ইনসাইড গ্রাউন্ড

বর্ডারের এপার থেকে ওপারের দ্বৈরথ কেন ক্রিকেটে?

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ২৬ জুন, ২০২৩


Thumbnail

    “লাহোরে তুষারপাত হতে পারে, কিন্তু ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয়।”

কথাটি বলেছিলেন ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ওপেনার এবং টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দশ হাজার রানের মালিক সুনীল গাভাস্কার। গাভাস্কারের মন্তব্যটিই প্রমাণ করে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে গড়ানোর প্রতিবন্ধকতা।

ক্রিকেট প্রসঙ্গ উঠলেই অবধারিত চলে আসে ভারত-পাকিস্তানের নাম। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা এ দু’টি দেশের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্রিকেটীয় অনুপম সৌন্দর্য্য দেখতে পাই। দেশ দু’টির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্ব ক্রিকেটকে করেছে সমৃদ্ধ, এবং দর্শকমনেও জাগিয়ে তুলেছে ক্রিকেটের প্রতি ব্যাখ্যাতীত রোমাঞ্চ।

এই দুই দেশের দ্বন্দ্বের মাশুল গুনতে হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকে। এশিয়া কাপের অনিশ্চয়তার পাশাপাশি বিশ্বকাপ নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এখনও মেগা ইভেন্টের ভেন্যু ও সূচি ঘোষণা করতে পারেনি আইসিসি। তবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণে ক্রিকেটারদের ভারত সফরের বিষয়ে পাকিস্তানের সোজা কথা, পাকিস্তান ভারতে গেলে ভারতকেও এশিয়া কাপ খেলতে ভারতকেও আসতে হবে পাকিস্তানি ভূমিতে।


গত অক্টোবরে এসিসির সভাপতি ও বিসিসিআইর সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছিলেন, এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হবে কারণ ভারত পাকিস্তানে ভ্রমণ করবে না। এরপর তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে, পাকিস্তানও বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না, এমন কড়া মন্তব্য আসে পিসিবির পক্ষ থেকে।  পিসিবির নতুন প্রধান নাজাম শেঠিও তাদের এই অবস্থান বাহরাইনের সভায় তুলে ধরেছেন।

নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড মডেল’টি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অনুমোদন পায়। হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। তবে সেখানের আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে এসিসি দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বেছে নেয় শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও অবশ্য ম্যাচ বেশি পাচ্ছে শ্রীলঙ্কাই। মোট ম্যাচ ১৩টি, শ্রীলঙ্কায় হবে ৯টি ম্যাচ। বাকি ৪টি ম্যাচ পাকিস্তানে হবে। পাকিস্তানে হওয়া সব কটি ম্যাচই হতে পারে লাহোরে।

আবার নাজাম শেঠীর পদত্যাগের পর  সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময়ে নতুন পিসিবি কর্তা জাকা আশরাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে, ‘আমি হাইব্রিড মডেলের পক্ষে না। টুর্নামেন্টের পুরোটাই পাকিস্তানে হওয়া উচিত। কারণ, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সেই স্বত্ব পাকিস্তানকে দিয়েছে। কিন্তু বড় ম্যাচগুলোতে এই মডেল অনুযায়ী অন্য জায়গায় হবে, শুধু নেপালের মতো ছোট দলগুলো এখানে খেলবে। পাকিস্তানের সঙ্গে ন্যায়বিচার হয়নি।

ক্রীড়া ও ভূ-রাজনীতি বিষয়ক এই  প্যারিসের এসকেএমইএ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক সাইমন চ্যাডউইকের এশিয়ান এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই বিষয়টা স্রেফ দু’টি দেশ আর একটি টুর্নামেন্টের নয়, বরং কারা ক্রিকেট খেলে, কোথায় খেলে এবং কারা এই খেলাটার উপর ছড়ি ঘোরায় সবকিছুর সাথেই সম্পর্কিত। বৈশ্বিক কোন ক্রীড়া আয়োজন থেকে একটি দেশের রাজনৈতিক হর্তাকর্তাদের বাদ রেখে কার্যসিদ্ধি করা সম্ভব নয়। পাকিস্তান-ভারত বৈরিতা স্রেফ একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে নয়। সেখানে আরও বহু বিষয় জড়িয়ে আছে।

এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বিষয়টি চলমান রয়েছে বিগত বেশকিছুদিন ধরে। তবে বাস্তব চিত্র বেশ ভিন্ন। পাকিস্তান হাজারটা হুঙ্কার দিলেও শেষ অবধি তাদের কাছে বিশ্বকাপ না খেলবার কোন পথ খোলা নেই। পাকিস্তান চাইলেই আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ বয়কট করতে পারবে না। পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদেরকে সে সুযোগটুকু দিতে চাইবে না। তাছাড়া বিশৃঙ্খল পাকিস্তানকে একত্রিত করতে পারবে ক্রিকেট সেটাও অবিশ্বাস করাবর মত নয়।


২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায়। লম্বা সময় পর ধীরে ধীরে দেশটিতে নিরাপত্তা সংকট পার করে ফিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মত দলগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সফর করেছে। এই অবস্থায় নিজেদের হোস্টিং ইভেন্ট নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরিয়ে নিতে কোনভাবেই চায় না পাকিস্তান।

২০১২-১৩ মৌসুমের পর থেকেই আর দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে না ভারত-পাকিস্তান। কেবল এসিসি বা আইসিসির ইভেন্টেই মুখোমুখি হয় দুদল।


এদিকে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি অবস্থানে নিজেদের কোন পক্ষেই নিয়ে যায়নি বাকি সদস্য দেশগুলো। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতন দলগুলো নিজ নিজ সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে।

ভারত-পাকিস্তান সর্বশেষ টেস্ট খেলে ২০০৭-০৮ সালে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ স্বাগতিক ভারত জিতে নেয় ১-০ ব্যবধানে। সেবারই টেস্টে তাদের সর্বশেষ মুখোমুখি হওয়া। সর্বমোট ৫৯ দেখায় ১২ ম্যাচ জেতে পাকিস্তান, ভারত ৯ ম্যাচ, বাকি ৩৮ ম্যাচ ড্র।

তবে এই দুই দেশের ম্যাচের তীব্র উত্তেজনা দু’দেশ ছাপিয়ে এক সময় ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপমহাদেশজুড়ে। এ যেন ক্রিকেট ম্যাচের চেয়েও বেশি কিছু। কিন্তু গত এক দশক ধরে দেশ দু’টিতে বিবাদমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলস্বরূপ মুখোমুখি ম্যাচসংখ্যা কমে যাওয়ায় সে উন্মাদনায় ভাটা পড়েছে অনেকখানিই।

ভারত-পাকিস্তানের অনড় অবস্থানে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। আগামী মার্চে আরেকটি সভায় বসবেন এসিসির সদস্যরা। সেখানেই ২০২৩ এশিয়া কাপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এশিয়া কাপের উপর নির্ভর করছে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। সেই টুর্নামেন্টও আয়োজিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে।

শেষ অবধি জল কতদূর গড়ায় সেটা হয়ত সময়ই বলে দেবে। তবে পাকিস্তানের কাছে পথ খোলা নেই। পাকিস্তান চাইলেই আগ্রাসী কোন পদক্ষেপ এই মুহূর্তে করতে পারছে না। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তথা সরকারকেও একটু নমনীয়তা দেখানো উচিত বলে মত বহু ক্রিকেট বোদ্ধাদের।


ক্রিকেট   পাকিস্তান   ভারত   এশিয়া কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে লঙ্কানদের তারকায় ঠাসা স্কোয়াড

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। 

শক্তিশালী এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পুরো মূল্যায়নই করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন শানাকা, দুশমান্থ চামিরাদের নিয়ে শক্ত স্কোয়াড দাঁড় করিয়েছে তারা। রিজার্ভেও আছে ভানুকা রাজাপাকসের মতো হার্ডহিটার আর বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থের মতো রহস্যময় স্পিনার। 

যথারীতি দলের অধিনায়ক থাকছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। নিজের ৬ষ্ঠ আসরে খেলতে যুক্ত হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। পুরো দলে সাবেক আর বর্তমান অধিনায়কদের মেলাই বসিয়েছে দলটি। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পাশাপাশি আছেন দাশুন শানাকা। এছাড়া বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও আছেন বিশ্বকাপের দলে।  

পুরো দলে চমক বলতে গেলে দুনিথ ভেল্লালাগে। ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন নুয়ান থুসারাও। তিনি যাচ্ছেন ৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। 

এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নিজেদের প্রবল এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের। গ্রুপ-ডি তে লঙ্কানরা আছে টাইগারদের সঙ্গেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার গ্রুপেও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ৮ জুন। এরপর ১২ জুন নেপাল ও ১৭ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে দলটি। 


বিশ্বকাপ   তারকা   স্কোয়াড   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হোসেলু ম্যাজিকে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা দেয় রিয়াল।

এতে দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নকে ৪:৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ১ জুন যুক্তরাজ্যের ওয়েম্বলি স্টোডিয়ামে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

তবে, এ ম্যাচটা এগোচ্ছিল অনেকটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বনাম মানুয়েল নয়্যার লড়াইয়ের আবহে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল দুজনের একজন হতে যাচ্ছেন ম্যাচের নায়ক। তবে ভিনিসিয়ুস বা নয়্যার নন, রিয়াল-বায়ার্ন চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগের নায়ক বদলি নামা হোসেলু।

৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারই এক গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে ৩ মিনিটের মধ্যে এনে দিয়েছেন দুই গোল। শেষ দিকের মহামূল্যবান যে দুটি গোল রিয়ালকে তুলে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

ম্যাচের ৬৮ তম মিনিটে আলফানসো ডেভিসের করা দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এতে আশায় বুক বাধে বায়ার্ন সমর্থকরা। কিন্তু তারও ছিল শঙ্কা। কেননা বরাবরই শেষ মুহুর্তে যে কোন কিছু ঘটাকে অভ্যস্ত রিয়াল। এর আগেও ২০২১-২২ মৌসুমের সেমিফাইনালে শেষ ১০ মিনিটের করা ৩ গোলে ম্যান সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। এবারও ঠিক হলো তাই।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে ভালভার্দের বদলি হিসেবে নামেন হোসেলু। আর মাঠে নেমেই ৮৮ মিনিটে রিয়ালকে ঘুরে দাঁড়ানোর সেই মুহূর্তই এনে দেন হোসেলু। ভিনিসিয়ুসের শট সোজাসুজি হাতেই পেয়েছিলেন বায়ার্ন গোলকিপার নয়্যার। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত চারটি গোলের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া নয়্যার এ দফায় বল হাত ফসকে ফেলেন। সুযোগসন্ধানী হোসেলু খুব কাছে থাকায় বল জালে জড়াতে একদমই ভুল করেননি।

পরের গোলটি আসে ৯১তম মিনিটে। তাও নাটকীয়ভাবে। নাচোর কাছ থেকে পাওয়া বল আন্টনি রুডিগার বাড়ান হোসেলুর দিকে, যিনি বল জালে জড়িয়ে উল্লাস শুরু করতে না করতেই অফসাইডের পতাকা তোলেন রেফারি। তবে ভিএআর চেকে দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে। হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের মধ্যমণি।

অথচ ম্যাচের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয়ার্ধের বড় অংশজুড়ে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা মিলছিল না রিয়ালের। ঝাঁপিয়ে পড়লেও কিছুই করার ছিল না লুনিনের। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে ওই গোল হজমের স্তব্ধতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়নি। কারণ, শেষ দিকে একজন হোসেলু ছিলেন মাঠে!


চ্যাম্পিয়নস লীগ   সেমিফাইনাল   রিয়াল   বায়ার্ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে বিসিবির গড়িমসি, কারণ কি?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ ১৩টি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে স্কোয়াডে কে আছেন আর কে বাদ পড়লেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে।

অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী আইসিসিকে এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের তালিকা দেয়া হয়েছে। ২৪ মে পর্যন্ত টি-২০ স্কোয়াড পরিবর্তনের সুযোগ থাকায় নীরব বিসিবি।

তবে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। অতীতের মত এবারও স্কোয়াড নিয়ে সবাইকে অপেক্ষায় রেখেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

মূলত দুর্বল পাইপলাইন ও ক্রিকেটারদের ইনজুরির কারণে যেকোন বৈশ্বিক আসরের স্কোয়াড ঘোষণায় গড়িমসি হয় বাংলাদেশের। এমন দাবি করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। শুধু তাই নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য আদর্শ নয় বলেও মনে করছেন সাবেক এ অধিনায়ক।

মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘সীমিত সংখ্যক খেলোয়াড়ের মধ্যে আমাদেরকে দলটা ঘোষণা করতে হয়। এখানে যদি ইনজুরির কোন ব্যাপার থাকে এই জিনিসটা মাথায় কাজ করে। এজন্য মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট থেকে সবার ফিটনেস যেন সেরা পর্যায়ে থাকে সেই অপেক্ষা করতে হয়।’

আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আগেভাগে বাড়তি প্রত্যাশা রাখার পক্ষে নন মিনহাজুল আবেদীন। জিম্বাবুয়ে সিরিজকে বৈশ্বিক আসরের প্রস্তুতি মঞ্চ বলতে নারাজ এ সাবেক অধিনায়ক। সাগরিকায় ব্যাটাররা খেলতে পারেনি টি-২০ সুলভ। তিন ম্যাচ পর্যবেক্ষণে নিরাশ হচ্ছেন না প্রধান নির্বাচক।

তবে বিসিবি এখনও দল ঘোষণা না করলেও আসন্ন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে কারা থাকছেন এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর পূর্বে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, এই সিরিজ থেকেই নির্ধারণ করা হচ্ছে দল।

তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রাখতেও পারে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে সিরিজটা খেলেছি, আর এই সিরিজে যে দলটা আছে। বিশ্বকাপে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এখান থেকে যাবে। যদি সবাই সুস্থ থাকে। কিন্তু হ্যাঁ, দুই-একজন এদিক–ওদিক হতে পারে। তবে বেশির ভাগই এখান থেকে যাবে।”

আর শান্তর কথা অনুযায়ী, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে দল খেলছে সেই দলের সদস্যদেরই সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের যে দল, বিশ্রাম ও ছুটির কারণে সেখানে ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচের জন্য যে দল ঘোষণা করেছে বিসিবি সেখানে তারা ফিরেছেন। সেখানে সাকিব ও মুস্তাফিজের সাথে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকারও।


ক্রিকেট   বিশ্ব কাপ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তিন মিনিটে কামব্যাক, বায়ার্নের স্বপ্ন ভেঙ্গে ফাইনালে রিয়াল

প্রকাশ: ০৪:১২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়েই ছিল স্বাগতিকরা। তাদের কাঁদিয়ে তখন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল সফরকারী বায়ার্ন।

কিন্তু তিন মিনিটের ঝড়ে পাল্টে গেল সব। বদলি হয়ে নামা এই ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করে উল্লাসে ভাসিয়ে তোলেন পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে। তাতে ভর করেই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে লস ব্লাঙ্কোসদের একমাত্র বাধা এখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আগামী ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুদলের মধ্যেই হবে শিরোপা লড়াই।    

চ্যাম্পিয়নস লিগে এমনটাই তো করে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ! যা প্রতিপক্ষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।  ফিরে আসার দারুণ গল্প তাদের চেয়ে ভালো আর কেইবা লিখতে পারে। তাও আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো মঞ্চে। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় সব রোমাঞ্চ যেন অপেক্ষা করছিল দ্বিতীয় লেগের জন্য।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। যদিও প্রথমার্ধের অনেকটা জুড়ে দাপট দেখায় রিয়াল। ডেডলক ভাঙার খুব কাছ থেকেই বারববার ফিরতে হয় তাদের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে রদ্রিগো শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার।

বায়ার্ন গোলরক্ষক এরপর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৩৮ বছর বয়সেও যে তার ঝাঁজ কমেনি, সেটাই যেন দেখিয়েছেন এই ম্যাচে। ৪০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বাড়ানো বল কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন নয়্যার। বিরতির আগপর্যন্ত গোলমুখে দুটি শট নেয় বায়ার্ন। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখল আগের মতোই ধরে রাখে রিয়াল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান সেই নয়্যার। ৫৯ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া রদ্রিগোর বুলেট গতির ফ্রি-কিক বেশ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ফের গোলবঞ্চিত রাখেন ভিনিসিয়ুসকে।

এরপর আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। সেখান থেকে গোলের দেখা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৬৮ মিনিটে হ্যারি কেইনের অসাধারণ পাস খুঁজে নেয় ‘আনমার্ক’ থাকা আলফোনসো ডেভিসকে। সামনে আন্তোনিও রুডিগার ও দানি কারভাহাল থাকলেও তাদের দুজনের মাঝখানেই বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নেন এই লেফট ব্যাক। তা রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন ঝাঁপিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই সমতায় ফিরেছিল রিয়াল। লুকা মদ্রিচের কর্নার থেকে গোলমুখে শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তা অধিনায়ক নাচোর ছোঁয়া লাগার পর এক বায়ার্ন ফুটবলারের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয় ভিএআরের কারণে। কেননা গোলের আগে ইয়োশুয়া কিমিখকে গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন নাচো। তাই গোল বাতিল করে ফাউলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।

বার্নাব্যুর গ্যালারিতে তা যেন একরাশ হতাশা বয়ে আনে তখন। নয়্যারের দেয়াল ভাঙবে কে? প্রতিটি সমর্থকের মনে এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল! কিন্তু এ তো রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে যারা ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। এবার সেই জাগিয়ে তোলার দায়িত্বটা নিলেন হোসেলু। ফেদে ভালভার্দেকে উঠিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে ৮১ মিনিটে মাঠে নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। নামার সাত মিনিটের মাথায়ই দলকে সমতায় ফেরান তিনি।

বাঁ প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে এসে ভেতরে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। গোলমুখে তার নেওয়া শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সুযোগ সন্ধানী হোসেলু  কাছাকাছিই ছিলেন। নয়্যারের হাতে লেগে ফিরে আসা বলে টোকা মেরে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের উল্লাস তখন ঠেকায়।  

তিন মিনিট পরই খুশির মাত্রাটা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন হোসেলু। বক্সের ভেতর থেকে বাঁ প্রান্তে রুডিগারের উদ্দেশে বল বাড়ান নাচো। তখন বক্সের মাঝখানে হোসেলুর সামনে নয়্যার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রুডিগার কোনো ভুল করেননি পাসটি দিতে। আর হোসেলুও ভুল করেননি রিয়ালকে এগিয়ে দিতে। তবে নাটকীয়তার শেষ হয়নি তখনো।

রেফারির চোখে অফসাইডে ছিলেন হোসেলু। তাই গোল দিতে অপরাগতা জানান তিনি। কিন্তু ভিএআর দেখার পর বদলে যায় সিদ্ধান্তে। অফসাইড নয়, বরং অনসাইডেই ছিলেন হোসেলু। তাই গোলটি বৈধ হওয়ার পরই খুলে গেল রিয়ালের ফাইনালের দুয়ার। যা পরে আর বন্ধ করতে পারেনি বায়ার্ন। এগিয়ে থেকেও তাদের ২-১ গোলে হার মানতে হলো রিয়ালের আরও একটি দারুণ প্রত্যাবর্তনের সামনে। হোসেলুর সামনে!



রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরও দল নিয়ে সন্তুষ্ট এনরিকে

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের পরও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে পিএসজি। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। যদিও এই পরাজয়কে তিনি ‘অন্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ। এখন আমি আর কোথাও নেই। নিজেদের মূল লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যর্থ।’

কালকের ম্যাচে পিএসজির চারটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক সমর্থকদের। জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতেও পরপর দুটি শট পোস্টে লেগেছিল পিএসজির।

এনরিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই ম্যাচে আমরা বাজে খেলেছি। ছয়বার আমাদের শট বারে লেগেছে। ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যা খুবই অন্যায়। ৩১টি শট টার্গেটে করলেও এর থেকে একটি গোলও আদায় করতে পারিনি। এই লড়াইয়ে ফুটবল আমাদের সাথে অন্যায় করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ফাইনালে খেলার জন্য। দ্রুত আমাদের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দল নিয়ে আমি দারুন গর্বিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কোচ হিসেবে এই পরাজয়ের প্রথম দায়ভার আমার। কিন্তু তারপরও দলের মানসিকতায় আমি খুশি।’

ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল পিএসজি। একইসাথে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা ট্রফিটিও হাতে তুলে নেবার আশা তাদের ছিল।

এই মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেয়া এনরিকে বলেন, ‘পিএসজিতে আসার আগে আমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা যেভাবে ভালো খেলি অন্তত সেই ধারা বজায় রাখা। কাপ ফাইনালের পর মৌসুম যখন শেষ হবে তখন ভেবে দেখবো আমরা কি অর্জন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে আমি কখনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন কথা বলি না। আজ আমার একটি প্রত্যাশা ছিল। এই ধরনের পরাজয়ে কোন সান্ত্বনা নেই। কিন্তু এটাই জীবন, এটাই খেলা। কিভাবে জেতা যায় সেটা জানা খুবই জরুরি। একইসাথে পরাজয়ের কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ ও এই পরাজয়কে মেনে নেয়া উচিৎ।’


লুইস এনরিকে   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বরুশিয়া ডর্টমুন্ড   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন