ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেমন হলো বিপিএলের ৭টি দল?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের নবম আসর শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে এই টুর্নামেন্টের। ৭ দলের লড়াই শেষে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। আসর শুরু আগে এক নজরে দেখে নেয়া যাক কেমন হলো এবারের বিপিএলের দলগুলো।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। রেকর্ড ৩টি বিপিএল শিরোপা রয়েছে তাদের ঝুঁলিতে। এবারও শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়েই মাঠে নামবে দলটি। সে লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে শক্তিশালী দলই গড়েছে কুমিল্লা। ইমরুল- লিটন-মোস্তাফিজ-মোসাদ্দেকদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে রয়েছেন তরুণ জাকের আলী-মাহিদুল-মুকিদুল ইসলামরা।

কুমিল্লার বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকাটাও বেশ সমৃদ্ধ। ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাডউইক ওয়ালটন, ব্র্যান্ডন কিং, পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি ফজলহক ফারুকির মতো খেলোয়াড়।

দলটির বড় শক্তিমত্তার জায়গা তাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ও পেস বোলিং অ্যাটাক।

ফরচুন বরিশাল:

সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল বিপিএলের সবশেষ আসরের রানার্সআপ। এবারো দলের নেতৃত্ব রয়েছে সাকিবের কাঁধেই। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের হাত ধরে এবার শিরোপার স্বাদ পেতে চায় বরিশাল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের একগাদা তারকা ক্রিকেটারের পাশাপাশি বিদেশিদের তালিকাটাও বেশ বড়। সাকিব-মিরাজ-মাহমুদুল্লাহ-ইবাদত-খালেদ-এনামুল হকদের সাথে রয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ-কুশল পেরেরা-ইব্রাহিম জাদরান-করিম জানাত-মোহাম্মদ ওয়াসিম, কেসরিক উইলিয়ামস-নাভিন-উল-হক, হায়দার আলী-চতুরঙ্গা ডি সিলভা। ফলে কাগজে-কলমে সেরা দল বলা হচ্ছে বরিশালকেই।

তবে পুরো টুর্নামেন্টে বরিশালের বিদেশি রিক্রুটদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

দলটির সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা তাদের অফ স্পিন। সাকিব-মিরাজ-কর্নওয়ালদের পাশাপাশি ইবাদত-খালেদ-কেসরিক উইলিয়ামস-নাভিন-উল-হকদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণও ভীতি জাগানিয়া।

রংপুর রাইডার্স:

বিপিএলে বরাবরই শক্তিশালি দল গড়ে রংপুর রাইডার্স। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তরুণ ও অভিজ্ঞদের স্বমন্বয়ে দারুণ এক দল নিয়ে মাঠে নামবে রুংপুর। মিরপুরে নয় নিজেদের মাঠে অনুশীলন করে নিজেদের ঝাঁলিয়ে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে আত্নবিশ্বাসীও তারা।

নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, রনি তালুকদার, পারভেজ হোসেনদের সাথে রয়েছেন শোয়েব মালিক, হারিস রউফ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, সিকান্দার রাজা, পাথুম নিশাঙ্কার মতো বিদেশি ক্রিকেটার।

তবে টপ অর্ডারের দুর্বলতা লক্ষ্যণীয়। যা টুর্নামেন্টে ভোগাতে পারে দলটিকে। তবে শক্তিশালী মিডলঅর্ডার এবং বোলিং আক্রমণে আশা দেখছে রংপুর।

সিলেট স্ট্রাইকার্স:

বিপিএলের সর্বশেষ তিন আসরে তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে খেলেছে সিলেট। তবে টুর্নামেন্টটিতে তাদের ফল খুব একটা সুখকর নয়। সবশেষ ৩টি আসরই দলটি শেষ করেছে তলানির দিকে থেকে। তবে এবার বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে সওয়ার হয়ে ভিন্ন ফলের আশা করছে দলটি। রয়েছে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও।

সেই সাথে রুবেল হোসেন-নাজমুলদের সাথে বিদেশি কোটায় আছেন বেশ কয়েকটি বড় নাম। মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, থিসারা পেরেরা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, রায়ান বার্ল, কামিন্দু মেন্ডিস, কলিন অ্যাকারম্যান, টম মুরস, গুলবদিন নাইবদের নিয়ে আশা করতেই পারে দলটি।

দলটির সবচেয়ে শক্তির জায়গা অলরাউন্ডাররা। একগাদা অলরাউন্ডার থাকায় দলটির ব্যাটিং-বোলিং বেশ ভারসম্যপূর্ণই। তবে টপঅর্ডার আর স্পিন বিভাগে দুর্বলতাও লক্ষ্যণীয়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:

তারুণ্য ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে বিপিএলের এবারের আসর শুরু করবেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। একঝাঁক স্থানীয় ও বিদেশি তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে দল সাজিয়েছে চট্টগ্রাম। আগের আসরের চমক দেখানো মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী-আফিফ হোসেন-মেহেদী হাসান রানা ও ইরফান শুক্কুরের মতো দেশিয় ক্রিকেটারের সাথে রয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো-আশান প্রিয়াঞ্জন-কার্টিস ক্যাম্ফার-ম্যাক্স ও’ডাউড-উন্মুক্ত চাঁদের মতো বিদেশিরা।

দলটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র তাদের পেস আক্রমণ। স্পিন আক্রমণও বেশ ভারসম্যপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা দলটির টপ অর্ডার ব্যাটিং।

খুলনা টাইগার্স:

দলটির আইকন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, দলের সবচেয়ে বড় তারকাও তিনি। তরুণ ইয়াসির আলীর কাঁধে দেয়া হয়েছে অধিনায়কের দ্বায়িত্ব। তামিম, সাইফউদ্দিন, ইয়াসির, নাসুম, মুনিমদের সাথে রয়েছেন আজম খান, ওয়াহাব রিয়াজ, নাসিম শাহ, অ্যান্ড্রু বলবার্নি, আভিস্কা ফার্নান্ডো, ফখর জামান ও আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি।

দেশিয় ক্রিকেটারদের নিয়ে দলটি বেশ ভারসম্যপূর্ণ হলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের পুরো টুর্নামেন্টে পাবে না দলটি। যা তাদের ভোগাতে পারে।

ঢাকা ডমিনেটরস:

শেষ মুহুর্তে তড়িঘড়ি করে দল সাজিয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। ফলে দলে দেশি ও তরুণ ক্রিকেটারদেরই আধিক্য। তাসকিন আহমেদ দলটির আইকন ক্রিকেটার। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, শরীফুল ইসলাম, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেনের মতো পরিক্ষিত ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে ঢাকা। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মুনাবিরা, , শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদরা। দলটির কোচের ভূমিকায় রয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস।

টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে ঢাকা নির্ভর করবে তাদের ফার্স্ট বোলিংয়ের উপর। এটিই দলটির মূল শক্তিমত্তার জায়গা। তবে নিয়মিত রানের মধ্যে থাকা কোন ব্যাটসম্যান না থাকায় ব্যাটিং বিভাগে বিপাকে পড়তে হতে পারে দলটিকে। তবে দলটির ব্যাটসম্যানদের একটি বড় অংশের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে তারা জ্বলে উঠলে স্বস্তিতে থাকবে ডমিনেটরসরা।


বিপিএল   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস   ফরচুন বরিশাল   সিলেট স্ট্রাইকার্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আগামীকাল

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল (রোববার) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর।

দ্বিতীয়বারের মতো এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছিল।

সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ অ্যালার্ডিস এবং বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক উপস্থিত থাকবেন।

২৩ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে শীর্ষ ১০টি নারী দল অংশ নেবে। ফাইনাল ছাড়া সবক’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই ভেন্যুতে। হোম অব ক্রিকেট হিসেবে বিবেচিত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।


নারী ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারে এবার বাজিমাত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ এবার এই ক্লাব থেকেই পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের খেলোয়াড়রা নির্বাচিত হয়েছেন সেরা হিসেবে। ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে  এবারের প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন এবং নারী বিভাগের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা শ’।

ইংল্যান্ডের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফোডেন গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।

এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রদ্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদদ্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়।

ফোডেন বলেছেন, ‘ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’

গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তার আরো ভাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরো পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে ম্যাচের আবহ আরো ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’ এদিকে শ’ নারী সুপার লিগে ২১ গোল করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।


ফিল ফোডেন   খাদিজা শ’   ম্যানসিটি   প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইংল্যান্ডের ইউরোতে ভালো করার টিপস দিলেন গার্দিওলা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওলা। বার্সালোনাকে ট্রেবল জেতানোর পর গেল মৌসুমে ম্যানসিটিকেও জিতিয়েছেন ট্রেবল। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হবার পরও হাল না ছেড়ে লেগে থাকার ফলেই এই সফলতার মুখ দেখেছে গার্দিওলার দল। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে ম্যানসিটি। কিন্তু তারপরও ক্লাব ফুটবলের সাফল্য জাতীয় দলেও ধরে রাখতে পারলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয় নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন পেপ।

গার্দিওলা বলেন, ‘ইংল্যান্ড সত্যিই দারুণ একটি দল। এখানে শুধুমাত্র প্রতিভাবান স্ট্রাইকারই নয়, পুরো দলই একটি গ্রুপ হিসেবে অসাধারণ। গ্যারেথ জানে ঠিক কি করলে দলের সাফল্য আসবে। সে কারণেই আমার মনে হয় এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ও ইউরোতে ইংল্যান্ডের যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো তারা শুধরে নিতে পেরেছে। তারা শিরোপার একেবারেই কাছাকাছি রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালে পরাজিত হয়েছে, সেমিফাইনালে খেলেছে। প্রতি দুই বছরে একটি দল যখন এই পর্যায়ে খেলবে তখন সেই দলটির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটা অনেকটাই আমাদের মত চিত্র। আমরা শিরোপা কাছাকাছি গিয়েও তা হাতে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত সেটা ধরা দিয়েছে।’

গার্দিওলার বিশ্বাস, ফুটবলের প্রতি ইংলিশদের যে ভালবাসা তা অনেক সময় বড় টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এবার ইউরোতে সেই প্রত্যাশার চাপকে সামলে দল অবশ্যই ভাল কিছু করবে।

এ সম্পর্কে সিটি বস বলেন, ‘ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন খেলতে নামে তখন সমর্থকদের অনুভূতি আমি দেখেছি। তারা একেবারে পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা যেকোন কিছু করতে পারে। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে জাতীয় দলকে নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও এই অনুভূতি সত্যিই অনুপ্রেরণার। পুরো দেশ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বড় আসরে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারাটাও গর্বের। শুধু এই আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে রাখতে হবে, আমরাও পারবো।’

২০২১ সালে ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টিতে ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয় ইংলিশদের।


পেপ গার্দিওলা   ইংল্যান্ড   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আজ

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগায় যেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে চার ম্যাচ হাতে রেখে আজই সেই সুযোগ ডন কার্লোর শিষ্যদের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের জেতার পাশাপাশি অপেক্ষা থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দি বার্সালোনা হারার।

আজ রাত সোয়া আটটায় শুরু হবে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম কাদিজের ম্যাচ। সেই ম্যাচে জেতার পাশাপাশি রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে জিরোনার বিপক্ষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালেই শিরোপা যাবে রিয়ালের ঘরে।

অন্যদিকে সেরা চারের রেসে টিকে থাকতে রাত একটায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ মায়োর্কা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নামছে টেবিলের শীর্ষ দুই আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি। বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বোর্নমাউথকে গানার্সআর রাত সাড়ে আটটায় উলভসকে আতিথ্য দেবে ম্যানসিটি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেস এখন কার্যত দু’দলের। লড়াইটা মূলত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের। তবে রূপালি ট্রফির পথে আপাতত এগিয়ে গানার্সরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আর্তেতার দল। কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও সে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তাদের।

গেলো ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এমিরেটসে নামবে আর্সেনাল। ইনজুরি কাটিয়ে মৌসুমে প্রথমবার খেলতে প্রস্তুত ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। শেষ ১৫ দেখায় প্রতিপক্ষ বোর্নমাউথ মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে আর্সেনালকে।

অন্যদিকে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্টের পাশাপাশি উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়ার হাতছানি সিটিজেনদের। সেপ্টেম্বরে প্রথম পর্বে উলভসের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল গার্দিওয়ালার দল।

ঘরের মাঠ ইতিহাদে টানা ১৯ লিগ ম্যাচ অপরাজেয় ম্যান সিটি। তার উপর অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত উইঙ্গার ফিল ফোডেন ও ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজ। আর গোলবারে ফের দেখা যেতে পারে আস্থার প্রতিক এডারসনকে।

একই দিনে লা লিগায় আজই হতে পারে শিরোপার নিষ্পত্তি। সেজন্য দুই সমীকরণ মেলাতে হবে রিয়ালকে। এক কাদিজকে হারাতে হবে লস ব্লাঙ্কোসদের। আর জিরোনার কাছে হারতে হবে টেবিলের দুয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনাকে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কিংবা পারফরমেন্স সব বিচারেই এগিয়ে রিয়াল। প্রতিপক্ষ কাদিজের বিপক্ষে শেষ ৬ আর ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ১৬ লিগ ম্যাচ হারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলে মৌসুমে ২৮ ম্যাচ অপরাজেয় আনচেলত্তির দল।

জিরোনার সঙ্গে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ বার্সেলোনার। একই সঙ্গে টেবিলের দু’নম্বর পজিশন হারানোর শঙ্কাও আছে কাতালানদের। কেননা দু’দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র দুই। ঘরের মাঠে শেষ ১২ ম্যাচ অপরাজিত জিরোনার বিপক্ষে গাভি-ডি ইয়ংদের পাচ্ছেন না জাভি।


রিয়াল মাদ্রিদ   বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন ব্যবসায়ে নাম লেখাচ্ছেন লিও মেসি

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

ফুটবলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন তিনি। সেই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন (জলযোজন) পানীয় আনার ঘোষণা দেন ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।

নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন মেসি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই পোস্টেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মেসি।

পোস্টে মেসি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন (জলযোজন) প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জলযোজন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’

নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অংকের অর্থ আয় করেন মেসি। যার মধ্যে জনপ্রিয় দুটি ব্রান্ড হলো অ্যাডিডাস ও পেপসিকো। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

মেসির শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। তাদের সঙ্গে আন্তক্রিয়াতে লিপ্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন দলপতি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন