বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল সমর্থকদের জন্য যেমন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট উপভোগ করার বড় মঞ্চ তেমনি ঘরোয়া লিগের খেলোয়াড়দের নিজের প্রতিভা প্রমাণেরও বড় একটা সুযোগ। সাকিব-তামিম এবং বিদেশি তারকাদের সাথে মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার বড় মঞ্চ এটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে উঠে আসতে পারে জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ তারকারা। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছেন দেশের কয়জন ক্রিকেটার সেটিই বড় প্রশ্ন। অতীত বিপিএল থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতেগোনা। যারা জাতীয় দলে এসেছেন তারাও ধারাবাহিক ছিলেন না পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে, ফলে বাদ পড়তে হয়েছে জাতীয় দল থেকে।
নবম বিপিএলে এমন কয়েকজন দেশিয় ক্রিকেটার ব্যাটে বলে আলো ছড়িয়েছেন। যারা হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আগামীর ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির সুনজর থাকলে তারাও হয়ে উঠতে পারেন পরবর্তীর সাকিব-তামিম। নবম বিপিএলে এমন কয়েকজন খেলোয়াড় যারা মাঠের পারফরম্যান্সে সবার শীর্ষে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠেছেন মাঝে মধ্যেই। নিজ নিজ দলের জয়েও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েকজন তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটারকে।
সাফল্যের দিক দিয়ে এ তালিকায় সবার উপরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিন বোলার তানভীর ইসলাম। নবম বিপিএল আসরে তানভীরের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ঘরে তুলেছে চতুর্থবারের মতো শিরোপা। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তানভীর। পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে দারুণ সময় কাটানো তানভীর ১৭ উইকেট নিয়ে পেয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পুরষ্কার। যদিও পুরষ্কার টা ভাগ করে নিতে হয়েছে তার সমান ১৭ উইকেট নেওয়া রংপুর রাইডার্সের বোলার হাসান মাহমুদের সাথে। সদ্য শেষ হওয়া নবম বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে তানভীর মাঠে নেমেছেন ১২ ম্যাচ। ৬.৩৬ ইকোনমিতে বল করে শিকার করেছেন ১৭ উইকেট সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট। এমন পারফরম্যান্স বিবেচনায় হয়ত খুব দ্রুতই জাতীয় দলের র্যাডারে আসতে পারেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের লড়াইয়ে বেশ ভালো করছে পেসার ইউনিট। তাদের সাথে নতুন সংযোজন হতে পারেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ কাঁপানো রেজাউর রহমান রাজা। যদিও এর আগে সাদা পোশাকে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে এখনো মাঠে নামা হয়নি ২৪ বছর বয়সী এই পেসারের। নবম বিপিএল আসরে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স প্রথমবারের মতো খেলেছে ফাইনাল। রাজার দল ফাইনাল খেললেও রাজা মাঠে নেমেছেন ৮ টি ম্যাচে। এর মধ্যেই শিকার করেছেন প্রতিপক্ষের ১৩ উইকেট। রাউন্ড রবিন লিগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও। ১৪ রান দিয়ে সে ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেছেন রাজা। বলা যায় ওই ম্যাচ একাই জিতিয়েছেন তিনি। নবম বিপিএল আসরে ১৩ উইকেট শিকার করে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির অষ্টম স্থানে। বিদেশি কোচদের তত্বাবধানে আসলে রাজা ও হতে পারেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
নবম বিপিএল আসরে সেরা উইকেট শিকারির তালিকার দশ নম্বরে থাকা মোহাম্মদ নিহাদুজ্জামান খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়েছে তার দল। দল বাদ পড়লেও বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন নিহাদুজ্জামান। চট্টগ্রামের হয়ে ৯ ম্যাচ মাঠে নেমে শিকার করেছেন ১২ উইকেট। বোলিং ইকোনমি ছিলো গড়পড়তা ৭.২৬। তবে ঘরোয়া লিগের পরীক্ষিত পারফর্মার ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শেষ মুহূর্তের দৃশ্য যাদের মনে আছে তারা নিশ্চয় রাকিবুল ইসলামকে ভুলে যাওয়ার কথা নয়। অধিনায়ক আকবর আলীর সাথে দলের জয়ের শেষ রানটা এসেছিলো রাকিবুলের ব্যাট থেকেই। তবে মূলত তিনি একজন বাঁহাতি স্পিনার। নবম বিপিএল আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন তিনি। তার দল তৃতীয় অবস্থানে থেকে শেষ করে নবম বিপিএল আসর। দল ফাইনালে উঠতে না পারলেও বল হাতে ভালো সময় পার করেছেন রাকিবুল ১১ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার জায়গা করে নিয়েছেন সেরা উইকেট শিকারির ১৪ নম্বর স্থানে। তবে ইনিংসের শুরুতেই দলকে উইকেট এনে দিয়ে পটু বাঁহাতি এ স্পিনার। কারণ নতুন বলে টার্ন করিয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে পারেন রাকিবুল। রাকিবুল হাসানের বড় দক্ষতা রান কম দিয়ে বল ডট দিতে পারেন বেশি। বিপিএলেও করিয়ে দেখিয়েছেন তিনি বিপিএলে রাকিবুলের ইকোনমি ছিলো মাত্র ৬.৪৭।
নবম বিপিএল আসরে গতির ঝড়তোলা বোলার খুলনা টাইগার্সের নাহিদ রানা। চলতি বিপিএলে ১৪৮ গতির বল করে চমকে দিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাসকিন আহমেদ ছাড়া এত গতির বল করতে দেখা যায়নি আর কোন বোলারকে। তাই তরুণ নাহিদকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। নবম বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে মাত্র ৩ ম্যাচ মাঠে নেমেছেন ডানহাতি এই পেসার। তিন ম্যাচে শিকার করেছেন দুই উইকেট। বিপিএল আসরে আহামরি কোন অর্জন না থাকলেও গতির ঝড়তোলা এই পেসারকে তৈরি করে নিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে পরিচয় করাবেন নতুন ভাবে।
বোলার তরুণ ক্রিকেটার নবম বিপিএল আসর
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে থেকে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ভারতও।
২০০৭ সালের শিরোপাজয়ীরা ভিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিশাভ পান্তকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বমঞ্চে যাচ্ছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শুভমান গিল এবং রিঙ্কু সিংয়ের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইয়াশভি জায়সাওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।
রিজার্ভ ক্রিকেটার- শুভমান গিল, রিংকু সিং, আভেষ খান, খলিল আহমেদ।
ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বিরাট কোহলি রোহিত শর্মা
মন্তব্য করুন
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে
রেখে এইডেন মার্করামকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপিএল
এ চ্যাম্পিয়ন ডেভিট মিলার রয়েছে এ দলে। তাছাড় প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন অনভিষিক্ত দুই ক্রিকেটারও।
বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলের ব্যাটিং ইউনিটে আছেন অভিজ্ঞ কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার ও ত্রিস্টান স্টাবস।
পেস ইউনিটে নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, মার্কো জানসেন ও জেরাল্ড কোয়েৎজের ওপর।
এছাড়াও নান্দ্রে বার্গারের সঙ্গে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লুঙ্গি এনগিডি।
দক্ষিণ আফ্রিকার
বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ডি গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও নেপাল। ১০ জুন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার।
টি-২০ বিশ্বকাপ প্রোটিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দল ঘোষণা
মন্তব্য করুন
আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার জস বাটলারকে অধিনায়ক করে এবং জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ঘোষিত এ দলে চমক হিসেবে আছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার টম হার্টলি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় আসছে আসরের জন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইসিবি। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় ১ মে। তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই।
২০২৩ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আর্চার। চোটের কারণে মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই পেসার সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ৬ মে, আইপিএলে। তবে ডান হাতের কনুইয়ের ইঞ্জুরি সেরে ওঠায় বিশ্বকাপে খেলতে চলেছেন আর্চার। বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।
এবারের আসরে গ্রুপ বি’তে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে জস বাটলারের দল।
ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।
জস বাটলার ইংল্যান্ড জোফরা আর্চার টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
চলতি মৌসুমটা যেন রিয়ালের জন্য যেন আরও এক স্বপ্নের মৌসুম। কারণ ইতোমধ্যেই লা লিগা শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। সেই সাথে এবার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও পা রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিরোপা নিশ্চিত করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এ লড়াইয়ে সেমিফাইনালে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। যেখানে অপেক্ষায় বায়ার্ন মিউনিখ।
মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই দল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি একে অপরের মোকাবেলা করেছে।
অনেকটা অলিখিতভাবেই এই দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র তকমা পেয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৬বারের মোকাবেলায় মাদ্রিদের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় ১১টিতে। যে কারণে একটু হলেও মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখা যায়।
গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান জায়ান্টদের উপর অনেকটাই ছড়ি ঘুরিয়েছে মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪বারের বিজয়ী মাদ্রিদ সাম্প্রতিক তিনটি আসরে বায়ার্নকে বিদায় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সেমিফাইনাল ও ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল।
এই তিনটি আসরেই রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে। ২০১৭ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিরিক্ত সময়ের বায়ার্ন বিদায় নিয়েছিল। ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
ঐ সময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন আনচেলত্তি। কয়েক মাস পর এই ইতালিয়ান কোচকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন। এই সুযোগটি লুফে নেয় মাদ্রিদ। আনচেলত্তিকে পেয়ে আরো বেশি উজ্জীবিত মাদ্রিদ এরপর আরো দুটি শিরোপা জয় করেছে।
এবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভাকুসেনের কাছে ১১ বছরের আধিপত্য হারিয়েছে বায়ার্ন। আর এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটি তাদের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ঐ ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনচেলত্তি। মিডফিল্ডার আরতুরো ভিদালের লাল কার্ড ও রোনালদোর একটি অফসাইডের গোল নিয়ে আনচেলত্তি বেশ আপত্তি করেছিলেন।
এদিকে মৌসুমের দু:সহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে বায়ার্নের সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের বিকল্প নেই। কোচ থমাস টুখেলের দলের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের ফর্ম। সবমিলিয়ে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই দল।
রিয়াল মাদ্রিদ বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মেয়েদের ইতোমধ্যেই ৮-১০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল সবখানেই মেয়েরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তবে এবার এক নতুন কীর্তি গড়ল সাবিনা-মারিয়ারা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) নারীদের ফুটবল লিগে কমলাপুরে দু’দলের শক্তির পার্থক্য ছিল যোজন যোজন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি দল গড়েছে জাতীয় নারী দলের তারকাদের নিয়ে। অন্যদিকে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশে নেই কোন বড় নাম।
এদিন ম্যাচ শুরু হতেই সাবিনা-শামসুন্নাহাররা গোল করতে শুরু করেন। সানজিদা-মাসুরারা যোগ দেন গোল উৎসবে। শেষ বাঁশির আগে ব্যবধান নিয়ে যান ১৯-০।
নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে মারিয়া মান্দা, সাবিনা ও শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিক তো করেনই। পরে আরও একটি করে গোল আসে এই তিন তারকার পা থেকে। মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া দুটি করে গোল করেন। অন্য গোলটি করেন মাজিয়া।
হ্যাটট্রিক সাবিনা বাংলাদেশ নারী ফুটবল
মন্তব্য করুন