ইনসাইড গ্রাউন্ড

রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম‍্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ১৩ মে, ২০২৩


Thumbnail রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম‍্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়।

শুরুটা করেছিলেন হাসান মাহমুদই। কিন্তু ওই পথে পরে চলতে পারেননি বোলাররা। হ্যারি টেক্টর সেঞ্চুরি করেন, দারুণ ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল; আয়ারল্যান্ড পায় বড় রানের সংগ্রহ।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরেছিলেন চতুর্থ ওভারে, বড় রান করতে পারেননি লিটন দাস-সাকিব আল হাসানও। এরপরই শুরু নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের। চাপ সামলে খেলতে থাকেন দারুণ সব শট। শান্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান, হাফ সেঞ্চুরি পাড় করেন হৃদয়ও। তাদের বিদায়ে ম্যাচ কিছুটা জমে উঠলেও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে শেষ অবধি জিতেছে বাংলাদেশই।

শুক্রবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে আইরিশরা। শেষ ওভারে গিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান মুশফিকুর রহিম।  

টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার ভেতরে ঢোকা এক বল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে লেগে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, শূন্য রানে ফিরতে হয় স্টার্লিংকে। হাসান মাহমুদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় সাফল্যও।  

এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার পয়েন্ট অঞ্চলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে ভালো একটা জুটি গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।  

৫৭ বলে ৪২ রান করে তার ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।

তাতে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। তাইজুলের ৩৭তম ওভার থেকে ১৬, শরিফুলের করা পরের ওভারে আসে ২৪ রান। প্রতি ওভারেই ১০ এর বেশি করে রান নিতে থাকে ডকরেল-টেক্টর জুটি। তাদের দুজনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।  

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেলেও দল হেরেছে টেক্টরের, তার আগের তিন সেঞ্চুরিতেও ঘটেছিল একই ঘটনা। টেক্টরের বিদায়ের পরও দলের ইনিংস টেনে নেন ডকরেল।  এই ব্যাটার ৩ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৪৭ বলে ৭৪ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। ৮ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আট নম্বরে নামা মার্ক অ্যাডায়ার। বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে হাসান মাহমুদ, সমান ওভারে ৮৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শরিফুল ইসলামও।

বড় রান তাড়া করতে নেমে লিটন দাসকে নিয়ে সাবধানী শুরুর চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। জশ লিটলের প্রথম ওভার থেকে কেবল এক রান নেয় বাংলাদেশ, যার চারটি বল খেলেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তামিমের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি আয়ারল্যান্ড।  

ওই ওভার থেকে বাংলাদেশ ছয় রান তুলতে পারে। পরে তৃতীয় ওভার থেকে নেয় তিন রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যান তামিম। মার্ক অ্যাডায়ারের হাফ ভলিতে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ১৩ বল খেলে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন কেবল ৭ রান।  

এরপর লিটন দাসকে দেখে স্বাচ্ছন্দ্যই মনে হচ্ছিল কিছুটা। কিন্তু ২ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ২১ বলে ২১ রান করে গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। পরে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে উঠে নাজমুল হোসেন শান্তর। ২৭ বলে ২৬ রান করে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে সাকিব আউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। এরপর ক্রিজে আসেন তাওহীদ হৃদয়।  

শান্তর সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে বেশ। দুজন মিলে মারতে শুরু করেন। খেলছিলেন দুর্দান্ত সব শটও। হৃদয়ের কবজির ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। জর্জ ডকরেলের বল তুলে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। ততক্ষণে ১০২ বলে ১৩১ রানের দারুণ এক জুটি হয়ে গেছে। ৫ চার ও ৩ ছক্কার দারুণ ইনিংসে ৫৮ বলে ৬৮ রান করেন হৃদয়।

তার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।   এই ব্যাটারকে ফিরতে হয়েছে কার্টিস ক্যাম্পারের শর্ট বলে, ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ বলে ১১৭ রান করেন শান্ত। একসঙ্গে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ, সেটি আরও বাড়ে মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ে। ৩ চারে ১২ বলে ১৯ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।

এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। তিনি অবশ্য রান নাগালের ভেতর রাখতে তাইজুল ইসলামকে নিয়মিতই স্ট্রাইক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪৪তম ওভারে তাইজুল আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে এসে প্রথম বলেই চার হাঁকান শরিফুল। শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় পাঁচ রানের।  

এর মধ্যে তৈরি হয় নতুন নাটকীয়তা। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম দুই বল ডট খেলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তৃতীয় বলটি তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। তবে রিপ্লে দেখে আম্পায়াররা সেটিকে নো বল ঘোষণা করেন। ফ্রি হিটের বলে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন মুশফিক। তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী রোববার।

বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে নেই মেহেদী মিরাজ, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ রোববার দুজনকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে এই দল ঘোষণা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিসিবি। যার মধ্যে রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলে না থাকা প্রসঙ্গও। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সময়ের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতিপূর্বক এই ম্যাচে মিরাজের না থাকা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটা বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও জায়গা হারাতে পারেন মিরাজ। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে খোঁড়া যুক্তি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে মিরাজের টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার সুযোগও দেখছেন না তিনি।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মতো ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।

বিসিবি বস বলেছেন, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০টি ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর এবারের আসরে অংশগ্রহণ করছে ২০ দল।


টি-টোয়েন্টি   ক্রিকেট   মেহেদী মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

৫০৪ রানের ম্যাচে দিল্লির কাছে হারাল মুম্বাই

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন গতকালের ম্যাচেই কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব। গতকালের মতোই আজ (শনিবার) আরও একটি দুর্দান্ত রান তাড়া দেখার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল।

দিল্লি ক্যাপিটালসের ২৫৭ রানের জবাবে বেশ কাছাকাছিই চলে এসেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে শেষ করতে পারেনি। ৫০৪ রানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাইকে ১০ রানে হারিয়েছে রিশাভ পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালস।

এদিন ওপেনার রোহিত শর্মা (৮) আর ইশান কিশান (১৪ বলে ২০) ব্যর্থ। মুম্বাই বড় রান তাড়ার চেষ্টা করেছে মূলত তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া আর টিম ডেভিডের ব্যাটে। সূর্যকুমার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ১৩ বলে ২৬ করে আউট হন।

এরপর ৩৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিলক আর হার্দিক। হার্দিক ২৪ বলে ৪৬ করে আউট হন। টিম ডেভিড ১৭ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৩৭। তারপরও রান তাড়ায় আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিলক।

ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে তিনি ফেরার পরই সব আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি তিলক সাজিয়েছিলেন ৪টি করে চার-ছক্কায়।

দিল্লির মুকেশ কুমার আর রশিখ সালাম নেন তিনটি করে উইকেট।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছরের তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্কের ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস।

ম্যাকগার্ক ৮৪ রানের ইনিংসে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে। টর্নেডো এই ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার।

এছাড়া অভিষেক পোরেল ২৭ বলে ৩৬, শাই হোপ ১৭ বলে ৪১ আর শেষদিকে রিশাভ পান্ত ১৯ বলে ২৯ এবং ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আইপিএল   দিল্লি   মুম্বাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাইকেল জ্যাকসনের সাথে মুস্তাফিজের তুলনা করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল মুস্তাফিজের। ফলস্বরূপ ইতোমধ্যেই চেন্নাইয়ের মধ্যমণি  হয়ে উঠেছেন ফিজ। যার জন্য কিছুদিন পূর্বেই মুস্তাফিজকে বাংলা লায়ন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে এবার মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের ছবির সঙ্গে মিল রেখে তার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। মূলত, প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের নাচের একটি মুদ্রার ছবি শেয়ার করেছে চেন্নাই। তার সঙ্গে মিলিয়েছে মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশন।

নিজের বিখ্যাত গান ‘স্মুথ ক্রিমিনাল’-এর পারফরম্যান্সের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন জ্যাকসন। গোড়ালির ওপর ভর করে সামনের দিকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ঝুঁকে গিয়েছিলেন। এমন অসম্ভব মুদ্রা তিনি কীভাবে রপ্ত করেছেন সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে।

এদিকে মুস্তাফিজও বোলিং করার সময় জ্যাকসনের মতোই কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বাংলাদেশি পেসারের ঝুঁকে পড়াটা এবার তার সাফল্যের কারণ হোক সেটাই যেন বোঝাতে চেয়েছে চেন্নাই।

শুধু ছবিই নয়, জ্যাকসনের স্মুথ ক্রিমিনাল গানটির দুটি লাইনের সঙ্গে মিল রেখে ক্যাপশনে লিখেছে চেন্নাই। যেখানে তারা লিখেছে,  ‘ইউ হ্যাভ বিন হিট বাই, ইউ হ্যাভ বিন স্টক বাই!’ যার অর্থ ‘তুমি আঘাত করতে পার, আবার আটকিয়েও দিতে পার।’

নিজেদের মাঠে রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে কামব্যাক করার প্রত্যাশা জ্যোতির

প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

রোববার থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ম্যাচিউরড টিম হিসেবে মন্তব্য করেছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর।

গত বছর বাংলাদেশ সফরে মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বাজে আচরণ করে হয়েছিলেন নিষিদ্ধও। এবার মাঠের লড়াই শুরুর পূর্বে তার এমন কথা শুনে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।  

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘অতীতে অনেক কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু যা হয়েছে, তা অতীত। ওটা নিয়ে আমরা বসে নেই। কিন্তু শুনে ভালো লাগলো যে, তারা (ভারত) বলেছে আমরা আগের থেকে অনেক ম্যাচিউরড টিম। এর মানে হচ্ছে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি অবশ্যই।’

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আর বলেন, ‘ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-২০ খেলা এবং বাজে সময় পার করে কামব্যাক করতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সিলেটের মাঠে হয়তো এখনও বড় অর্জন নেই। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে।’

আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর ৩০ এপ্রিল একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, রাতের আলোয়।

এরপর ২ ও ৬ মে পরের দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে, যেটি গ্রাউন্ড-২ হিসেবে পরিচিত। এই দুই ম্যাচ হবে দুপুর ২টায়। ৯ মে শেষ ম্যাচটি আবার রাখা হয়েছে মূল মাঠে, সন্ধ্যায়।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিভারপুলে ক্লপের উত্তরসূরি হচ্ছেন স্লট

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের সাথে সম্পর্কের ইতি টানছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। একটা লম্বা সময় ধরেই এ খবর শিরোনামে রয়েছে। তবে ক্লপ যাওয়ার পর তার উত্তরসূরি কে হবেন এমন প্রশ্নে একটা লম্বা সময় ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে সেই উত্তরসূরির নাম জানা গেছে। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুরডের কোচ আর্নে স্লটকেই বেছে নিয়েছে অল রেডদের পরবর্তী কোচ হিসেবে।

এরই মধ্যে স্লটকে কোচ হিসেবে পেতে তার ক্লাব ফেয়েনুরডের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, আর্নে স্লট খুবই উঁচু মাপের একজন কোচ। তার সঙ্গে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে লিভারপুল ক্লাবের কর্তৃপক্ষ।

৪৫ বছর বয়সী স্লট বৃহস্পতিবারই লিভারপুলে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কথা জানান। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিভারপুল এবং ফেয়েনুরডের মধ্যে তার ব্যাপারে প্রায় সমঝোতা হয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরুতেই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। প্রায় সাড়ে ৮ বছর তিনি লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

ফেয়েনুরডের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে আর্নে স্লটের। ফলে কিভাবে তাকে অ্যানফিল্ডে নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে দুই ক্লাবের মধ্যে।

ইএসপিএন জানিয়েছে, ফেয়েনুরড স্লটের জন্য ৯ মিলিয়ন পাউন্ড (১১.২৫ মিলিয়ন ডলার) দাবি করেছে। যদিও প্রকৃত পরিমাণটা এখনও জানা যায়নি। তবে, পরিমাণ যাই হোক, দুই ক্লাব একটি ঐকমত্যে পৌঁছে গেছে এরই মধ্যে। সে সঙ্গে স্লটকে ফ্রি করে দিয়েছে লিভারপুলের সঙ্গে দর কষাকষি করার জন্য।


ক্লপ   স্লট   লিভারপুল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন