ মিনিটেই একাদশে জোড়া পরিবর্তন আনে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম। উসমান দেম্বেলে-অলিভিয়ের জিরুকে উঠিয়ে র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি এবং মার্কাস থুরাম মাঠে নামে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল হয়নি। প্রথমার্ধে ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন এনজো ফার্নান্দেজ।

মেসি-দি মারিয়ার গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতির দুই মিনিট পর আবারো আক্রমণে যায় আর্ঝেন্টিনা। যদিও সেখান থেকে গোল আদায় করতে পারেন নি রদ্রিগো দি পল। ৫২ মিনিটে কর্নার পায় ফ্রান্স। তবে সেখান থেকেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আলবিসিলেস্তেরা। পরের মিনিটে কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি আর্জেন্টিনাও। ৫৫ মিনিটে দি পলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রাবিয়োত। ৫৯ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। পরের মিনিটে মেসি আক্রমণে উঠলেও তা নস্যাৎ করে দেন রাবিয়োত।

৬৪ মিনিটে দি মারিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে আসেন মার্কাস আকুনা। চার মিনিট পর মুয়ানির চেষ্টা প্রতিহত হয়। ৭১ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো ডি-বক্সে দেখা যায় এমবাপ্পেকে। তবে তার নেয়া শট চলে যায় গ্যালারীতে। সে সময় গ্রিজম্যান-থিও হার্নান্দেজকে উঠিয়ে নেন দেশম। মাঠে নামেন কামাভিঙ্গা-কিংসলে কোম্যান। পরের মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের শট ক্লিয়ার করে দেন।

৮০ মিনিটে মুয়ানিকে ফাইলের কারণে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই গোলের রেশ না কাটতেই পরের মিনিটে আবারো বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। ৭ গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। মার্কাস থুরামের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে।

৮৭ মিনিটে পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টা করায় হলুদ কার্ড দেখেন থুরাম। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে তিন মিনিটের এমবাপ্পের প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে যায়। পরের মিনিটে মার্টিনেজ আবার বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। ৯৫ মিনিটে বেঞ্চে থাকা জিরুকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে মেসির শট কর্নারের বিনিময়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন হুগো লরিস। নির্ধারিত সময়ে আর কোন দলই গোল করতে না পারলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

পেনাল্টি শ্যুট আউটে প্রথম গোল থেকে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শট থেকে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি। তবে কিংসলে কোম্যানের নেয়া দ্বিতীয় শট আটকে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের শটে লক্ষ্যভেদ করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন পাওলো দিবালা। তৃতীয় শট থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। চুয়ামেনির নেয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। আকাশি-নীলদের হয়ে ভুল করেন নি লিয়ান্দ্র পারেদেসেও। মুয়ানির নেয়া চতুর্থ শট জাল খুঁজে পায়। তবে পরের শটে মন্ট্রিয়েল বল জালে জড়ালে আনন্দে আত্নহারা হয়ে উঠে আলবিসিলেস্তেরা। ৩৬ বছর নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা।

আলবিসিলেস্তেদের সাথে অপেক্ষার অবসান হয় দলটির কোটি কোটি সমর্থকদের। এ জয় অনেক প্রতীক্ষার, এই জয় দীর্ঘ সময়ের প্রত্যাশার। এই জয় অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত একটি দেশের দুঃসময়ের স্বস্তির বাতাস এনে দেয়ার। এই জয় লিওনেল আন্দ্রেস কুচিত্তিনি মেসির ক্যরািয়ারের একমাত্র প্রশ্নবোধক চিহৃ সরিয়ে দেয়ার। এই জয় ইতিহাসের। যে ইতিহাস রচিত হয়েছে দুই লিওনেলের মাহকাব্যিক পথচলার। জয়তু মেসি, জয়তু আর্জেন্টিনা।


কাতার বিশ্বকাপ   আর্জেন্টিনা   ফ্রান্স   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টি শেষে আবারও খেলা শুরু, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেই হারিয়েছে সফরকারীরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সিকান্দার রাজার দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। তবে তিন ওভার পেরোতেই চট্টগ্রামে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরতে শুরু হওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আবারও শুরু হয় খেলা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়ায় ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তবে থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানির আঘাতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। পরে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমানে তাদের ব্যাটেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ক্রেইগ আরভিন ও জয়লর্ড গাম্বি। তবে ভয়ানক হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ মাহেদী।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন মাহেদী। দুই বলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি এই ওপেনার। পরে উইকেটে আসেন ব্রায়ান বেননেট। শুরুর ধাক্কা সামলে তার সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন গাম্বি।

তবে গাম্বির বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের সেই জুটি। পঞ্চম ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল লেংথের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তাসকিনের তালুবন্দী হন গাম্বি। আউট হওয়ার আগে ১৭ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা দেখালেও রানআউটের শিকার হন বেননেট। রিয়াদের দ্রুতগতির থ্রোতে তাকে আউট করেন জাকের আলী। ১৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। তারা তিনজনই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন ক্লাইভ মাদানদে। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এ দুজনে জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে মান বাঁচানো লক্ষ্যে নিয়ে যান। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

৪৩ রান করে মাদানদে সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যা তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মাসাকাদজা। তবে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৪ রান করেছেন।

এই দুজনের ব্যাট ভর করে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন মাহেদী হাসান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বোলিং তোপে ১২৪-এ গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানে ইনিংস উপহার দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে।

এদিন বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেছেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে এই ম্যাচে খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। মাঝে চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে আবারও চার মারেন এই ব্যাটার। প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে তোলে ৮ রান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বলে আসেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তিনি এসে শুরুতেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। তার দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রান। তবে এই জুটিতে আঘাত করেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর বিপর্যয়ের মধ্যে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। তাদের ব্যাটে ভর করে ১০০ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রথম টি-২০তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ প্রথম খেলায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য একদিকে এই সিরিজটি যেমন সহজ, তেমনই জটিল। এজন্যই সিরিজে টাইগাররা পাবে হয়তো এ প্লাস, নয়তো ফেল করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ সংস্করণে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

টি-২০তে এখন পর্যন্ত ২০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে ১৩ জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হেরেছে টিম টাইগার্স।

দুই দলের মধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। ২০২২ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৫ করেছিল তারা। অন্যদিকে ২০২০ সালে মিরপুরে ৩ উইকেটে ২০০ রান করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেননেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদানদে, লুক জঙ্গি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুস্তাফিজের পোস্ট

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবারের আসরে চেন্নাইয়ের জার্সিতে স্বপ্নের মতো সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘ফিজের প্রতি ভালোবাসা।’ সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।’

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরও এক শিরোপা জয়ের হাতছানি লেভারকুসেনের

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমে বারবার খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফিরে আসার গল্প লিখেছে বায়ার লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে চমকে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। যার জন্য কমেন্ট্রেটররা তো বারবারই বলছে ‘টিল দ্য লাস্ট হুইসাল নেভার রুল আউট লেভারকুসেন।’

লেভারকুসেনের এই সাফল্য এসেছে জাবি আলোনসোর হাত ধরে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আরও একটি শিরোপা জয়ের হাতছানি দলটির সামনে। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমার মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিবাগত রাতে স্তাদিও অলিম্পিকোতে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জয়সূচক গোল ২টি করেছেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট এন্দরিখ।

এই ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিল লেভারকুসেন। ৪৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৯টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ৮টি শট নিয়ে ২টি প্রতিপক্ষের গোলমুখে রাখতে পেরেছিল রোমা।

রোমেলু লুকাকু, পাওলো দিবালার মতো তারকাদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ২৮তম মিনিটেই লেভারকুসেনকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উইর্টজ। ডাচ রাইট-ব্যাক রিক কার্সদর্পের ভুলের খেসারত দিতে হয় দলকে। ব্যাক পাসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে দিয়ে বসেন তিনি।

যেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়া নিজের সতীর্থকে পাস দিচ্ছেন। বল পেয়ে যান অ্যালেক্স গ্রিমালদো। এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের বাধায় তিনি বল তুলে দেন অরক্ষিত থাকা উইর্টজকে। বাকি কাজকে অনায়াসে সেরে নেন এ জার্মান মিডফিল্ডার।

৩৪তম মিনিটে গ্রিমালদো আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। তবে পেনাল্টি এরিয়ার সামনে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জেরেমি ফ্রিমপং।

এরপর বিরতি কাটিয়ে ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো দল গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে রোমার সমর্থকদের দুঃখ দ্বিগুণ করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এন্দরিখ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রসে জাল খুঁজে নেন তিনি। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না রোমার গোলরক্ষকের।

স্বাগতিকরা একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচের যোগ করা সময়ে। তবে গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও লুকাকু হেড নেন বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে রোমার দুর্গ থেকে জয় নিয়ে ফেরে লেভারকুসেন।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোমাকে আতিথ্য দেবে লেভারকুসেন। সে ম্যাচে ড্র কিংবা হারের ব্যবধানটা ১-০ গোলের মধ্যে রাখতে পারলেই ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে আলোনসোর শিষ্যরা।


বায়ার লেভারকুসেন   রোমা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন