ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়নস লিগের ব্যর্থতায় কি নেইমারকে বিদায় বলছে পিএসজি ?

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বর্তমান বিশ্বে সেরা ফুটবলারদের মধ্যে তালিকা করলে শীর্ষদের জায়গা থাকবেন আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি, ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, বা পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপরেই যার নামটা আসবে তিনি নেইমার জুনিয়র। লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ব্যক্তিগত অর্জন খুব একটা না থাকলেও ফুটবল মাঠে পায়ের জাদুতে সমর্থকদের বিমোহিত করার এক অসীম ক্ষমতা রয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের। জাতীয় দলের হয়ে কখনো জেতা হয়নি বিশ্বকাপ কিংবা মেসি, রোনালদোর মতো জিততে পারেননি  ব্যালন ডি'অর ট্রফি। এরপরেও সাবেক ফুটবল বোদ্ধাদের অনেকের মতে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের সমতুল্য নেইমারের মাঠের খেলা।

মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বোকা বানানো, দ্রুত গতিতে দৌড়ানো, প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগ ভেদ করে ডি বক্সে বল নিয়ে ছুটে যাওয়া। সব মিলিয়ে ফুটবল মাঠে  নেইমারের পায়ের জাদুতে ফুটে উঠা শৈল্পিক দৃশ্য উপভোগ করে সমর্থকেরা। নেইমারের এমন প্রতিভা চোখ এড়ায়নি ফরাসি ক্লাব পিএসজিরও। তাইতো ২০১৭ সালে ইতিহাস গড়া ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা থেকে নিয়ে আসে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। ২০২২ সালে  নেইমারের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া পুনরায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত  চুক্তি নবায়ন করে ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটি। কিন্তু দীর্ঘ অর্ধযুগের সম্পর্ক এখন অন্তিম পর্যায়ে। পিএসজি নেইমারকে ছেড়ে দিবে এমন খবর ভেসে বেড়াচ্ছে ফরাসি দৈনিকগুলোতে। আবার নেইমার ও খুঁজছেন নতুন ঠিকানা। কেনো নেইমারের কে বেচে দিতে চায় পিএসজি অথবা কেনই বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চলে যেতে চান নেইমার। আজকের আলোচনায় থাকবে সে বিষয়।

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা থেকে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো। যেটি বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৮৭ কোটি ৪৫০ লাখের ও বেশি। বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ২০১৭ সালের আগস্টের শুরুর দিকে পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। এত বিশাল অর্থ ব্রাজিলের পোস্টার বয়ের পেছনে খরচ করে পিএসজি কি পেলো? এটি এখন বড় প্রশ্ন। ব্রাজিলিয়ান এ তারকাকে নেওয়ার আগেও ফ্রেঞ্চ কাপ, ফ্রেঞ্চ লিগ, ফ্রেঞ্চ লিগ কাপ ট্রফি সবই জিতেছিলো ফরাসি ক্লাবটি। যেটা জিতেনি সেটা হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের উদ্দেশ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে দলে ভেড়ায় পিএসজি। তবে সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো ফরাসি ক্লাবটির। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচেও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরে যায় ক্লাবটি। এর আগেও ২০১৯-২০ মৌসুমে এই বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ফাইনাল হেরেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলো পিএসজি। সেবার জিতলে হয়ত পিএসজির হয়ে নেইমারের নামের পাশেও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা থাকতো। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের আগে মোনাকোর বিপক্ষে খেলা ম্যাচটি নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন নেইমার। নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কথার লড়াইয়ে ঝগড়া করেছিলেন পিএসজির ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে৷ মেজাজ হারিয়েছেন সতীর্থদের সাথেও। তাইতো ফরাসি ক্লাবটির মালিক উঠে পড়ে লেগছেন নেইমারকে ছেড়ে দিতে। এমনকি নেইমারকে ছাড়তে বিশাল অঙ্ক দাবি করছেন না পিএসজির মালিক। ২২২ মিনিয়ন ইউরোর ৬০ শতাংশ পেলেই নেইমারকে ছেড়ে দিতে রাজি ক্লাবটি। তাহলে শুরু ধারণায় সত্যি হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিতে না পারায় নেইমারের পেছনে আর বিনিয়োগ করতে চায় না পিএসজি। গতবছর পিএসজির মালিক নিজের মুখেও শিকার করেছেন ইউরোপ সেরা শিরোপা না জিতলে এত অর্থ ব্যয় করার কোন মানেই হয় না। পিএসজিতে বর্তমান মেসির মূল্যের চেয়েও বেশি নেইমারের মূল্য। তাই খরচ কমাতে নেইমারকে ছেড়ে দিতে চায় পিএসজি।

২০১৭ সালে পিএসজিতে অভিষেকটা দারুণ করেছিলেন নেইমার জুনিয়র। ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৮ ম্যাচে করেছিলেন ৩০ গোল এসিস্ট করেছিলেন ১৬ টি। কিন্তু ইনজুরি সঙ্গী হওয়ায় ২০১৮-১৯ মৌসুমে খেলতে পারেননি সবগুলো ম্যাচ এরপরেও ২৩ গোলের পাশাপাশি ১১ টি আসিস্ট করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। পিএসজিকে এনে দিয়েছিলেন লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ ও কোপা দেলরের শিরোপা। ক্লাবটির মধ্যমণি তখনো ছিলেন নেইমার। কিন্তু ততদিনে রাশিয়া বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে বিশ্বফুটবলে জায়গা করে নেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজির চোখ ও গিয়ে পড়ে এমবাপ্পের উপরে। অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বুদ হয়ে থাকা পিএসজি শক্তি বাড়াতে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে দলে ভেড়ায় এমবাপ্পেকেও। সে থেকেই নেইমার যেনো ফরাসি তারকার ছায়া হয়ে রইলেন। দুইজনের রসায়নটা খুব একটা ভালো নয়। গত মৌসুমের শুরু থেকে নেইমার-এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব ছিল সংবাদের শিরোনামে। এমনকি এমবাপ্পে নাকি পিএসজিতে থাকার জন্য নেইমারকে বিক্রির শর্তও দিয়ে রেখেছেন। এসব কিছু হয়ত আর সহ্য হচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের তাই তিনি নিজেও চাচ্ছেন ঠিকানা বদলের।

ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নিয়মিত সাফল্য পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরাবরই ব্যর্থতার বৃত্তে খাবি খাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। নেইমার জুনিয়রকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার জন্য দলে নিলেও  ২০১৯-২০ মৌসুমে রানারআপ হওয়াই এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় ফরাসি ক্লাবটির সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পার্ক দেস প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ১-২ গোলে হেরেছিল পিএসজি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে  ০-২ গোলে হেরে আবারও স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ফরাসি জায়ান্টদের। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মৌসুম মিলিয়ে মোট ৪১ ম্যাচে মাঠে নেমে ২২ গোল করেন নেইমার। লিগ ওয়ানে পিএসজির হয়ে ৪৬ এসিস্ট করা নেইমার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিলেন এসিস্ট বিহীন। পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭২ ম্যাচে ১১৭ টি গোল করেছেন এই তারকা। যেখানে এসিস্ট করেছেন ৭৬ টি। পরিসংখ্যান বলছে বার্সেলোনা থেকেও ১৪ ম্যাচ কম খেলা পিএসজিতে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন নেইমার। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় ১৮৬ ম্যাচ খেলে গোল পেয়েছেন ১০৫ টি এসিস্ট করেছেন ৭৬টি। ফরাসি ক্লাবটিকে হয়ত আরও বেশি কিছু দিতে পারতেন নেইমার তবে তা পূরণ করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। তবে এর দায়টা যতটা নেইমারের, ততটাই তাঁর দুর্ভাগ্যেরও। কারণ, পিএসজির লক্ষ্যপূরণ কিংবা মাঠের ফুটবলে নেইমারের সেরাটা দেওয়ার ক্ষেত্রে বারবার বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেইমারের চোট।

লিগ ওয়ানের সবশেষ ম্যাচেও চোটে পড়ে মাঠের বাইরে নেইমার জুনিয়র। এ চোট কি পিএসজির বাহিরে নিয়ে যাবে নম্বর টেনকে সে প্রশ্ন তোলা থাকুক সময়ের কাছে।


নেইমার   পিএসজি   ব্রাজিল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ভারত

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে থেকে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ভারতও।

২০০৭ সালের শিরোপাজয়ীরা ভিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিশাভ পান্তকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বমঞ্চে যাচ্ছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শুভমান গিল এবং রিঙ্কু সিংয়ের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইয়াশভি জায়সাওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ ক্রিকেটার- শুভমান গিল, রিংকু সিং, আভেষ খান, খলিল আহমেদ।


ভারত   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বিরাট কোহলি   রোহিত শর্মা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এইডেন মার্করামকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপিএল এ চ্যাম্পিয়ন ডেভিট মিলার রয়েছে এ দলে। তাছাড় প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন অনভিষিক্ত দুই ক্রিকেটারও।

বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলের ব্যাটিং ইউনিটে আছেন অভিজ্ঞ কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার ত্রিস্টান স্টাবস।

পেস ইউনিটে নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, মার্কো জানসেন জেরাল্ড কোয়েৎজের ওপর।

স্পিন বিভাগের রয়েছেন, কেশব মহারাজ, তাবরাইজ শামসি ও জর্ন ফরটুইন। এছাড়াও বিশ্বকাপে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই ক্রিকেটার হলো রায়ান রিকেলটন এবং ওটনিয়েল বার্টমান।

এছাড়াও নান্দ্রে বার্গারের সঙ্গে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লুঙ্গি এনগিডি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিয়েল বার্টমেন, জেরাল্ড কোয়েৎজে, কুইন্টন ডি কক, জর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো জানসেনহেনরিখ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ত্রিস্টান স্টাবস।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ডি গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ নেপাল। ১০ জুন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার।


টি-২০   বিশ্বকাপ   প্রোটিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা   দল ঘোষণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জস বাটলারকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার জস বাটলারকে অধিনায়ক করে এবং জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ঘোষিত এ দলে চমক হিসেবে আছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার টম হার্টলি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় আসছে আসরের জন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইসিবি। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় ১ মে। তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই।

২০২৩ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আর্চার। চোটের কারণে মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই পেসার সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ৬ মে, আইপিএলে। তবে ডান হাতের কনুইয়ের ইঞ্জুরি সেরে ওঠায় বিশ্বকাপে খেলতে চলেছেন আর্চার। বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।

এবারের আসরে গ্রুপ বি’তে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে জস বাটলারের দল।

ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।


জস বাটলার   ইংল্যান্ড   জোফরা আর্চার   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’তে আজ বায়ার্নের মুখোমুখি রিয়াল

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমটা যেন রিয়ালের জন্য যেন আরও এক স্বপ্নের মৌসুম। কারণ ইতোমধ্যেই লা লিগা শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। সেই সাথে এবার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও পা রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিরোপা নিশ্চিত করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এ লড়াইয়ে সেমিফাইনালে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। যেখানে অপেক্ষায় বায়ার্ন মিউনিখ।

মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই দল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি একে অপরের মোকাবেলা করেছে।

অনেকটা অলিখিতভাবেই এই দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র তকমা পেয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৬বারের মোকাবেলায় মাদ্রিদের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় ১১টিতে। যে কারণে একটু হলেও মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখা যায়।

গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান জায়ান্টদের উপর অনেকটাই ছড়ি ঘুরিয়েছে মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪বারের বিজয়ী মাদ্রিদ সাম্প্রতিক তিনটি আসরে বায়ার্নকে বিদায় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সেমিফাইনাল ও ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল।

এই তিনটি আসরেই রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে। ২০১৭ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিরিক্ত সময়ের বায়ার্ন বিদায় নিয়েছিল। ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

ঐ সময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন আনচেলত্তি। কয়েক মাস পর এই ইতালিয়ান কোচকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন। এই সুযোগটি লুফে নেয় মাদ্রিদ। আনচেলত্তিকে পেয়ে আরো বেশি উজ্জীবিত মাদ্রিদ এরপর আরো দুটি শিরোপা জয় করেছে।

এবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভাকুসেনের কাছে ১১ বছরের আধিপত্য হারিয়েছে বায়ার্ন। আর এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটি তাদের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ঐ ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনচেলত্তি। মিডফিল্ডার আরতুরো ভিদালের লাল কার্ড ও রোনালদোর একটি অফসাইডের গোল নিয়ে আনচেলত্তি বেশ আপত্তি করেছিলেন।

এদিকে মৌসুমের দু:সহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে বায়ার্নের সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের বিকল্প নেই। কোচ থমাস টুখেলের দলের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের ফর্ম। সবমিলিয়ে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই দল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তিন হ্যাটট্রিকে এক ম্যাচেই সাবিনাদের ১৯ গোল

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মেয়েদের ইতোমধ্যেই ৮-১০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল সবখানেই মেয়েরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তবে এবার এক নতুন কীর্তি গড়ল সাবিনা-মারিয়ারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নারীদের ফুটবল লিগে কমলাপুরে দু’দলের শক্তির পার্থক্য ছিল যোজন যোজন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি দল গড়েছে জাতীয় নারী দলের তারকাদের নিয়ে। অন্যদিকে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশে নেই কোন বড় নাম।

এদিন ম্যাচ শুরু হতেই সাবিনা-শামসুন্নাহাররা গোল করতে শুরু করেন। সানজিদা-মাসুরারা যোগ দেন গোল উৎসবে। শেষ বাঁশির আগে ব্যবধান নিয়ে যান ১৯-০।

নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে মারিয়া মান্দা, সাবিনা ও শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিক তো করেনই। পরে আরও একটি করে গোল আসে এই তিন তারকার পা থেকে। মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া দুটি করে গোল করেন। অন্য গোলটি করেন মাজিয়া।


হ্যাটট্রিক   সাবিনা   বাংলাদেশ নারী ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন