বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের চলতি আসরের তৃতীয় পর্ব শেষে সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো চতুর্থ পর্ব। টানা দুই দিন খেলা শেষে আজ বিরতি পেয়েছে দলগুলো। একদিন বিরতির পর আবারো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাকি ম্যাচগুলো। এখন পর্যন্ত তিন ভেন্যু মিলিয়ে মাঠে গড়িয়েছে ২৮ টি ম্যাচ। মাঠে জমজমাট লড়াই দেখিয়ে প্লে-অফের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলগুলো। ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সেও তুমুল লড়াই দেশি-বিদেশিদের মধ্যে। প্রতিম্যাচেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে একে অন্যকে।
দেখে
নেওয়া যাক বিপিএল চলতি আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি দৌড়ে কারা এগিয়ে।
১।
ওয়াহাব রিয়াজঃ পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ চলমান বিপিএলে খেলছেন খুলটা টাইগার্সের হয়ে। নিজ দল খুলনা টাইগার্স
প্লে-অফের রেসে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও ব্যাক্তিগত পারফরম্যান্সে সবার উপরে ৩৭ বছর বয়সী
এই পাক ক্রিকেটার। চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি। খুলনার জার্সি গায়ে ৭ ম্যাচে তুলে
নিয়েছেন ১৩ উইকেট। প্রতিপক্ষের
উইকেট তোলায় যেমন পটু এ বোলার রান
দিতে করেন অনেক কৃপণতা। ওয়াহাবের বোলিং ইকোনমি যে কোন পেসারের
জন্য আদর্শই বটেই। চলমান বিপিএলে বাঁহাতি এই পেসার ওভার
প্রতি রান দিয়েছন ৬.৯৫ করে।
২.
মাশরাফি বিন মর্তুজাঃ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সবচেয়ে সফল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিপিএলে অধিনায়কত্ব করছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী সফল অধিনায়কও তিনি। চলতি আসরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে গেছেন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বল হাতেও দলের
প্রয়োজনে জ্বলে উঠছেন নরাইল এক্সপ্রেস। এখন পর্যন্ত চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ওয়াহাব রিয়াজ থেকেও এক ম্যাচ বেশি
খেলা মাশরাফির শিকার ১২ উইকেট। পায়ে
একাধিক বার অপারেশন হলেও ভালোবেসে এখনো খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেট। চলতি আসরে ৩০ ওভার বল
করে কিছুটা খরচে ছিলেন মাশরাফি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৭০ করে।
৩.
মোহাম্মদ আমিরঃ পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির খেলছেন কাপ্তান মাশরাফির অধীনে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তবে সারা বিশ্বে অনুষ্ঠিত হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোতে নিয়মিত দেখা যায় এই পাক বোলারকে।
বিপিএলের নিয়মিত মুখও তিনি। ৫ বছর ক্রিকেটের
বাহিরে থাকলেও বলের তেজ কমেনি একটুও। চলমান বিপিএলেও বল হাতে আগুন
ছড়াচ্ছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। সিলেটের সেরা বোলারও তিনি। ওভার
প্রতি ৫.৪৯ করে
রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট। চলতি
আসরে ৬ এর নিচে
রান দেওয়া আমির আছেন উইকেট শিকারির তালিকায় তিন নম্বরে।
৪.
হাসান মাহমুদঃ জাতীয় দলের পেসার হাসান মাহমুদ এই আসরে খেলছেন
রংপুর রাইডার্সের হয়ে। শুরুর কয়েকটি ম্যাচে নিজেকে খুজে না পেলেও সাম্প্রতিক
ম্যাচগুলোতে দলের জয়ে রাখছেন ভূমিকা। বল হাতে তুলে
নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট তালিকায় তিন নম্বরে থাকা আমিরের সমান ১১ উইকেট। আমিরের
চেয়েও দুই ম্যাচ কম খেলা হাসান
মাহমুদের অবস্থান তালিকার চতুর্থতম স্থানে। চলতি আসরে রংপুরের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলা
ডান হাতি এই পেসার ওভার
প্রতি রান দিয়েছেন ৭.১০ করে।
৫. নাসির হোসেনঃ লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাহিরে থাকা নাসির হোসেন চলতি আসরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা ডমিনেটর্সকে। টুর্নামেন্টে ভালো অবস্থানে নেই ডমিনেটর্স। রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। তাইতো অধিনায়ক নাসিরকে দশে দশ না দিলেও অলরাউন্ডার নাসিরকে দশে দশ দিতেই হবে। ব্যাট হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আর বল হাতে পঞ্চম স্থানে নাসির হোসেন। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ১১ উইকেট। জাতীয় দলের আবারো সম্ভাবনা জাগানো নাসির ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.২৩ করে।
উল্লেখ্য
আগামী ১৩ তারিখ থেকে
পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় ওয়াহাব, আমিরদের ৮ ফেব্রিয়ারির আগে
ছাড়তে হবে বিপিএল। তাই মাশরাফি-হাসান মাহমুদের সামনে সুযোগ থাকবে শীর্ষ উইকেট শিকারির তালিকায় যাওয়ার। বিদেশিদের ছাপিয়ে দেশি ক্রিকেটারের এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকরই বটে।
বিপিএল মাশরাফি ওয়াহাব নাসির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি
মন্তব্য করুন
কলিন মুনরো। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের একসময়ের নিয়মিত মারকুটে ব্যাটারদের একজন ধরা হতো তাকে। তবে প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি নেই আন্তর্জাতিক কোন খেলায়। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২০ সালে।
সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে কিউই স্কোয়াডে ফিরতে পারেন মুনরো। এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এমনকি তার সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন নির্বাচকরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি সফল আলোচনা হয়নি।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। ১৫ সদ্যসের সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মুনরোর। তাতে খানিকটা অভিমানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই কিউই ওপেনার।
মুনরো বলেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি সেই জার্সিটি পরার চেয়ে অন্য কোনো কিছুতে বেশি গর্বিত বোধ করিনি। এটি সত্য যে, আমি সব ফরম্যাটে ১২৩ বার এটি করতে পেরেছি। তা নিয়ে আমি সর্বদা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত হবো।’
‘যদিও আমার শেষ ম্যাচের পর বেশ অনেকটা সময় চলে গেছে। তবে আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। আমি মনে করেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ফর্মে এসে জাতীয় ফিরতে পারবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই দরজা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।’-যোগ করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন মুনরো। যেখানে একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। সাদা বলের ক্রিকেটে লম্বা সময় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই ওপেনার।
কলিন মুনরো নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক মাঠ ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে রয়েছে ক্রিকেটের
হাজার হাজার রেকর্ড। এই স্টেডিয়ামের সংস্কারের পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে
নতুন রূপে সাজতে খরচ হতে পারে প্রায় হাজার কোটি টাকা
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
পুনরায় লর্ডসের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা
হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাড়ানো
হবে আসন সংখ্যা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ আসন বাড়তে পারে।
ভেঙে দেওয়া হতে পারে বর্তমানের অ্যালেন স্ট্যান্ড। এক তলা বাড়িয়ে করা হবে পুনর্নির্মাণ।
একই সঙ্গে চতুর্থ স্তর বসানো হবে ভার্ন স্ট্যান্ডের ওপর।
ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বলছে, পুনঃসংস্কারে
অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। ক্লাবটির সদস্যদের ভোটে গত সপ্তাহে
পাশ হয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু
হওয়ার কথা লডর্সের পুনর্নির্মাণ কাজ।
চলতি বছরের শুরুতে লর্ডস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায়
মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। এ ক্লাবটি মূলত ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির অধীনে
পরিচালিত হয়।
এর আগে ২০২১ সালে লর্ডসের কম্পটন ও এদরিচ স্ট্যান্ড পুনঃসংস্কার
করা হয়। তখন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৭৬ কোটি
৫ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের
চতুর্থ ম্যাচে আজ শুক্রবার মাঠে
নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম তিন
ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ
নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।
চতুর্থ এই ম্যাচটি মিরপুর
শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে
শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। যে
কারণে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই
এই সিরিজ খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সিরিজে
সবচেয়ে বড় আলোচনায় দলের
টপ অর্ডার। লিটন দাস-শান্তরা
রান খরায় ভুগছেন। গতকাল
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পেসার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং যেদিনই
খারাপ হয় বাইরের সমর্থক
বা বাইরের যারাই আছেন, সবার থেকে বেশি
হতাশ কিন্তু আমরা হই। কারণ,
দিন শেষে আমাদেরই খেলতে
হয় এবং আমরা কিন্তু
ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই যাচ্ছি
যে কীভাবে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং আরও উন্নতি করা
যায়।’
জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে খেলে আবার মিথ্যা
আত্মবিশ্বাস যোগ হচ্ছে কিনা?
এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, 'আসলে ফেইক (মিথ্যা)
কনফিডেন্স নয়। ভালো করলে
যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি
না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। ড্রপ
ইন উইকেটে খেলা হতে পারে।
আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে
খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে
নিতে হবে।'
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে
যে কেউ খুব সহজেই ‘ফুটবল’ নামটি সবার আগে বলবে। আর তাই এবার সেই ফুটবলের জন্য বিশেষ
দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক বিস্ময়।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যেখানে ১৯৩টি। সেখানে ফিফার সদস্য ২১১
টি দেশ। এমনই তুমুল জনপ্রিয় আর সর্বজনবিদিত এই খেলার জন্য এবার মে মাসের ২৫ তারিখ বিশ্ব
ফুটবলের দিবস ঘোষণা করেছে।
ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে
সদস্যদেশগুলোর ভোটে চলতি বছর থেকে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করার পেছনেও আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব।
১৯২৪ সালের একই তারিখে মেতে প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছিল।
সেটি ছিল ফুটবলে বিশ্বের সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট।
এমন ঐতিহাসিক দিবসের ১০০ বছর পূর্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব ফুটবল দিবস।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশন উপস্থাপন
করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাহের এল-সনি। রেজ্যুলেশন উপস্থাপনায় তিনি
বলেন, এটি নিছক একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু, যা সব বয়সীরা রাস্তায়, গ্রামে, স্কুলে
এবং পল্লিতে আনন্দের জন্য ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলে থাকে।
তিনি বলেন, 'বিশ্বের খেলাধুলা অঙ্গনে ফুটবলের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী
অবস্থান’ আছে। ‘জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা কাটিয়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে
সর্বজনীন ভাষা হিসেবে কাজ করে।’
রেজ্যুলেশনে ফুটবলের বৈশ্বিক পরিধি এবং বাণিজ্য, শান্তি ও কূটনীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক
খাতে এর প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ফুটবলের
ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন ও প্রসারে খেলার নিয়ন্ত্রক
সংস্থা ফিফার মূলনীতি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ
ছিল সেই রেজ্যুলেশনে।
ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ
সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মে বিশ্ব ফুটবল দিবসের পক্ষে ভোট দেয়। বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশনে
সব দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট
সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।
ক্রীড়াঙ্গন বিস্ময় ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
শক্তিশালী এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পুরো মূল্যায়নই করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন শানাকা, দুশমান্থ চামিরাদের নিয়ে শক্ত স্কোয়াড দাঁড় করিয়েছে তারা। রিজার্ভেও আছে ভানুকা রাজাপাকসের মতো হার্ডহিটার আর বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থের মতো রহস্যময় স্পিনার।
যথারীতি দলের অধিনায়ক থাকছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। নিজের ৬ষ্ঠ আসরে খেলতে যুক্ত হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। পুরো দলে সাবেক আর বর্তমান অধিনায়কদের মেলাই বসিয়েছে দলটি। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পাশাপাশি আছেন দাশুন শানাকা। এছাড়া বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও আছেন বিশ্বকাপের দলে।
পুরো দলে চমক বলতে গেলে দুনিথ ভেল্লালাগে। ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন নুয়ান থুসারাও। তিনি যাচ্ছেন ৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নিজেদের প্রবল এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের। গ্রুপ-ডি তে লঙ্কানরা আছে টাইগারদের সঙ্গেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার গ্রুপেও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ৮ জুন। এরপর ১২ জুন নেপাল ও ১৭ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে দলটি।
বিশ্বকাপ তারকা স্কোয়াড শ্রীলঙ্কা
মন্তব্য করুন
বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।